নিউজ আপডেট | ই-কৃষক

Category Archives: নিউজ আপডেট

কৃষি কাজে কোকো পিটের ব্যবহার

images

কোকো পিট একটি জৈব উপাদান যা নারিকেলের আঁশ এর থেকে বাছাই করা এক প্রকার গুঁড়ো উপাদান। এই জৈব উপাদান সম্পূর্ন স্বয়ংক্রিয় আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে ইলেকট্রিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এই কোকো পিটের ব্লক তৈরি করা হয়, যা আধুনিক কৃষি খামারীরা তাদের কৃষিজ খামারে ব্যবহার করে থাকেন।

কোকো পিট এর ব্যবহারঃ

কোকো পিট উন্নত বিশ্বে বীজ তলা তৈরি, হাইড্রপোনিক্স চাষাবাদ, বাড়ীর ছাদে বাগান করার পাশাপাশি অনেক দেশে মাটির বিকল্প মাটিতে তৈরিতে অন্যান্য জৈব উপাদানের সাথে সাথে এই কোকো পিট জৈব উপাদান মিশ্রণ করে থাকে। বাসা বাড়ীর ছাঁদে বাগান করার জন্য মাটি অনেক ওজন ধারণ করে থাকে এবং আমাদের দেশের শহরে বাগান করার জন্য ভালো মানের মাটি সংগ্রহ করা একটি দূর্লভ কাজের মধ্যেই পরে। তাই আমাদের দেশেও খুব ধীর গতিতে হলেও এখন কোকো পিটের ব্যবহার শুরু হয়েছে।

বাসা বাড়ীর ছাঁদে বাগান করার জন্য এই কোকো পিটের ব্যবহার উন্নত বিশ্বে তেমন বেশী প্রচার করতে হয় না কিন্তু আমাদের দেশে এই কোকো পিটের ব্যবহারে এখনো মানুষের সচেতনা তেমন তৈরি হয়নি বিধায় মানুষ এখনো ছাঁদ বাগান করার জন্য এই কোকো পিট ব্যবহার শুরু করতে পারে নাই।

ছাঁদ বাগান করার জন্য এটি একটি খুবই ওজন কম এবং বেশী পরিমাণ জলীয় অংশ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ১০০% জৈব উপাদান।
কোকো পিটে প্রাকৃতিকভাবে অপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধী উপাদান বিদ্যমান থাকে।
কোকো পিট হালকা এবং ঝুরঝুরে হবার কারনে এর ভিতরে খুব সহজে মাটিতে উদ্ভিদের জন্য খাদ্য তৈরিতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
কোকো পিটে প্রাকৃতিক মিনারেল থাকে যা উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি এবং উপকারী অণুজীব সক্রিয় করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কোকো পিটের পি এইচ এর মাত্রা থাকে ৪.২ থেকে ৬.২ এবং এর ভেতরে ক্ষারত্ব সহনশীল পর্যায় থাকে বলে উন্নত বিশ্বে এই কোকো পিটের ব্যবহার সব চাইতে বেশী।
কর্পোরেট ফার্ম গুলো বীজ জার্মিনেশন থেকে শুরু করে মাটি ছাড়া চাষাবাদ করার জন্য এই কোকো পিট বহুল আলোচিত।
ওজনে হালকা হওয়াতে পরিবহণে সহজ তাই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিবহণ এবং ছাঁদে বগান করার জন্য এই কোকো পিট অধিক ব্যবহার হয়।
বানিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে এখনো সেইভাবে কোকো পিট ব্যবহার শুরু হইনি তবে প্রাপ্তী এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা অনেক বেশী প্রয়োজন তবেই এর ব্যবহার দিন কে দিন বাড়বে। বাংলাদেশে খুব বেশী কোম্পানি এই কোকো পিট আমদানী করে না আর যারা করছে তারাও খুব বেশী মার্কেট না থাকার কারনে খুব বেশী পরিমাণ আমদানী করতে সাহস পায় না। আমাদের দেশে এর যপোযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত হলেই আমাদের দেশে এর ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে এবং দাম ও তখন অনেক কমে যাবে।

COCO-PEAT

বর্তমানে নার্সারী গুলো ৫০ কেজি থেকে শুরু করে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে যা সম্পূর্ন পি এইচ নিয়ন্ত্রন করা থাকে না এবং এর ভেতরে অনেক জলীয় অংশ থাকে বিধায় পরিমানে বেশী ক্রয় করেও শুঁকানোর পরে তা পরিমানে কমে যায় বিধায় ক্রেতা সাধারণত খুশী হতে পাড়ে না। আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস এই প্রচারণায় যে এর ব্যবহার শুরু হলেই এর বাণিজ্যিক আরো প্রসার ঘটবে এবং দাম ও কমে যাবে।

নিচু এলাকার জন্য উত্তম ফসল ভাসমান সবজি চাষ

নিচু এলাকার জন্য উত্তম ফসল ভাসমান সবজি চাষবাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাই জলাবদ্ধপ্রবন। যেখানে সাধারণত কোনো ধরনের ফসল ফলানো যায় না। এমন এলাকার জন্য সবচেয়ে ভাল হল ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ।  ভাসমান এ পদ্ধতিকে তারা স্থানীয় ভাষায় বলে ধাপ পদ্ধতি বা বেড় পদ্ধতি। পানিতে ভাসমান বলে ভাসমান পদ্ধতি। আর কচুরিপানা টেপাপানা দিয়ে ধাপে ধাপে এ কাজটি সাজানো হয় বলে ধাপ পদ্ধতিও। দূর থেকে মনে হয় সবুজের জৈব গালিচা। দেখলে তখন মনে হয় অনিন্দ্য সবুজ সুন্দর ভুবন। সেখানে পুরুষ মহিলাদের সম্মিলিত বিনিয়োগে সৃষ্টি হচ্ছে দেশের এক প্রতিশ্রুত ইতিহাস আর সমৃদ্ধির হাতছানি। জোয়ারের পানিতে ভাসছে, আর ভাটায় জেগে উঠা উজানি চরে ভিন্নভাবে জেগে উঠেছে এসব। কৃষক দিনের পর দিন দেখে, শুনে, বুঝে প্রয়োজনে ভাসমান বা কচুরিপানার ধাপ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। বর্ষায় এসব এলাকার হাজার হাজার হেক্টর নিচু জমি জলে বন্দি থাকে। জলাবদ্ধতা আর কচুরিপানা অভিশাপ কৌশলের কারণে পরিণত হলো আশীর্বাদে। ধারণা করা হয় পদ্ধতিটি প্রথম বের করেন বরিশাল অঞ্চলে। সেখানেই শুরু হয় ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ।

ভাসমান ধাপের উপরে বিভিন্ন রকম সবজির দৌলা দিয়ে মনের মাধুরি দিয়ে সাজায় নান্দনিক ভাসমান বীজতলা। সেসব ভাসমান বীজতলায় কোনোটায় পেঁপে, লাউ, কুমড়া, শিম, বরবটি আবার অন্যগুলো টমেটো, বেগুন, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সবুজ ফুলকপি, শসার চারা উৎপাদন এবং লাউশাক, লালশাক, পালংশাক, ডাঁটাশাক বা সাদা শাকের চাষও করেন। এসব ভাসমান বীজতলাগুলো যাতে ভেসে না যায়, সেজন্য তারা শক্ত বাঁশের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। শুকনো মৌসুমে পানি সরে গেলে সেসব কচুরিপানার ধাপ জমিতে মিশে জৈব পদার্থের অতিরিক্ত জোগান দেয়। জমি হয় উর্বর। শুকনো মৌসুমে এখানকার মানুষরা চাষ করে বোরো ফসল। এত দিন তারা ভাসমান বীজতলায় কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করত না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে অল্প পরিমাণ ইউরিয়া সার ব্যবহার করে ভালো ফল পাচ্ছেন। আগে যেখানে সবজির চারাগুলো ছিল কিছুটা লিকলিকে দুর্বল এখন আধুনিক ব্যবস্থা অবলম্বনে আর মানসম্মত বীজ ব্যবহারে শক্ত সবল স্বাস্থ্যবান চারার ফলনে সুফল পাচ্ছেন।

Source:  শারমিন সুলতানা, ০৫-০৬-২০১৭

http://krishi.gov.bd/

New Picture

Big Data is new Focus for Agricultural Sector

Bangladesh Institute of ICT in Development (BIID) hosted the seminar session titled “Smart Agriculture, Smart Future” at Digital World 2017 with support from the Ministry of Agriculture (MoA). On the 2nd day of the mega event, speakers highlighted the importance of use of Big Data and other modern ICT solutions to foster agricultural sector in Bangladesh. International experts shared CGIAR initiatives on use of Big Data for better crop management, planning and ensuring farmer’s benefits. Dr. Tim Krupnik, Systems Agronomist, CIMMYT and Mr. Burra Dharani Dhar, Data Scientist from CIAT shared their working experiences about remote sensing, data management and tools about to make data more available in the agriculture sector. Md. Fazle Wahid Khondaker, Additional Secretary, Ministry of Agriculture, Mr. Anis Ud Dowla, President, Bangladesh Seed Association, Dr. Abul Kalam Azad, Director General, BARI spoke on the occasion and Md Shahid Uddin Akbar, CEO BIID moderated the session. Representatives of various government agencies, development partners, private sectors, research organizations and academician attended the session. The seminar concluded with the commitment to initiate a coordinated effort to foster use of Big Data and other ICT services in agricultural sector in Bangladesh.

পোকা দমনে পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি

sirajganj-Krishi20170312132142

শস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলসহ সিরাজগঞ্জে কৃষকদের মাঝে দিন দিন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কীটনাশক ছাড়াই ক্ষতিকারক পোকা দমনের পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতির ব্যবহার।

জমিতে সার দেয়ার পর থেকেই রোপা-আমন, ইরি-বোরোসহ বিভিন্ন ফসলের খেতে বাদামী ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা ও চুঙ্গি-মাজরাসহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এসব পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকরা কীটনাশকসহ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন।

বর্তমানে কৃষকরা খেতে কীটনাশক ওষুধ পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও পরিবেশবান্ধব পার্চিং এবং আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানা যায়, ইতোমধ্যে প্রতি বিঘা জমিতে ডেড পার্চিং ও জীবন্ত পার্চিং পদ্ধতির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঝে কাজ করছেন।

জেলার মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫৬ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় এবং ৪২৫টি আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এতে পরিবেশ বাঁচিয়ে কৃষকরা স্থানীয় পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে পোকা ও পোকার ডিম বিনষ্ট করছে।

সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরীর বর্গাচাষী আমজাদ হোসেন, রহিম, বক্কারসহ অনেকেই বলেন, কৃষি অফিস আমাদেরকে পার্চিং পদ্ধতি বা খেতের ভিতর ডাল-পালা, বাঁশের কুঞ্চি পুতে রাখা এবং সন্ধ্যার দিকে জমিতে আলোক ফাদ সম্পর্কে মাঝেমধ্যে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেতন করেন। সেই অনুযায়ী আমরা উক্ত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে জমিকে রক্ষা করে অনেক লাভবান হয়েছি।

বহুলীর প্রান্তিক কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, ক্ষেতের ভিতর ডাল-পালা পুতে রাখলে সেই ডাল-পালায় পাখি বসে এবং ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। এতে কীটনাশক ছাড়াই আমরা ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে অতি সহজেই ফসলকে রক্ষা করতে পারছি।

তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের মানিকচার গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব আলী পার্চিং সম্পর্কে বলেন, এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে জমিতে ক্ষতিকারক পোকার হাত থেকে কীটনাশক ছাড়াই ফসলকে রক্ষা করা যায়। এ পদ্ধতি আমি গতবারও ব্যবহার করেছিলাম উপকার পেয়ে এবারও ব্যবহার করছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি অফিসার হুমায়ন কবির জানান, এই ফসলি জমিতে পোতা ডালগুলোর উপরে পাখি বসে ফসলি জমির ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলে। যার ফলে আর কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে না। ফলে কম খরচে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, ক্ষেতের ভিতর ডালপালা পুতে রেখে পাখিদেরকে মথ খাওয়ার সুযোগ করে দেয়াকেই পার্চিং পদ্ধতি বলে। আর সন্ধ্যার দিকে জমিতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারি চালিত বাল্ব একটি খুটির সঙ্গে লাগিয়ে জ্বালিয়ে রাখতে হয়।

সেই বাল্বের নিচে সাবান মিশ্রিত পানি ভর্তি একটি গামলা রাখতে হয়। আলো পেয়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় সেখানে জড়ো হয় এবং গামলার ভিতর পড়ে মারা যায়। এতে ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন সহজেই করা যায়। এ পদ্ধতিগুলো পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না।

সূত্রঃ www.jagonews24.com

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৭

পরিবেশবান্ধব পেস্টিসাইডে বাড়ছে কৃষি বিজ্ঞানীদের মনোযোগ

natural-pesticides

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন কৃষি ও কৃষি বাস্তুতন্ত্র। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য জোগান দিতে হলে ২০২০ সনের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন ৫৮০ মিলিয়ন টন হতে বৃদ্ধি করে ৮৬০ মিলিয়ন টন করতে হবে অর্থাৎ অতিরিক্ত ২৮০ মিলিয়ন টন খাদ্য দ্রুত উৎপাদন করতে হবে। প্রতিবছর সারা বিশ্বে গড়ে ৩০ ভাগ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোগজীবাণু ও পোকামাকড়ের আক্রমণে। যদিও উন্নত বিশ্বের তুলনায় উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোয় এ হার অনেক বেশি। আর খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলায় ফসলের ফলন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক নানা অনুষংগ কৃষিতে বয়ে আনছে নানা বিপর্যয়। কৃষকরা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অতিমাত্রায় রাসায়নিকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এতে একদিকে যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে বাস্তুতন্ত্রের নানা উপাদানের মধ্যে সুস্পষ্ট বিশৃংখলা দৃশ্যমান হচ্ছে।

অতিমাত্রায় রাসায়নিকের ব্যবহার পরিবেশের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যকে ঠেলে দিচ্ছে নানা ঝুঁকির মুখে। তাই বর্তমান বিশ্বে ফসল উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে প্রতিনিয়তই। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমছে বহুগুণ। এসব পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে ইদানিং অণুজীবের ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। অনুজীবজগৎ হচ্ছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অজানা জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার। পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বর্তমান সিনথেটিক রাসায়নিক নির্ভর কৃষির অন্যতম বিকল্প হিসেবে প্রকৃতিতে বিদ্যমান উপকারি অনুজীবকে বিবেচনা করা হচ্ছে। উপকারি অনুজীবসমূহ ফসলের জন্য ক্ষতিকর অনুজীবকে দমন করে কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করে।

১৯৫৬ সনে ৩৫০ কেজি কীটনাশক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার প্রথম শুরু হয়। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ১৫ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক ব্যবহার হয়েছে এদেশের মাটিতে। এছাড়া চোরাই পথে আসা শত শত মেট্রিক টন কীটনাশক আসছে বিভিন্ন দেশ থেকে। যা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এছাড়াও কৃষকদের ক্রমাগত নির্বিচারে রাসায়নিক ইনসেক্টিসাইড ব্যবহারের ফলে পোকামাকড়গুলো ধীরে ধীরে কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে পড়ে। আবার রাসায়নিক ছত্রাকনাশক ব্যবহারের ফলে জীবাণুগুলো নতুন রেস তৈরি করছে। ফলে এসব রাসায়নিক পেস্টিসাইড পোকমাকড় ও রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে আর কার্যকর থাকছে না। তাই বিশ্বের সচেতন মানুষেরা এখন জৈব কৃষির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন, যেখানে  কোনো প্রকার রাসায়নিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয়না। কৃষি বিজ্ঞানীদের সর্বোচ্চ মনোযোগ এখন পরিবেশবান্ধব পেস্টিসাইড উদ্ভাবনের দিকে।

লেখক: মো. জিয়াউর রহমান ভূঁঞা (পিন্টু), সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-১২০৭

সূত্রঃ AgriNews24.com

Capture2

eKrishok Has Been Selected as the WSIS Prizes 2017 Champion

International Telecommunication Union (ITU) announced eKrishok, an initiative of Bangladesh Institute of ICT in Development (BIID) as the Champion and finalists of the WSIS Prizes 2017 with over 1.1 million votes cast by WSIS stakeholder’s community. eKrishokis among those first five most voted in the category ICT Applications: E-Agriculture. ITU congratulated BIID on this amazing achievement and to share the excitement of promoting the recognition. BIID will be awarded with a Champion certificate from the ITU Secretary-General during the special event dedicated to the achievement, the WSIS Prizes 2017 Champion Ceremony, on Tuesday 13 June 2017 at Geneva, Switzerland. BIID has been facilitating eKrishok services to foster ICT enabled solutions for farmers and agro-businesses in Bangladesh since 2009. More details on the award is available at http://www.itu.int/net4/wsis/prizes/2017/

BIID will also organize a workshop on eKrishok at the WSIS Forum 2017 and showcase its services in the exhibition area at ITU Tower.

Nutrition Olympiad 2017 Taking the youths on board

Malnutrition is one major challenge for Bangladesh to achieve the related sustainable development goal by 2030. The potentials of youths’ engagement in addressing the nutrition-related challenges and encountering malnutrition in Bangladesh came into focus during the Nutrition Olympiad 2017, held on March 6 last at the Krishibid Institution Bangladesh, Khamar Bari. The Bangladesh Institute of ICT in Development (BIID) jointly with the Department of Agricultural Extension (DAE), INGENAES/USAID organised the event. ICT Division, BASIS, ULAB, Farm Fresh, Nutrition Clubs and other organisations also supported the event as partners. The Nutrition Club initiative of BIID hosted the event.

The Nutrition Olympiad proved to be an excellent platform for networking and knowledge sharing. A rich combination of activities made the event enlightening. Activities included nutrition hackathon, showcasing Nutrition Club activities, demonstration of homestead / school gardening, networking, drawing food plates, award giving ceremony and workshop.

Dr Sue Lautze, FAO Representative Bangladesh, inaugurated the session while Md. Manzurul Hannan, Director General, Department of Agricultural Extension (DAE) and representatives from the private sector and development partners joined the event. Dr Sue recognised the day as her best day in Dhaka after seeing all the enthusiastic youth volunteers committed to addressing the malnutrition challenge in Bangladesh.

Members from various Nutrition Clubs had the opportunity to showcase their activities and uniqueness in the stalls to the audience.  A separate stall was set up for displaying BIID’s newest innovative product Nutrition Gift Pack (NGP). The Nutrition Gift Pack was launched during the event. The Gift Pack received excellent feedback from buyers and visitors.

The concept of Nutrition Club (NC) has been introduced by BIID to promote nutrition awareness among communities by engaging young volunteers from schools and universities to spread the nutrition messages all over the country. The clubs are hosted and guided by the academic institutions and the BIID facilitates basic training on nutrition introduce various nutrition-sensitive activities, share communication materials etc. BIID and the respective NC set targets, develop annual plan of action and strategies to achieve the goals. The NC functions under a standard operating procedure (SOP) developed by BIID.

Primarily the NCs focus on building awareness about nutrition among students, parents and communities, sourcing of nutrition-rich foods and smart cooking. Around 10 Nutrition Clubs are functional now and the BIID foresees to extend the network up to 100 by 2017.

The BIID introduced the Nutrition Gift Pack (NGP) initiative during the Nutrition Olympiad to spread the nutrition awareness to the community level through a sustainable business model. Currently the nutrition gift pack consists of a Food Plate. The food plate is basically a communication material designed for pregnant women. The objective of the Food Plate is to raise awareness regarding nutrition among pregnant women; the plate indicates the proportion of food from each food group that should be consumed during the time of pregnancy. The NGP will be available through the Nutrition Clubs and local partners.

The BIID plans to bundle nutrition inputs such as seeds of vegetables and fruits in the NGP soon with collaboration from the private sector partners. The objective for introducing these inputs will be to encourage household members to pursue homestead gardening so that they can consume a healthy proportion of fruits and vegetables throughout the year.

Buy One Give One is the principle of the Nutrition Gift Pack model. Once someone buys a Gift Pack (Premium) another similar item will be given to the under-privileged community. Therefore, the person buying the premium gift pack will be performing a charitable act by spreading awareness about nutrition. There will be also regular packs available to ensure access to the NGP by everyone for their own use.

The BIID considers the Nutrition Gift Pack as most innovative and sustainable way to fight stunting and malnutrition, it will in the long run significantly contribute to improve health status of underprivileged communities and achieve SDGs 1, 2 and 5.

The event ended with a call for collaboration to organise the next Nutrition Olympiad 2018 on a bigger scale and ensure wider participation.

Source: Financial Express

06 May, 2017

ব্রিধান২৮ জাতে ব্লাস্ট রোগের ব্যাপক আক্রমণ

18318832_10209337205206737_503835835_o

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ বিডিটাইমস৩৬৫ কে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে ধানের ব্লাস্ট রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ব্লাস্ট রোগের নমুনা সংগ্রহ ও মাঠের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) একটি যৌথ প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ব্লাস্ট আক্রান্ত জমি পরিদর্শণ করে। এসকল অঞ্চলে ব্লাস্ট রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়েছে ব্রিধান২৮ জাত। এছাড়াও ব্রিধান২৯, ব্রিধান৫০, ব্রিধান ৬১, ব্রিধান ৬৩ জাতেও আক্রমন পরিলক্ষিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ধানের ব্লাস্ট রোগের মহামারির কারনে ১০-১৫ শতাংশ ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, ব্লাস্ট বাংলাদেশে ধানের প্রধান রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছরই এ রোগ অল্পবিস্তর দেখা দেয়। তবে এবছর সারাদেশে আক্রমনের মাত্রা ব্যপক। বিশেষকরে উত্তরাঞ্চলে আগে এ রোগ খুব একট দেখা যেতনা। পাতা ব্লাস্ট, গীট ব্লাস্ট এবং শীষ ব্লাস্ট – এই তিন ধরনের ব্লাস্ট রোগের মধ্যে নেক বা শীষ ব্লাস্ট সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকর। পাইরিকুলারিয়া ওরাইজি নামক ছত্রাকের আক্রমনে এই রোগ হয়ে থাকে। এ বছরে ধানের ব্লাস্ট রোগের মহামাররি জন্য ঐ ছত্রাকের অনুকূল আবহাওয়াকে দায়ী করেন তিনি। আগাম বৃষ্টিপাত, ঝড়ো আবহাওয়া, দিনে অধিক তাপমাত্রা, রাতের নিন্ম তাপমাত্রা, সকালের কুয়াশা ও শিশির এবং অধিক আদ্রতার কারনে ঐ ছত্রাকের প্রকোপ বেড়েছে বলেও জানান তিনি। আক্রমণের তীব্রতার কারনে একই গাছে পাতা ব্লাস্ট, গীট ব্লাস্ট এবং শীষ ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। পূর্বে পাতা ব্লাস্টের প্রকোপ বেশী পরিলক্ষিত হলেও এবছর শীষ ব্লাস্টের আক্রমণ ছিল সর্বাধিক। সাধারনত লিফ ব্লাস্টের আক্রমণে পাতায় খাদ্য তৈরি ব্যহত হয়, নোড ব্লাস্টের আক্রমণে উদ্ভিদ মাটি থেকে কোন খাদ্য উপাদান ও পানি শোষণ করতে পারে না এবং নেক ব্লাস্টের আক্রমনে ধানের শীষের গোড়া পঁচে যায়। এ কারনে এবছর ধানের ফলনের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার এক কৃষক জানান, “গরম ও ঝড়ো হাওয়া আসার পর থেকে এ রোগ দেখা দিয়েছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে সারা ক্ষেতে ছড়িয়ে গেছে। ২৮ ধানেই এ রোগ বেশী হয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাসরুর বলেন, আগামীতে এ রোগ প্রতিরোধে কৃষকদেরকে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ব্রিধান২৮ ব্লাস্ট রোগের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ায় আগামীতে এ জাতটি চাষ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও রোগটি প্রতিরোধে ধান কাটার পর নাড়া-খড়কুটো জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা, আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ না করা, শোধিত বীজ ব্যবহার করা, অতিরিক্ত পরিমান ইউরিয়া ব্যবহার না করা, পটাশ সার পরিমান মতো ব্যবহার করা, জমিতে সবসময় পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদরা। এছাড়াও কুশি অবস্থায় রোগটি দেখা দিলে বিঘা প্রতি প্রায় ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করে সেঁচ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ধানের থোড় আসার পর একবার এবং ফুল আসার পর আবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। রোগ প্রতিরোধে (টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাইফ্লুক্সিট্রোবিন ২৫%) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমনঃ নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি ১০ লিটার পানিতে ৭.৫ গ্রাম মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা, অথবা প্রতি লিটার পানিতে ট্রাইসাইকাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমনঃ ট্রপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি ০.৮১ গ্রাম বা এ রোগের জন্য অনুমোদিত অন্যান্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
এছাড়াও আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ আগামী বছর ব্রিধান২৮ এর পরিবর্তে ব্রিধান৫৮, ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান ৬৯ সহ অন্যান্য ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাতের ধান চাষের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন আমরা উন্নত গবেষণার জন্য এ রোগের জীবানু সংগ্রহ করেছি। ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবনে উন্নততর গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সুত্রঃ বিডিটাইমস৩৬৫, ৬মে, ২০১৭ 

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ বিডিটাইমস৩৬৫ কে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে ধানের ব্লাস্ট রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ব্লাস্ট রোগের নমুনা সংগ্রহ ও মাঠের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) একটি যৌথ প্রতিনিধি দল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ব্লাস্ট আক্রান্ত জমি পরিদর্শণ করে। এসকল অঞ্চলে ব্লাস্ট রোগে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হয়েছে ব্রিধান২৮ জাত। এছাড়াও ব্রিধান২৯, ব্রিধান৫০, ব্রিধান ৬১, ব্রিধান ৬৩ জাতেও আক্রমন পরিলক্ষিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ধানের ব্লাস্ট রোগের মহামারির কারনে ১০-১৫ শতাংশ ফলন বিপর্যয়ের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।  
আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ জানান, ব্লাস্ট বাংলাদেশে ধানের প্রধান রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছরই এ রোগ অল্পবিস্তর দেখা দেয়। তবে এবছর সারাদেশে আক্রমনের মাত্রা ব্যপক। বিশেষকরে উত্তরাঞ্চলে আগে এ রোগ খুব একট দেখা যেতনা। পাতা ব্লাস্ট, গীট ব্লাস্ট এবং শীষ ব্লাস্ট – এই তিন ধরনের ব্লাস্ট রোগের মধ্যে নেক বা শীষ ব্লাস্ট সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকর। পাইরিকুলারিয়া ওরাইজি নামক ছত্রাকের আক্রমনে এই রোগ হয়ে থাকে। এ বছরে ধানের ব্লাস্ট রোগের মহামাররি জন্য ঐ ছত্রাকের অনুকূল আবহাওয়াকে দায়ী করেন তিনি। আগাম বৃষ্টিপাত, ঝড়ো আবহাওয়া, দিনে অধিক তাপমাত্রা, রাতের নিন্ম তাপমাত্রা, সকালের কুয়াশা ও শিশির এবং অধিক আদ্রতার কারনে ঐ ছত্রাকের প্রকোপ বেড়েছে বলেও জানান তিনি। আক্রমণের তীব্রতার কারনে একই গাছে পাতা ব্লাস্ট, গীট ব্লাস্ট এবং শীষ ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। পূর্বে পাতা ব্লাস্টের প্রকোপ বেশী পরিলক্ষিত হলেও এবছর শীষ ব্লাস্টের আক্রমণ ছিল সর্বাধিক। সাধারনত লিফ ব্লাস্টের আক্রমণে পাতায় খাদ্য তৈরি ব্যহত হয়, নোড ব্লাস্টের আক্রমণে উদ্ভিদ মাটি থেকে কোন খাদ্য উপাদান ও পানি শোষণ করতে পারে না এবং নেক ব্লাস্টের আক্রমনে ধানের শীষের গোড়া পঁচে যায়। এ কারনে এবছর ধানের ফলনের ব্যপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। 
চুয়াডাঙ্গা জেলার এক কৃষক জানান, “গরম ও ঝড়ো হাওয়া আসার পর থেকে এ রোগ দেখা দিয়েছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে সারা ক্ষেতে ছড়িয়ে গেছে। ২৮ ধানেই এ রোগ বেশী হয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের মাসরুর বলেন, আগামীতে এ রোগ প্রতিরোধে কৃষকদেরকে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ব্রিধান২৮ ব্লাস্ট রোগের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ায় আগামীতে এ জাতটি চাষ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও রোগটি প্রতিরোধে ধান কাটার পর নাড়া-খড়কুটো জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা, আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ না করা, শোধিত বীজ ব্যবহার করা, অতিরিক্ত পরিমান ইউরিয়া ব্যবহার না করা, পটাশ সার পরিমান মতো ব্যবহার করা, জমিতে সবসময় পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদরা। এছাড়াও কুশি অবস্থায় রোগটি দেখা দিলে বিঘা প্রতি প্রায় ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করে সেঁচ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ধানের থোড় আসার পর একবার এবং ফুল আসার পর আবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। রোগ প্রতিরোধে (টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাইফ্লুক্সিট্রোবিন ২৫%) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমনঃ নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি ১০ লিটার পানিতে ৭.৫ গ্রাম মিশিয়ে বিকেলে স্প্রে করা, অথবা প্রতি লিটার পানিতে ট্রাইসাইকাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমনঃ ট্রপার ৭৫ ডব্লিউপি বা জিল ৭৫ ডব্লিউপি ০.৮১ গ্রাম বা এ রোগের জন্য অনুমোদিত অন্যান্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।
এছাড়াও আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ আগামী বছর ব্রিধান২৮ এর পরিবর্তে ব্রিধান৫৮, ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান ৬৯ সহ অন্যান্য ব্লাস্ট প্রতিরোধী জাতের ধান চাষের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন আমরা উন্নত গবেষণার জন্য এ রোগের জীবানু সংগ্রহ করেছি। ব্লাস্ট প্রতিরোধী ধানের জাত উদ্ভাবনে উন্নততর গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

হাওরে ফসলডুবির সমাধান হাতেই আছে, তবে…

868852f4647f4fe1bea628d4b1e668b0-590dad87e6d74

আগাম বন্যা বা ঢলের সামনে পড়ে কৃষক কোন মিনতি করেন?

প্রকৃতির কাছে মিনতি করেন আরও কয়েকটা দিন সময়, যাতে ধান বা পাট কাটার উপযুক্ত হয়।
আগাম বন্যার আগাম প্রতিরক্ষা তাঁরা পেতেন যদি আগাম ফসলের বীজ সরকার তাঁদের দিত।
গত বছরের জুলাই-আগস্টের বন্যার সময় ফরিদপুরে পদ্মার চরের কৃষকের আহাজারি শুনেছি, ‘আর কয়টা দিন যদি পাইতাম!’
সে সময় থেকেই আগাম ধানের বীজ নিয়ে একজন কাজ শুরু করে দেন। বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। তিনি অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস) সংক্রান্ত তিনটি নতুন জিন আবিষ্কার করে এপোমিক্সিসের সূচনা করেন। শিক্ষকতা ও গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট হেলথ, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ফ্রান্সের ইকোল নরমাল সুপিরিয়রের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থায় একটি গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ ছাড়া জন্মস্থান সিলেটের কুলাউড়ার নিজস্ব খামার ও গবেষণাগারে জিন গবেষণা চালু রেখেছন। এখানেই তাঁর নেতৃত্বে একদল গবেষক ৩০০ জাতের ধানের প্রকরণ উদ্ভাবন করেছেন এবং অনেক বিলুপ্ত জাতের ধানের বীজ ফিরিয়ে এনেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে বৈঠক করে শনিবার দুপুরে নিজের খামার এলাকা সিলেটের কানিহাটিতে ফিরছিলেন। তখন ফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
আবেদ চোধুরী বলছিলেন, ‘বর্তমান বোরো ফসল পানির দেশের জন্য অনুপযোগী। এই ধান হয় ১৩০ থেকে ১৬০ দিনে। হাওরের প্লাবন হয় এপ্রিল মাসে। আমাদের এমন এক জাতের ধান লাগবে, যা ১ এপ্রিলের আগেই কেটে ফেলা যায়। সুপার আর্লি বন্যার মোকাবিলায় চাই সুপার আর্লি ধানের জাত। বন্যার সঙ্গে মানানসই তেমন জাতই হলো আউশ। আউশ কথাটা এসেছে আশু থেকে; ভাষার অপনিহিতি নিয়মে লোকমুখে আশু হয়ে গেছে আউশ। এটা সুপার আশু ধান। অথচ এই শস্যের ইতিহাস আমরা ভুলে গেছি। হাজার বছর ধরে এটার বিকাশ হয়েছে। এর বিভিন্ন জাতের চাষ হতো হাওর ও জলাভূমি এলাকায়। দুই মাসে ফুল আসত বলে দুমাই বা দুমাহি কিংবা ষাট্টাও বলে। কোনো এলাকায় বলে কাছালট, চেংরি ও বাওরস। যে ধান আউশে হয় ৭৫ দিনে, সেটা বোরোতে হবে নব্বই দিনে। নব্বই দিনের জাতের ধান আমরা মাঠেও পরীক্ষা করেছি। আগামী বছর এটা হাওরে লাগালে ঢল আসার আগেই ফসল কেটে ঘরে তোলা যাবে। অথচ এমন সব দারুণ জাতকে আমরা নির্বাসিত করেছি।’

সুত্রঃ প্রথম আলো, ০৬ মে, ২০১৭

18076833_1431975770199888_420672062447943318_o

পটুয়াখালী মুগডাল মেলা ২০১৭

পটুয়াখালী মুগডাল মেলা ২০১৭

পটুয়াখালী, ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ ২৩ শে এপ্রিল পটুয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যায়ামাগারে ‘‘পটুয়াখালী মুগডাল মেলা ২০১৭” অনুষ্ঠিত হয়েছে । মেলায় মুগডাল শষ্যের  উৎপাদন ও বিপননের সাথে জড়িত সকল প্রতিষ্ঠান যেমন, অর্থ লগ্নিকারী, সেবা প্রদানকারী (বীজ, সার, মেশিনারি, ভোক্তা পণ্য, পরিবহন ইত্যাদি), মুগডাল ক্রেতা/মিলার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক এসএমই ক্লাব এবং মুগডাল চাষিরা অংশগ্রহণ করেন। মেলার উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরে আমন্ত্রিত অতিথিগণ মেলা স্টল ঘুরে দেখেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত এসএমই ক্লাব-এর ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, টেকসই বিপনন ও মূল্য সংযোজন কৌশল-এরমধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ব্যবসায় প্রসারের লক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও অর্থ ব্যবস্থাপনা, বাজার সংযোগ এবং মুগডাল বিপনন বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এসএমই ক্লাবের সদস্যদের মাঝে প্রশিক্ষণের সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে মেলা উপলক্ষে আয়োজিত মুগডাল রেসিপি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরকে পুরস্কার দেয়া হয়। মেলাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) এসএমই ক্লাব, পটুয়াখালী চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীজ ( পিসিসিআই) ও ইউএসএআইডি কৃষি সম্প্রসারণ সহযোগিতা কার্যক্রম প্রকল্প। উক্ত কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ইউএসএআইডি এগ্রিকালচারাল ভ্যালু চেইনস প্রকল্প।