২. জাতঃ
জাতের নাম |
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম |
চাষের সময় |
বারি স্ট্রবেরী-১* |
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট |
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ |
রাবি-১, রাবি-২ এবং রাবি-৩ |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর |
মর্ডান স্ট্রবেরী-১, মর্ডান স্ট্রবেরী- ২, মর্ডান স্ট্রবেরী- ৩, মর্ডান স্ট্রবেরী- ৪ (Camarosa), মর্ডান স্ট্রবেরী- ৫(Festival) |
মর্ডান হর্টিকালচার সেন্টার, নাটোর |
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর |
*উচ্চ ফলনশীল জাত
৩. উপযোগী জমি ও মাটিঃ বেলে দোঁআশ ও মাটিতে প্রচুর জৈব সার প্রয়োগ করে স্ট্রবেরি ফলানো যায়। যেসব জমিতে পানি জমে সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো যাবে না।
৪. বীজঃ স্ট্রবেরী রানারের মাধামে বংশ বিস্তার করে থাকে। তাই পূর্ববর্তী বছরের গাছ নষ্ট না করে জমি থেকে তুলে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রোপণ করতে হবে। উক্ত গাছ হতে উৎপন্ন রানারের পর্বসন্ধির নীচ থেকে যখন মূল বের হবে, তখন রানারটি মাতৃগাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভালভাবে মিশানো গোবরমাটি (১:১) দিয়ে ভরা পলিথিন ব্যাগে (৪” x ৩”) লাগাতে হবে এবং তা হালকা ছায়াযুক্ত নার্সারীতে সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. জমি তৈরীঃ
জমি চাষঃ জমি ভালভাবে চাষ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে অন্তত ৩০ সেন্টিমিটার গভীর করে জমি চাষ দিতে হবে। যেহেতু স্ট্রবেরি গাছের শিকড় মাটির উপর দিকে থাকে সেজন্য মাটি ঝুরঝুরা করে নির্ধারিত মাত্রায় সার মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
চারা তৈরীঃ স্ট্রবেরি গাছগুলো গুল্ম ও লতা জাতীয় গাছ বলে গাছের গোড়া থেকে বেশ কিছু লম্বা লম্বা লতা মাটির উপর দিয়ে লতিয়ে যায়। মাটির সংস্পর্শে লতার গিট থেকে শিকড় গজায়। শিকড়যুক্ত গিট কেটে নিয়ে মাটিতে পুতে দিলে নতুন চারা তৈরি হবে। অর্ধেক মাটি অর্ধেক গোবর সার মিশিয়ে পলিব্যাগে ভরে একটি করে শিকড়যুক্ত গিটসহ লতা পুঁতে দিতে হয়। এক্ষেত্রে একটি গাছ থেকে ১৮-২০ টি চারা তৈরি করা সম্ভব।
চারা রোপন এর সময়ঃ স্ট্রবেরির চারা মধ্যঅক্টোবর থেকে মধ্যডিসেম্বর পর্যন- রোপণ করা যায়। তবে নভেম্বর মাস স্ট্রবেরি চারা রোপণের জন্য সবচেয়ে ভাল। জমি তৈরির পর লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব হবে ৫০ সেন্টিমিটার ও প্রতি সারিতে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্ট্রবেরির চারা লাগাতে হয়। বৃষ্টি হলে ক্ষেত থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে দিতে হবে না হলে গাছ পঁচে যাবে।
৭. সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের পরিমাণঃ স্ট্রবেরির জন্য দরকার প্রচুর জৈব সার। এজন্য প্রতি একরে ৫০-৬০ কেজি ইউরিয়া সার, ৭০ কেজি টিএসপি সার এবং ৮০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
সার প্রয়োগের সময়ঃ এসব সারকে সমান দুভাগে ভাগ করে একভাগ দিতে হয় ফুল আসার একমাস আগে এবং অন্য ভাগ দিতে হবে ফুল ফোটার সময়। প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
৮. আগাছা দমনঃ
সময়ঃ জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৯. সেচ ব্যবস্থাঃ
সেচের সময়ঃ সাধারনত জমিতে রস না থাকলে সেচ দিতে হবে এবং ফল ধরা শুরু হলে ২-৩ দিন পর পরই সেচ দিতে হবে।
নিষ্কাশনঃ স্ট্রবেরী জলাবদ্ধতা মোটেই সহ্য করতে পারে না। তাই বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগের নাম |
লক্ষণ |
প্রতিকার |
কীটনাশকের নাম |
পাতায় দাগপড়া রোগ | কোন কোন সময়, বিশেষত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় পাতায় বাদামী রং এর দাগ পরিলক্ষিত হয়। এ রোগের আক্রমন হলে ফলন এবং ফলের গুনগত মান হ্রাস পায়। | রিডোমিল গোল্ড নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করে সুফল পাওয়া যায়। | রিডোমিল গোল্ড |
ফল পঁচা রোগ | এ রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে জলে ভেজা বাদামী বা কালো দাগের সৃষ্টি হয়। দাগ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ফল খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়। | ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে নোইন ৫০ ডব্লিউ পি অথবা ব্যাভিস্টিন ডিএফ নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। | নোইন ৫০ ডব্লিউ পি অথবা ব্যাভিস্টিন ডিএফ |
ভারটিসিলিয়াম উইল্ট | এ রোগে আক্রানত্গাছ হঠাৎ করে দূর্বল ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। আক্রমণ বেশী হলে গাছ বাদামী বর্ণ ধারণ করে এবং মারা যায়। সাধারনতঃ জলাবদ্ধ জমিতে এ রোগের আক্রমণ বেশী হয়। | জমি শুষ্ক রাখতে হবে। পলিথিন মাল্চ ব্যবহার করলে তা তুলে ফেলতে হবে। কপার জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন বর্দ্দোমিক্সার (১:১:১০), কুপ্রাভিট অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর ২-৩ বার গাছের গোড়া ও মাটি ভালভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। | কপার জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন বর্দ্দোমিক্সার (১:১:১০), কুপ্রাভিট অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড |
পোকামাকড়ের নাম |
লক্ষণ |
প্রতিকার |
কীটনাশকের নাম |
পাখি | বিশেষ করে বুলবুলি ও শালিক স্ট্রবেরী ফলের সবচেয়ে বড় শত্রু। ফল আসার পর সম্পূর্ণ পরিপক্ক হওয়ার পূর্বেই পাখির উপদ্রব শুরু হয়। | ফুল আসার পর সম্পূর্ণ বেড জাল দ্বারা ঢেকে দিতে হবে যাতে পাখি ফল খেতে না পারে। | |
স্ট্রবেরি গাছে ফুল ধরাতে চাইলে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গাছ লাগানোর পর তার গোড়া থেকে প্রচুর রানার বা কচুর লতির মতো লতা বের হতে থাকে। এগুলো জমি ঢেকে ফেলে। এতে ফলন ভাল হয় না। আবার মাটির সংস্পর্শে এলে স্ট্রবেরীর ফল পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর স্ট্রবেরী গাছের গোড়ায় খড় বা পলিথিন বিছিয়ে দিতে হয়। পলিথিন সিট ৩০ সেন্টিমিটার পর গোলাকার ছিদ্র করে স্ট্রবেরি গাছের ঝোপকে মুঠো করে ঢুকিয়ে দিতে হয়। বেশি ফলন ও তাড়াতাড়ি ফল পেতে হরমোন গাছ পাতায় স্প্রে করা যেতে পারে। স্ট্রবেরীর গাছ প্রখর সৌর-তাপ এবং ভারী বর্ষণ সহ্য করতে পারেনা। এজন্য মার্চ-এপ্রিল মাসে হালকা ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা ফল আহরণের পর মাতৃগাছ তুলে টবে রোপণ করে ছায়ায় রাখতে হবে। ফল আহরণ শেষ হওয়ার পর সুস্থ্য-সবল গাছ তুলে পলিথিন ছাউনির নীচে রোপণ করলে মাতৃ গাছকে খরতাপ ও ভারী বর্ষণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যাবে। মাতৃ গাছ থেকে উৎপাদিত রানার পরবর্তি সময়ে চারা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে (সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে) রোপণকৃত বারি স্ট্রবেরী-১ এর ফল সংগ্রহ পৌষ মাসে আরম্ভ হয়ে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত (ডিসেম্বর থেকে মার্চ) চলে।
সময়ঃ কাঁচা ফল যখন হলদে বা লালচে রঙের হতে শুরু করে তখন বুঝা যাবে ফল পাকা শুরু হয়েছে। ফল পুরো পাকলে লাল হয়ে যায়। তবে বিক্রির জন্য ফল পুরো লাল হওয়ার দরকার নেই। সেক্ষেত্রে ফলগুলো শক্ত থাকা অবস্থায় তুলতে হবে।
পদ্ধতিঃ ফল তুলতে হবে বোটা সমেত। এতে ফলের স্থায়ীত্ত বারে।
১৩. পরিবহণ ব্যবস্থাঃ
পরিবহণ পদ্ধতিঃ কাগজের কার্টুন বা প্লাস্টিক কেজ দারা প্যাকেজিং করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহণ করা হয়ে থাকে এতে করে ফলে দাগ বা পঁচন কম হয়।
প্যাকেজিং পদ্ধতিঃ সাধারনত কাগজের কার্টুন বা প্লাস্টিক কেজ দারা প্যাকেজিং করা হয়ে থাকে।
১৫. সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
স্বল্প পরিসরেঃ ফল তোলার পর ১০-১২ দিন পর্যন উপযুক্ত পরিবেশে ভালো থাকে।
১৬. বাজারজাত ব্যবস্থাঃ
বাজার ব্যবস্থাঃ কাগজের প্যাকেটে বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা ডিমের ট্রেতে করে বাজারজাত করতে হবে।
১৭. তথ্যের উৎসঃ AIS, ekrishok.com, BARI. agrobangla.com
১৮. সর্বশেষ সংযোজন : জুলাই,২০১৪
আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- info@ekrishok.com
Your website’s graphics looks not proffesional. You schould
change it. Better graphics means a lot more conversions, faster load
and greater confidence of visitors. This is something that
can be useful for you, type in google:
Juicklor’s templates source
Thanks for your comments. We are trying to improve our website graphics.