পুঁইশাক | ই-কৃষক

পুঁইশাক

১. ফসলঃ পুঁইশাক
images

২. জাতঃ

উচ্চ ফলনশীল জাতঃ উচ্চ ফলনশীল জাত গুলো হলো-

জাত

কোম্পানীর নাম

বপনের সময়

বারি পুঁইশাক-১ (চিত্রা), বারি পুঁইশাক-২

BARI

ফেব্রুয়ারী-মার্চ

KS green

কৃষিবিদ গ্রুপ সীড

মাঘ থেকে ভাদ্র

মাধুরী, মনীষা

লালতীর সীড

ফেব্রুয়ারী থেকে আগষ্ট মাস

৩. উপযোগী জমি ও মাটিঃ সব ধরনের মাটিতেই পুঁইশাক জন্মে তবে  এটি সুনিকাশনযুক্ত বেলে দোআঁশ থেকে এটেল দোআঁশ মাটিতে সবচেয়ে ভাল হয়।

৪. বীজঃ

ভালো বীজ নির্বাচনঃ সাধারনত নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো ভালো বীজ নির্বাচনে সহায়ক :

  • রোগমুক্ত,পরিষ্কার,পরিপুষ্ট ও চিটামুক্ত হতে হবে।
  • সকল বীজের আকার আকৃতি একই ধরনের হবে।

বীজের হারঃ সারিতে বুনলে প্রতি শতকে ৮-১০ গ্রাম বীজ লাগবে (তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে) । আর ছিটিয়ে বুনলে বীজের পরিমাণ বেশী লাগবে।

বীজ শোধনঃ ভিটাভেক্স ২০০ / টিলথ অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়।

৫. জমি তৈরীঃ

জমি চাষঃ ৫ থেকে ৬ টি চাষ ও মই দিয়ে উত্তমরূপে জমি তৈরি করতে হয়।

৬. বপন ও রোপন এর পদ্ধতিঃ

বপন ও রোপন এর সময়ঃ ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ। সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে ও বর্ষায় এর চাষ ভাল হয়। বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে জমিতে বুনতে হয়। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।

ছিটিয়ে বা লাইনে বপনঃ ছিটিয়ে বা লাইনে দু ভাবেই বীজ বপন করা যায়।

রোপনঃ চারা উৎপাদন করে ১৫-২০ দিনের চারা লাগানো যায়। পুঁই শাকের চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারি ১ মিটার এবং প্রতি সারিতে ০.৫ মিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হয়।

৭. সার ব্যবস্থাপনাঃ

সারের নামঃ গোবর, সরিষার খৈল, ইউরিয়া, টিএসপি ও এমও পি।

সার প্রয়োগের সময়ঃ ইউরিয়া ছাড়া সব সারই জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে।

সারের পরিমাণঃ প্রতি শতকে গোবর -৬০ কেজি, সরিষার খৈল -৫০০ গ্রাম, ইউরিয়া- ৮০০,গ্রাম, টিএসপি-৪০০ গ্রাম, এমও পি-৪০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।

প্রয়োগ পদ্ধতিঃ চারার বয়স ১০-১২ হলে ইউরিয়া সার প্রথম কিস্তি, ৩০-৪০ দিন পর এবং প্রথমবার ফলন তোলার পর বাকি দুই কিস্তি এই মোট তিন কিস্তিতে উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।

৮. আগাছা দমন

সময়ঃ প্রায়ই মাটি আলগা করে দিতে হবে এবং আগাছা পরিস্কার করতে হয়।

দমন পদ্ধতিঃ কোদাল / নীরানির সাহয্যে আগাছা দমন করা যেতে পারে।

৯. সেচ ব্যবস্থাঃ

সেচের সময়ঃ মাটিতে রস না থাকলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। এবং তার আগে মাটি আলগা করে দিতে হবে।

সেচের পরিমাণঃ পরিমিত মাত্রায় সেচ দিতে হবে।

নিষ্কাশনঃ জমিতে পানি জমে থাকলে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. রোগ দমনঃ
1208.280x185.clip

রোগের নাম

লক্ষণ

প্রতিকার

কীটনাশকের নাম

পাতায় দাগ (বীজ বাহিত) রোগ

এ রোগের কারণে পাতায় দাগ পড়ে। শাকের গুণগত মান ও বাজারমূল্য কমে যায়।

এমকোজিন ৫০ ডব্লিউ পি, ২ এম এল/১ লিঃ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

এমকোজিন ৫০ ডব্লিউ পি

কান্ডের গোড়া পচা রোগ

এ রোগের কারণে পুঁইশাকের গোড়া পচে যায় এবং গাছ মরে যেতে পারে।

এমকোজিন ৫০ ডব্লিউ পি, ২ এম এল/১ লিঃ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

এমকোজিন ৫০ ডব্লিউ পি

১১. বিশেষ পরিচর্যাঃ ফলন বেশী পেতে হলে বাউনি দিতে হবে। চারা ১ ফুট সমপরিমাণ উঁচু হলে আগা কেটে দিতে হয়। এতে গাছ ঝোপালো হয়।

১২. ফসল কাটাঃ

সময়ঃ পুঁই গাছের ডগা মাঝে মাঝে কেটে দিতে হয়। এতে শাকও খাওয়া হয় আবার গাছে নতুন ডগাও বেরোয়। একবার চারা লাগিয়ে ৮ থেকে ১০ বার পুঁইশাক সংগ্রহ করা যায়।

পদ্ধতিঃ ধারালো ছুরি দিয়ে পুঁই গাছের ডগা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

১৩. পরিবহণ ব্যবস্থাঃ

পরিবহণ পদ্ধতিঃ পরিবহনের সময় পুঁই গাছের ডগা সংগ্রহ করে ছোট ছোট আটি বেধে নিতে হয়।

পরিবহণের মাধ্যমঃ ভার / বাইঙ্গা অথবা বেশি পরিমানের হলে ট্রাকের সাহায্যে পরিবহন করা হয়।

১৪. প্যাকেজিং:

প্যাকেজিংপদ্ধতিঃ প্যাকেজিং এর জন্য ফুড রেপিং পেপার, পেরফোরেটেড পেপার, ঝুড়ি, খাঁচা, প্লাস্টিক কেস, ব্যবহার করা যায়।

১৫. সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ

স্বল্প পরিসরেঃ ১-২ দিন সংরক্ষণ করা যায়।

১৬. বাজারজাত ব্যবস্থাঃ
new
বাজার ব্যবস্থাঃ পার্শবর্তী কোনো হাট-বাজারে বিক্রয় করতে পারেন।

১৭. তথ্যের উৎসঃ  AIS, BARI, কৃষি প্রযুক্তি হাত বই, ekrishok.com, krishitey.com,

১৮. সর্বশেষ সংযোজন :জুলাই,২০১৪

আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- info@ekrishok.com

 

 

Leave a Reply