ডাঁটা | ই-কৃষক

ডাঁটা

১. ফসলঃ ডাঁটা

২. জাতঃ

উচ্চ ফলনশীল জাতঃ উচ্চ ফলনশীল জাত গুলো হলো-

জাত

কোম্পানীর নাম

বপনের সময়

বারি ডাঁটা-১ (লাবনী)

BARI

ফেব্রুয়ারী-জুন

বারি ডাঁটা-২

BARI

ফেব্রুয়ারী-জুন

বাঁশপাতা, আখি, সুফলা-১

ব্র্যাক সীড

কে এস ০১

কৃষিবিদ গ্রুপ সীড

মাঘ থেকে বৈশাখ মাস

ভুটান সফট, রেড ম্যান

গেটকো সীড

অপরাপা, স্বরূপা

নামধারী সীড

লাবনী

এনার্জি প্যাক এগ্রো লি:

বপনের সময় জানুয়ারী-জুন

৩. উপযোগী জমি ও মাটিঃ  প্রায় সব ধরণের মাটিতেই ডাটা চাষ করা হয়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।

৪. বীজঃ

ভালো বীজ নির্বাচনঃ সাধারনত নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো ভালো বীজ নির্বাচনে সহায়ক

রোগমুক্ত, পরিষ্কার, পরিপুষ্ট ও চিটামুক্ত হতে হবে।

সকল বীজের আকার আকৃতি একই ধরনের হবে।

বীজের হারঃ প্রতি শতকে সারিতে বীজের হার  ৮০ গ্রাম এবং  ছিটিয়ে  ১২০ গ্রাম। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৬-১০ ইঞ্চি।

বীজ শোধনঃ ভিটাভেক্স ২০০ / টিলথ অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়।

৫. জমি তৈরীঃ

জমি চাষঃ আগে জমি খুব ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে।  জমি ও মাটির অবস্থা বুঝে ৪-৬ টি চাষ দিতে হবে।

৬. বপন ও রোপন এর পদ্ধতিঃ

বপন ও রোপন এর সময়ঃ  বপনের সময় জানুয়ারী-জুন। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।

ছিটিয়ে বা লাইনে বপনঃ ছিটিয়ে বা লাইনে বীজ বপন করা যায়।

৭. সার ব্যবস্থাপনাঃ

সার

এক শতকে

গোবর

৪০ কেজি

ইউরিয়া

৫০০ গ্রাম

টিএসপি

৩০০ গ্রাম

এমওপি

          ৪০০ গ্রাম

সার প্রয়োগের সময়ঃ ইউরিয়া তিন ভাগের এক ভাগ সহ অন্যান্য সব সার বীজ বোনার আগেই মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি দুই ভাগ ইউরিয়া বীজ গজানোর ১০-১৫ দিন পর এবং ২০-২৫ দিন পর দিতে হবে।

৮. আগাছা দমনঃ

সময়ঃ আগাছা হলে নিড়ানীর সাহায্যে তা দমন করতে হবে।

৯. সেচ ব্যবস্থাঃ

সেচের সময়ঃ মাটিতে রস কম থাকলে পরিমিত পরিমাণে সেচ দিতে হবে।

নিষ্কাশনঃ নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।

১০. রোগ ও পোকামাকড় দমনঃ

রোগের নাম

লক্ষণ

প্রতিকার

কীটনাশকের নাম

মরিচা রোগ

এ রোগ গাছের শিকড় ছাড়া সকল অংশকেই আক্রমণ করে। সাদা অথবা হলুদ দাগ পাতার নিচে দেখতে পাওয়া যায়। পরে সেগুলো লালচে বা মরিচা রং ধারন করে এবং পাতা মরে যায়। প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম ডাইথেন এম – ৪৫ ঔষধ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ডাইথেন এম – ৪৫

পোকামাকড়ের নাম

লক্ষণ

প্রতিকার

কীটনাশকের নাম

শুয়া পোকা

এ পোকা গাছের পাতা খেয়ে সমুহ ক্ষতি করে থাকে। ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি, রক্সিয়ন ৪০ ইসি, ইকালাক্স ২৫ ইসি ঔষধগুলোর যেকোন একটি ৪.৫ -৫ এম এল প্রতি শতক জমিতে স্প্রে করতে হবে। ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি, রক্সিয়ন ৪০ ইসি, ইকালাক্স ২৫ ইসি

 

১১. বিশেষ পরিচর্যাঃ নিয়মিত দেখা শোনা করতে হবে।

১২. ফসল কাটাঃ

সময়ঃ বীজ বোনার ৩০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে শাক খাওয়ার উপযুক্ত হয়। আর ডাঁটার জন্যে আরো বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

১৩. তথ্যের উৎসঃ  AIS, BARI, কৃষি প্রযুক্তি হাত বই, krishitey.com,

১৪. সর্বশেষ সংযোজন : জুলাই,২০১৪

আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- info@ekrishok.com

One thought on “ডাঁটা

Leave a Reply