পুষ্টি বিষয়ক ফ্যাক্টশীট | ই-কৃষক

Category Archives: পুষ্টি বিষয়ক ফ্যাক্টশীট

ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস

সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ১০ ধরনের পুষ্টি
ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস ভালো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। আর ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খেতে হলে পুষ্টির বিষয়টি মাথায় রাখতেই হয়। ১০ ধরনের পুষ্টি রয়েছে, যেগুলো সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এগুলোর অভাবে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে শরীরের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজনীয় ১০টি পুষ্টির কথা।

১. আঁশ
একজন সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২১ থেকে ২৫ গ্রাম আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এটি শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরে শক্তি জোগায়। এটি পেট ফোলা ভাব, গ্যাস ইত্যাদির সমস্যা প্রতিরোধ করে। শাকসবজিতে আঁশ পাওয়া যায়।

২. ক্যালসিয়াম
প্রতিদিন এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া প্রয়োজন। দুধ, দই, মটরশুটি, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতকে সুরক্ষিত রাখে; পেশির গঠনে সাহায্য করে।

৩. ম্যাগনেসিয়াম
১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সের নারীদের ৩১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম খাওয়া জরুরি। ত্রিশের বেশি বয়সের নারীদের ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করতে হয়।
ম্যাগনেসিয়াম শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি মিনারেল। এটি পেশির কার্যক্রমকে ভালো রাখে; শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে কাজ করে। কাঠবাদাম, শাক, শিমের বিচি ইত্যাদিতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।

৪. ভিটামিন-ই
প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ই গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভিটামিন-ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাবি। এটি ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। ফ্রি র্যাডিকেল কোষকে নষ্ট করে দেয়। পালংশাক, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদিতে ভিটামিন-ই রয়েছে।

৫. ভিটামিন-সি
প্রতিদিন ৭৫ গ্রাম ভিটামিন-সি শরীরে প্রয়োজন। কমলা, মাল্টা, ব্রকলি, জলপাই ইত্যাদির মধ্যে ভিটামিন-সি রয়েছে। ভিটামিন-সিও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এটি ত্বককে ভালো রাখে; শরীর পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

৬. প্রোটিন
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৪৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়। মাংস, ডাল, দইয়ের মধ্যে প্রোটিন থাকে। পেশির গঠনে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে।

৭. আয়রন
প্রতিদিন ১৮ গ্রাম আয়রন শরীরে প্রয়োজন। কাঁচা কলা, কলিজা, লতি, ডালিম ইত্যাদির মধ্যে আয়রন রয়েছে। আয়রন শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। যাঁদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে, তাঁদের রক্তশূন্যতা ও অবসন্নতার সমস্যা হয়।

৮. ভিটামিন-ডি
প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ৬০০ আইইউ ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলোতে। এ ছাড়া টুনা, স্যামন, ম্যাকরেল ইত্যাদি মাছে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। এটি পেশির গঠন ও হাড় ভালো রাখতে কাজ করে।

৯. ভিটামিন-এ
প্রতিদিন ৭০০ আইসিইউ ভিটামিন-এ গ্রহণ করতে হয়। গাজর, লালশাক, আলু ইত্যাদির মধ্যে ভিটামিন-এ রয়েছে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠনে ও কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এটি দৃষ্টি ভালো রাখতে কাজ করে।

১০. পটাসিয়াম
প্রতিদিন ৪ দশমিক ৭ গ্রাম পটাসিয়াম শরীরের জন্য জরুরি। কলা, আলু ইত্যাদির মধ্যে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এটি কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙতে সাহায্য করে এবং হৃদস্পন্দন ভালো রাখে।

Source: Modern Agriculture Facebook Page