তথ্য ভান্ডার | ই-কৃষক | Page 3

Category Archives: তথ্য ভান্ডার

ব্রোকলি খেলে যে ৭ উপকার

af2d786f81e3cb958e550bd5c7b303db-brokly

সালাদে ও রান্নায় এখন অনেকেই ব্রোকলি খান। এখন বাজারে প্রচুর ব্রোকলি পাওয়া যাচ্ছে। পুষ্টিবিদেরা ব্রোকলিকে দারুণ পুষ্টিকর সবজি বলেন। এতে দুর্দান্ত কিছু উপকারী উপাদান আছে, যা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে।
এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। আমেরিকান ক্যানসার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তালিকায় ক্যানসার প্রতিরোধী দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ব্রোকলি।
পুষ্টিবিদদের তথ্য অনুযায়ী, ব্রোকলিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক থাকে। ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস। এ ছাড়া এটি ত্বকের জন্য ভালো। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এতে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

ব্রোকলির সাত উপকার সম্পর্কে জেনে নিন:

১. ভিটামিন সি: লেবুর দ্বিগুণ ও আলুর সাত গুণ ভিটামিন সি ব্রোকলিতে। বলা হয়, যাঁদের ভিটামিন সি দরকার, তাঁরা অল্প করে হলেও ব্রোকলি প্রতিদিন খেতে পারেন।

২. ক্যানসার প্রতিরোধ: ব্রোকলির বিটা ক্যারোটিন ও সেলিনিয়াম যৌথ ও ভিটামিন সি প্রোস্টেট, কোলন, ফুসফুস, যকৃত, স্তন ও প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: সেলিনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকায় ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। সর্দি-কাশিও ঠেকাতে পারে ব্রোকলি।

৪. গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধ: গ্যাসট্রিক আলসার ও গ্যাসট্রাইটিস প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর ব্রোকলি। বাঁধাকপির চেয়ে এতে অনেক বেশি ভিটামিন ইউ (মেথিওনাইনের উপজাত) থাকে। এতে সালফরাফেন নামের উপাদান থাকে যা গ্যাসট্রিক অ্যালসার ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৫. বয়স ঠেকাতে: শরীরে সক্রিয় অক্সিজেন প্রতিরোধ করে ও বিষমুক্ত করে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে সাহায্য করে ব্রোকলি।

৬. ত্বক সুন্দর করে: ব্রোকলিতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক সুন্দর করে। এ ছাড়া এতে ডায়াটারি আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিণ্য প্রতিরোধ করে।

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে: ব্রোকলিতে চর্বি ও ক্যালরি কম কিন্তু আঁশ বেশি। তাই বেশি করে ব্রোকলি খেলে ক্ষতি নেই। বেশি লৌহ থাকায় ডায়েটের সময় ব্রোকলি থেকে ঝিম ধরা ভাব দূর হয়।

যেভাবে খাবেন: ব্রোকলি কেনার সময় সতেজ, শক্ত কুঁড়ি ও গাঢ সবুজ দেখে কিনতে হবে। ব্রোকলির শুধু কুঁড়ি অংশটি খেতে পারেন। আবার চাইলে নরম ডাঁটা অংশটুকু রাখতে পারেন। ডাঁটাতেও পুষ্টি আছে। ব্রোকলি রান্নার পাশাপাশি সালাদ ও মাংসের সঙ্গে রোস্ট করে খাওয়া যায়।

সূত্র: প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭

বোরো ধানের চিটা কমাতে করণীয়

15032233_1112162078903429_3758883572811805549_n

একটু সহজ করে বলতে চাই, আমরা জানি, ব্রি ধান২৮ এর গড় জীবনকাল ১৪০ দিন। মনেকরি, একজন কৃষক ২৫ নভেম্বর বীজতলায় বীজ বপন করল। ৪০ দিন বয়সের চারা মাঠে রোপন করেন (অর্থ্যাৎ ০৪ জানুয়ারি)। মূল জমিতে চারা লাগানোর পর থেকে সর্বোচ্চ কুশি স্তর পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ৪০ দিন (অর্থ্যাৎ ১৫ ফেব্রæয়ারি)। অত:পর ধান গাছের প্রজনন পর্যায়ের কাইচ থোড় স্তর শুরু হয়। ধান গাছে কাইচ থোড় থেকে ফুল ফোটা স্তর পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ৩০ দিন (অর্থ্যাৎ ১৫ মার্চ)। পরবর্তীতে ধান পাকা পর্যায়ের দুধ স্তর শুরু হয়ে পরিপক্কতায় পৌছাতে প্রায় ৩০ দিন সময় লাগে (অর্থ্যাৎ ১৫ এপ্রিল)। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর প্রেক্ষিতে দেখা যায় জানুয়ারি মাস সবচেষে শীতল মাস। তাছাড়া এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। হাওর অঞ্চলে আগাম বোরো ধান আবাদ করলে অর্থ্যাৎ অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বীজতলা এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে মূল জমিতে রোপণ করলে নিশ্চিত অতিরিক্ত ঠান্ডা কালীন সময়ে (১৫ জানুয়ারি ) প্রজনন পর্যায়ের কাইচ থোড় স্তর আক্রান্ত হয় ফলে চিটা হয়। ঠান্ডাজনিত কারণে চিটা হলে আমরা এটাকে কোল্ড ইনজুরি বলে থাকি। আবার অনেক কৃষক ভাইয়েরা যদি একটু দেরিতে বোরো আবাদ করেন অর্থ্যাৎ জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে বা ফেব্রæয়ারি মাসের প্রথম দিকে তাহলে প্রজনন পর্যায়ের কাইচ থোড় স্তরটি অতি গরমকালীন সময়ে (১৫ মার্চ) গরমে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে ধানে চিটা হতে পারে।
ব্রি ধান২৮, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সমযে ৪৫ দিনের চারা রোপণ করলে সবচেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়। ব্রি ধান২৯, ২০ ডিসেম্বর হতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৪৫ দিনের চারা রোপণ করলে চিটার পরিমান কম হয় এবং ফলন বেশি হয়। তাই ব্রি ধান২৯ এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ০৫ হতে ২৫ নভেম্বর এবং ব্রি ধান২৮ এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হলো ১৫ থেকে ২৫ নভেম্বর। তাই, উফশী নাবী জাতগুলো ৫ নভেম্বর এবং আগাম জাতগুলো ১৫ নভেম্বর থেকে বীজ বপন শুরু করলে ফসলের থোড়/গর্ভাবস্থা ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রম করতে পারে, ফলে ঠান্ডা বা গরমের কারণে ধান চিটা মুক্ত হবে এবং ফলন বেশি হবে।
মোদ্দাকথা হলো ধানের কাইচ থোড় থেকে ফুল স্তর পর্যন্ত সময়টুকু অতিরিক্ত ঠান্ডা (জানুয়ারি থেকে মধ্য ফেব্রয়ারি) এবং অসহনীয় গরম (মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিল) এ সময়ে ফ্রেমে যেন না পড়ে সেদিকে একটু বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

সূত্র: কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ।

অধিক ধান উৎপাদনে এসআরআই পদ্ধতি

Rice

ধানচাষে কম খরচে, অতি যত্ন নিয়ে ও কম কৃষি উপকরণ ব্যবহার করে অধিক ধান উৎপাদন করার পদ্ধতিকে (System of Rice Intensification), এসআরআই, বাংলায় একে সমন্বিত ধানচাষ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বলা যেতে পারে। বলে। ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় উপকরণ কম ব্যবহার করে আধুনিক পদ্ধতিতে ধানচাষ করার কৌশল ১৯৮০ সালে উদ্ভাবন করেন মাদাগাস্কার বিজ্ঞানী ফাদার হেনরি ললানি। এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন, রোপণ, সেচ, সার, কীটনাশক কম লাগে। কিন্তু ধানের ফলন হয় বেশি।

এসআরআইয়ের বৈশিষ্ট্য : কৃষি উপকরণ কম লাগে। ফলে উৎপাদন খরচ কম হয়। ধান উৎপাদন বেশি হয়। সঠিক পরিমাণ সেচ, আগাছা দমনসহ বিভিন্ন কারণে ফলন বেশি হয়। অতি পরিচর্যা করা হয়। উৎপাদন সময় কম লাগে। অল্প বয়সের চারা রোপণ করা হয়। শ্রমিক কম লাগে। কম বয়সী চারা রোপণ করা হয়। জৈবসার প্রয়োগ করা হয়। পর্যায়ক্রমে জমি ভেজানো ও শুকানো হয়। বর্গাকারে চারা রোপণ করা হয়। যন্ত্র দিয়ে আগাছা দমন করা হয়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি।

চারার বয়স : কম বয়সের ৩৫-৪০ দিনের চারা রোপণ করা হয়। এতে চারা শক্ত থাকে ফলে মারা যায় না এবং রোপণের পর আগাম থোড় বের হয় না। জলাবদ্ধ পদ্ধতির চেয়ে ১০-১৫ দিন আগে ধান পরিপক্ব হয়। সার ও সেচ কম লাগে। পোকা ও রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পরবর্তী ফসলের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়।

রোপণ দূরত্ব : সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩৫-৪০ সেন্টিমিটার করে বর্গাকারে চারা রোপণ করা হয়। প্রতি গুছিতে একটি চারা রোপণ করা হয়। এতে গাছ পুষ্টি ও আলো-বাতাস বেশি পায়। কুশি বেশি, ফলন বেশি বীজ, সার ও সেচ কম লাগে। গুছিতে চারা বেশি দিলে পুষ্টি, পানি ও জায়গার জন্য প্রতিযোগিতা করে।

সার প্রয়োগ : রাসায়নিক সার কম দিয়ে জৈবসার বেশি দেয়া হয়। এতে মাটি, পানি ও বাতাসের পরিবেশ ভালো থাকে। উৎপাদন খরচ কমে। মাটির ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক গুণাবলির উন্নতি হয়। মাটির উর্বরতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। অণুজৈবিক কার্যাবলি বাড়ে। মাটির অমস্নত্ব নিয়ন্ত্রণ হয়। ফলন বেশি হয়।

আগাছা দমন : রাইচ উইডার দিয়ে আগাছা দমন করে মাটির সঙ্গে আগাছা মিশিয়ে দেয়া হয়। যা পচে জৈব সারের কাজ করে। সেচ ও নিকাশ দ্বারাও আগাছা দমন হয়। সনাতন পদ্ধতির মতো বার বার দমন করতে হয় না ফলে খরচ কমে।

পুষ্টি ব্যবস্থাপনা : ধানের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য মাটিতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকা দরকার। মাটিতে পুষ্টি উপাদান সরবরাহের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জমিতে পর্যাপ্ত জৈবসার প্রয়োগ করা। সেচ ও নিকাশ করে জৈবসার মাটির সঙ্গে মেশাতে হবে। সেচ ও নিকাশের দ্বারা কোনো কোনো পুষ্টি গাছের জন্য সহজলভ্য হয়। মাটিতে পুষ্টি থাকা সত্ত্বেও কিছু পুষ্টি গাছ পানির অভাব গ্রহণ করতে পারে না।

এজন্য সেচ দিয়ে পুষ্টি গাছ সহজে শোষণ করতে পারে। পানি বেশি হলে কিছু পুষ্টি গাছ গ্রহণ করতে পারে না। জমি থেকে পানি নিকাশ করলে গাছ পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। মাটিতে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করার সবচেয়ে ভালো উপায় এসআরআই পদ্ধতিতে ধানচাষ করা। সনাতন পদ্ধতিতে ধানচাষে সবসময় প্লাবন পদ্ধতিতে সেচ দেয়া হয়। এসআরআই পদ্ধতিতে যখন গাছে পানির প্রয়োজন হবে ঠিক তখন যে পরিমাণ দরকার ঠিক সে পরিমাণই সেচ দেয়া হয়।

সূত্র: কৃষিবিদ ফরহাদ আহমেদ
লেখক: সম্পাদক, কৃষি প্রতিক্ষণ, বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং

রংপুরেের গম চাষী ভাইদের জন্য জরুরী বার্তা :

রংপুরেের গম চাষী ভাইদের জন্য জরুরী বার্তা :

গমের ব্লাস্ট একটি ভয়ানক রোগ। একবার গমে আক্রমন করলে শতভাগ ফসল হানী হতে পারে। তাই এই রোগ প্রতিরোধে ফুল আসার আগ দিয়ে “নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি” বা “নভিটা ৭৫ ডব্লিউ জি” প্রতি ১০ লিটার পরিষ্কার পানিতে ৬ গ্রাম ভালভাবে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। তার ১২ থেকে ১৫ দিন পর আবার স্প্রে করুন। দানা বাঁধা অবস্থায় যদি বৃষ্টি বা ঘন কুয়াশা হয় সে ক্ষেত্রে আরো একবার স্প্রে করতে হবে।
স্প্রে করার সময় ক্ষেতের আইলের উপরও স্প্রে করতে হবে।
রংপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাগনকে এব্যাপারে জরুরীভাবে কাজ করার জন্য ও কৃষকদের অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

সূত্র: স. ম. আশরাফ আলী
উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন, রংপুর।

পেপেঁ চাষ পদ্ধতি

পেপেঁ

papaya2d
চারা তৈরি: বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। পলিথিন ব্যাগে চার তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
চারা রোপণ: দেড় থেকে দুই মাস বয়সের চারা রোপণ করা হয়। ২ মিটার দূরে দূরে চারিদিকে ২ ফুট পরিমান গর্ত তৈরি করে রোপণের ১৫ দিন আগে গর্তের মাটিতে সার মিশাতে হবে। পানি নিকাশের জন্য দুই সারির মাঝখানে  ৫০ সে.মি নালা রাখা দরকার। বানিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষের জন্য বর্গাকার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রতি গর্তে  ৩ টি করে চার রোপণ করতে হয়। ফুল আসলে ১ টি স্ত্রী গাছ রেখে বাকি গাছ তুলে ফেলা দরকার। পরাগায়ণের সুবিধার জন্য বাগানে ১০% পুরুষ গাছ রাখা দরকার।
সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গাছে ১৫ কেজি জৈব সার, ৫৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ৫৫০ গ্রাম টিএসপি সার, ৫৫০ গ্রাম এমওপি সার, ২৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২৫ গ্রাম বোরাক্স সার এবং ২০ গ্রাম জিংক সালফেট সার একত্রে ভালভাবে প্রয়োগ করতে হয়।  ইউরিয়া ও এমওপি সার ছাড়া সব সার গর্ত তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর পর গাছে নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমওপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি ১ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়। গাছে ফুল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ করা হয়।
অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা:  ফুল হতে ফল ধরা নিশ্চিত মনে হলে একটি বোঁটায় একটি ফল রেখে বাকিগুলো ছিড়ে ফেলতে হবে। গাছ যাতে ঝড়ে না ভেঙ্গে যায় তার জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছ বেঁধে দিতে হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: চারা রোপণ এবং সার প্রয়োগের পর প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। খরা মৌসুমে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর হালকা সেচ দিতে হবে।
রোগ ব্যবস্থাপনা:
রোগের নাম: পেঁপের ড্যাম্পিং অফ রোগ দমন।
  • ভূমিকা: মাটিতে যে ছত্রাক থাকে তার দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত: চারা অবস্থায় অথবা বীজ গজানোর সময় হয়ে থাকে। বীজের অংকুর গজানোর সময় এ রোগের জীবাণু অতি সহজেই বীজ অথবা অংকুরকে আক্রমণ করে।
  • ক্ষতির নমুনা: এ অবস্থায় বীজ পচে যায় এবং চারা মাটির উপর বের হয়ে আসতে পারেনা। এভাবে অংকুর গজানোর আগেই পচন হতে পারে। চারা গজানোর পরেও জীবাণুর আক্রমণ ঘটে। এ পর্যায়ে চারার গোড়া বা শিকড় পচে গিয়ে আক্রান্ত চারা মাটিতে পড়ে যায় এবং মারা যায়। চারার বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ রোগের প্রকোপ কমে যায়।
  • অনুকূল পরিবেশ: বর্সা মৌসুমে ঢলে পড়া রোগের প্রকোপ খুব বেশি।
  • বিস্তার: বৃষ্টির পানিতে অথবা সেচের পানিতে এ রোগের জীবাণু ছড়ায়।

ব্যবস্থাপনা: গাছের গোড়ার পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা রাখা দরকার। রোগাক্রান্ত চারা গাছ মাটি থেকে উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। আক্রমন বেশি হলে রিডোমিল এমজেড-৭২ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর গাছের গোড়ার চারিদিকের মাটিতে প্রয়োগ করা দরকার। জিংকের ঘাটতির জন্য মোজাইক লক্ষণ দেখা দিলে গাছের গোড়ায় গাছপ্রতি ৫-১০ গ্রাম জিংক প্রয়োগ করলে এবং ০.২% জিংক গাছের পাতায় স্প্রে করলে এ সমস্যা কমে যায়।

ফসল তোলা: সবজি হিসেবে কচি ফল সংগ্রহ করা হয়। পাকানোর জন্য ফলের ত্বক হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে সংগ্রহ করতে হয়।

সুত্রঃ কৃষি তথ্য সার্ভিস (এ আই এস)