Author Archives: Admin

টিপস্-1

খরা প্রবন এলাকায় আভিযোজনের জন্য মিনি পুকুর খনন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষন করুন, আমন ধানে সম্পুরক সেচ দিন বা সব্জি চাষ করুন। আরও জানতে ফোন করুন 01746774281 নম্বরে।…ই-কৃষক

Adiabad2

এগিয়ে যাচ্ছে ‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ ক্যাম্পেইন

বিআইআইডি, স্থানীয় উদ্যোক্তা ও সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ ক্যাম্পেইন এগিয়ে যাচ্ছে । ইতিমধ্যেই যশোর, ঠাকুরগাঁ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৬১ টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে । এ ইভেন্টগুলোতে কৃষক রেজিস্ট্রেশানসহ ‘মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক কি কি সেবা এবং কিভাবে পেতে চান’ শীর্ষক বেশ কিছু নতুন আইডিয়া পাওয়া যায় । এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাপ্ত নতুন আইডিয়াগুলোর থেকে ১০০টি কার্যকর আইডিয়াকে পুরস্কৃত করা হবে এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম ১০ জনের আইডিয়াকে প্রফাইলিং করা হবে । বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গ্রামীণ ফোনের সহযোগিতায় বিআইআইডি এই কার্যক্রমকে পরিচালনা করছে ।

সমস্যা: কূল গাছের ফল হলুদ হয়ে যাচ্ছে।

সমাধান:
১. বাগান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ২. পুরনো ডাল পাতা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। ৩. ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম/টিল্ট২৫০ইসি ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩/৪বার স্প্রে করতে হবে।

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

“আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” ক্যাম্পেইন চলছে

কৃষি কাজে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে চলছে “আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” ক্যাম্পেইন।

এই ক্যাম্পেইনে মূলতঃ কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ এবং “মেবাইল ও ইন্টারনেট ভিত্তিক কি ধরনের সেবা কৃষির উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে” এ বিষয়ে কৃষকদের কাছ থেকে আইডিয়া/ধারনা গ্রহন করা হবে এবং ভালো আইডিয়া/ধারনা প্রদানকারীকে পুরস্কৃত করা হবে।

ক্যাম্পেইনটি ১৭ই জুন, ২০১৪ইং তারিখ শুরু হয়েছে এবং এর লক্ষ্য বাংলাদেশের ১০০ স্থানে ১ লক্ষ কৃষকের কাছে পৌছানো। ইতোমধ্যে ১৮ই জুন, ২০১৪ইং তারিখ হতে ৮ নভেম্বর, ২০১৪ইং তারিখ পর্যন্ত ৬১ টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ক্যাম্পেইনটি মূলত হাট এবং কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি পন্যের খুচরা বিক্রেতা, স্থানীয় উদ্যোক্তা, কলেজের প্রিন্সিপাল সহ প্রমুখ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিপুল সংখ্যক কৃষক এবং ছাত্র-ছাত্রী এতে অংশগ্রহন করে, তাদেরকে ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে কৃষকদের সেবা দেওয়া সম্ভব এই সম্পর্কিত আইডিয়া/ধারনা প্রদানে উৎসাহিত করা হয়।

gp-flash

“আগামীর কৃষক ই-কৃষক” কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

কৃষি খাতে তথ্য প্রযুক্তির (ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন প্রভৃতি) ব্যাবহর বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সার/বীজ/কীটনাশক বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট সকলের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে বিআইআইডি, গ্রামীন ফোন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর যৌথ ভাবে “আগামীর কৃষক, ই-কৃষক কর্মসূচী” গ্রহন করেছে। গত ১৭ই জুন, ২০১৪, সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল(BARC), ফার্মগেট, ঢাকা এর অডিটরিয়ামে উক্ত প্রচারণা কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান জনাব সুনীল কান্তি বোস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের আইসিটি ডিভিশনের সচিব জনাব মো: এন, আই, খান, কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব আনোয়ার ফারুক, গ্রামীন ফোন এর জনাব আরল্যান্ড প্রেস্ট গার্ড, এফএও এর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জনাব মাইক রবসোন, এসিআই এর ডা. এফ এইচ আনসারি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তারের ICT4D এর ডিরেক্টর ড. অনিল দাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইডি এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শহিদ উদ্দীন আকবর।কৃষকদের তথ্য প্রযুক্তির ব্যাবহারে উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষে এই কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। “আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” এমন একটি কর্মসূচী যার উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ ও আইডিয়া উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কৃষক ও সংশ্লিষ্ট সকলের জীবন মান উন্নয়নে সহায়তা করা। আগামী তিন মাস ব্যাপী দেশের ১০০টি স্থানে এই প্রচারণা চালানো হবে যার মাধ্যমে কৃষকেরা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কিভাবে কৃষিতে সফলতা আনা যায় সেই ব্যাপারে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা প্রদানের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। আশা করা হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির সেবা গ্রহন থেকে পিছিয়ে পড়া কৃষক জনগোষ্ঠী কৃষিকাজে সফলতা আনতে অনুপ্রাণীত হবে।

Md. Faruk

Life Insurance Plan Because of e-Krishok

Mohammed Faruk is a farmer from the village of Mamurdhi in Kapasia in the district of Gazipur. He is about 35 years old and he has been a farmer all his life; he farms land which he mostly has inherited from his father and the rest he has bought by himself. His father used to be a businessman, who was able to buy a sizable amount of land that he left to his children. Faruk is not married and he lives in his own homestead with his mother, elder brother and his family. He farms mostly vegetables such as jali kumra, red spinach, sweet pumpkin, potato; he also farms jute as a cash crop. Besides this, he farms rice like most other farmers in his area.

সমস্যা: পোকা বেগুন গাছের ডগা ছিদ্র করছে।

সমাধান: সবিক্রন ৪২৫ ইসি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ মি.লি. ঔষধ মিশিযে মিশ্রনটি ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করে ভালোভাবে গাছ ভিজিয়ে দিতে হবে। প্রতি ১৫ দিন পর পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক বার স্প্রে করতে হবে।

সমস্যা: শশা গাছের পাতায় সাদা গুড়া পাউডারের মতো পড়েছে।

সমাধান:থিওভিট ৮০ ডব্লিউ জি প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম ঔষধ মিশিযে মিশ্রনটি ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করা যাবে। প্রতি ১৫ দিন পর পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক বার স্প্রে করতে হবে।

DCCI

BIIDএর উদ্যোগে রংপুরে নুতন উদ্যোক্তাদের নিয়ে “উদ্যোক্তা উন্নয়ন” শীর্ষক কর্মসুচী উদ্বোধন

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) এর উদ্যোগে VSO এরসহযোগীতায় রংপুরের পায়রাবন্দে নুতন উদ্যোক্তাদের নিয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়ন” শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকিং খাতসহ অন্যান্য অর্থ ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে নুতন উদ্যোক্তাদের একটি সেতুবন্ধ তৈরী করা যাতে নুতন উদ্যোক্তাগন ব্যবসা ক্ষেত্রে তাদের নুতন চিনন্তাগুলো (নুতনআইডিয়া) কাজে লাগাতে সহয়তা ও সহযোগীতা পেতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক লি: এর মহা-ব্যাবস্থাপক জনাব এ এফ এম আলী আসগর কর্মশালাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নুতন উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের জন্য যেসকল ব্যাংকিং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তার উল্লেখ করেন। তিনি SME ঋন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন যে, এটি নুতন ও কম সুবিধাভোগী ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ের লক্ষে করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব ফিরোজ আহমেদ তার বক্তব্যে কৃষি খাতকে ব্যবসা খাতে রূপান্তরের যে সুযোগ সমুহ রয়েছে এবং কিভাবে একটি টেকসই ও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে উদ্যোক্তাগন কৃষি খাতের ব্যাবসায়ে সফল হতে পারেন তা ব্যাখ্যা করেন।

BIID এর প্রধান নির্বাহী জনাব মো: শহীদ উদ্দিন আকবর মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন এবং সভা পরিচালনা করেন। কর্মশালাটিতে বিভিন্ন ব্যাংক, অর্থ ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন ও বিপুলসংখ্যক স্থানীয় আগ্রহী উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালাটিতে বিভিন্ন আলোচনায় উদ্যোক্তাগন যাতে ব্যাবসায় অর্থায়নের দিকে মনোযোগ সীমাবদ্ধ না রেখে সঠিক ও কার্যকর ব্যবসা পরিকল্পনায় বেশী দৃষ্টি দেন সে বিষয়ে মতামত দেয়া হয়। বক্তাগন উদ্যোক্তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্য প্রচলিত ঋণ ব্যবস্থায় তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য ঋন কর্মসূচী, ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা ও উদ্যোক্তাদের ইতিবাচক মনোভাবের উপর ও গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালাটি আয়োজন করার ক্ষেত্রে পায়রাবন্দ জনকল্যান উন্নয়ন সংস্থা (পিজেকেইউএস) বিআইআইডি এর সহযোগী ছিলেন। অ্রনুষ্ঠানে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য নুতন আর্থিক পণ্য উন্নয়ন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষন কর্মশালা পরিচালনার জন্য আহবান জানানো হয়।

Gerbera Flower

জারবেরার উৎপাদন প্রযুক্তি

জারবেরার জাতসমূহ

বারি জারবেরা-১:

BARI Gerbera-1

বারি জারবেরা-১

এ জাতটি দ্রুত বর্ধনশীল বহুবর্ষজীবী হার্ব জাতীয় উদ্ভিদ। গাছ রোমাবৃত (Hairy) এবং ২৫-৩০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। জারবেরা কান্ডহীন, পাতা গাঢ় সবুজ বর্ণের এবং পাতার কিনারা খাঁজযুক্ত। ফুলের রং গাঢ় লাল, কেন্দ্র হালকা সবুজাভ এবং ৯.৫-১০ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে জারবেরা সারা বছর চাষ করা যায়, তবে অক্টোবর-নভেম্বর মাস চারা লাগানোর সর্বোত্তম সময়। চারা লাগানোর পর থেকে ১০০-১১০ দিনের মধ্যে ফুল আসে। প্রতি ঝাড়ে এক বছরে ২০-২৫টির মত ফুল ফোঁটে এবং হেক্টরপ্রতি ফলন ৯-৯.৫ লক্ষ ফুলের স্টিক। ফুলের সজীবতা থাকে ৮-৯ দিন।

বারি জারবেরা-২:

BARI Gerbera-2

বারি জারবেরা-২

এ জাতটি বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়। পাতার রং হালকা সবুজাভ এবং গভীর খাঁজযুক্ত। গাছ কান্ডহীন, রোমাবৃত এবং ৩০-৩৫ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুলের রং সাদা এবং ৯-৯.৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট। প্রতিটি পুষ্পদন্ডের ওজন ১৪-১৫ গ্রাম। বাংলাদেশের সব অঞ্চলে এ জাতটি চাষ করা যায়। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সারা বছর চারা লাগানো যেতে পারে। তবে শীত মৌসুম অর্থ্যাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাস চারা লাগানোর সর্বোত্তম সময়। চারা লাগানোর পর থেকে ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফুল আসে। প্রতি ঝাড়ে এক বছরে ২২-২৫টির মত ফুল জন্মায় এবং হেক্টরপ্রতি ফলন ৯.৫-১০ লক্ষ ফুলের স্টিক।

মাটি:

জারবেরা চাষের জন্য সুনিষ্কাশিত, ঊর্বর দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটি উত্তম। মাটির পিএইচ মাত্রা ৫.৫ থেকে ৭.০ এর মধ্যে থাকা উচিত।

বংশ বৃদ্ধি:

জারবেরার বংশ বৃদ্ধি বীজের মাধ্যমে করা যায়। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত গাছে মাতৃগাছের সকল গুণাবলী বজায় থাকে না, তবে পদ্ধতিটি সহজ। মাতৃ গাছের ক্লাম্প বিভক্ত করে বংশ বৃদ্ধি করা যায়। এ জন্য মাঠের সুপ্রতিষ্ঠিত ও পরিপূর্ণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত গাছগুলিকে ছোট ছোট ভাগে ধারালো ছুরি দিয়ে ভাগ করা হয়। উক্ত সকারগুলির (Sucker) পাতা ও শিকড় হালকা প্র“নিং (Pruning) করে পরবর্তীকালে নতুন বেডে (Bed) লাগানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি দুটি খুব উপযোগী নয়।

Gerbera seedling produced by tissue culture

টিস্যুকালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা

অল্প সময়ে প্রচুর সংখ্যায় রোগমুক্ত চারা পাওয়ার জন্য টিস্যুকালচার পদ্ধতিটি উত্তম। এ জন্য প্রথমে সঠিক জাত নির্বাচন করতে হবে। পরে ঐ গাছের কান্ডের বর্ধিত অগ্রাংশ (Growing shoot tips), ফুল কুঁড়ি Flower bud), পাতা (Leaf) ইত্যাদিকে এক্সপ¬ান্ট (Explants) হিসেবে নিয়ে বার বার সাব-কালচার (Sub-Culture) করে অসংখ্য চারা উৎপাদন করা সম্ভব।

জমি তৈরি:

জারবেরার জমিতে পরিমাণমত জৈব সার দিতে হবে। তারপর ৪০-৪৫ সেমি গভীর করে আড়াআড়ি ও লম্বালম্বিভাবে পরপর কয়েকটি চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা (Fine tilth) করে তৈরি করতে হবে।

বেড তৈরি:

এ ফুল চাষের জন্য বেডের উচ্চতা ২০ সেমি এবং প্রশস্ততা ১.০-১.২ মিটার হলে ভাল হয়। জমিতে যেন পানি জমে না থাকে সেজন্য দুই বেডের মধ্যবর্তী ৫০ সেমি পানি নিষ্কাশন নালা থাকতে হবে। সাধারণত একবার লাগিয়ে পর্যায়ক্রমে ২ বৎসর ফুল আহরণ করা হয় বলে জমি ও বেড তৈরির সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

চারা লাগানো:

Gerbera field

জারবেরার জমি

জারবেরার জমিতে বেড তৈরি হলে জাত এবং বৃদ্ধির ধরণ বুঝে সাকারগুলি  ৫০ ী ৪০ সেমি দুরুত্ব লাগাতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেমি এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৪০ সেমি। চারাগুলি এমনভাবে রোপণ করতে হবে যেন চারার ক্রাউন মাটির উপরে থাকে। ক্রাউন মাটির নিচে গেলে গোড়া পচাঁ রোগ সংক্রমণের সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সারা বছর চারা লাগানো যেতে পারে তবে শীত মৌসুম, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর মাস চারা লাগানোর সর্বোত্তম সময়।

সেচ প্রয়োগ:

এ ফুলের শিকড় গভীরে প্রবেশ করে বিধায় বার বার হালকা ¯িপ্রংকলার  সেচের পরিবর্তে প¬াবন সেচ দেয়া উত্তম। পানি সেচের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। কারণ জারবেরা ক্ষেতে জলাবদ্ধতা মাটিবাহিত রোগ সংক্রমণ ত্বরান্বিত করে। আবার মাটিতে পানির অভাব হলে গাছ ঢলে পড়ে, সেক্ষেত্রে ফুলের পুষ্পদন্ড ছোট হয়ে যায়।

সার প্রয়োগ:

জারবেরা দ্রুত বর্ধনশীল একটি ফুল ফসল। গাছের বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ ও গাছ থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিক্রমায় পরিমিত পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর পর নতুন শিকড় গজানো শুর হলে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। সেজন্য সারের মাত্রা নির্ধারণ ও প্রয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

জারবেরাতে সার প্রয়োগের মাত্রা হেক্টরপ্রতি নিম্নরূপ:

সারের নাম

পরিমাণ/হেক্টর      

সাকার রোপণের ১০-১৫ দিন পূর্বে

সাকার রোপণের ৭-১০ দিন পূর্বে

রোপণের প্রায় ২০ দিন পরে

রোপণের ৪৫ দিন পর

পচা গোবর/কম্পোস্ট

১০,০০০ কেজি

সবটুকু

-

-

-

কোকোডাস্ট

২,০০০ কেজি

সবটুকু

-

-

ইউরিয়া

৩৫০ কেজি

-

-

অর্ধেক

অর্ধেক

টিএসপি

২৫০ কেজি

-

সবটুকু

-

-

এমওপি

৩০০ কেজি

-

সবটুকু

-

-

জিপসাম

১৬৫ কেজি

-

সবটুকু

-

-

বোরিক এসিড

১২ কেজি

-

সবটুকু

-

-

জিংক অক্সাইড

৪ কেজি

-

সবটুকু

-

-

গোবর/কম্পোস্ট অন্তত ১০-১৫ দিন পূর্বে এবং টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, বোরিক এসিড, জিংক অক্সাইড সাকার রোপণের ৭-১০ দিন পূর্র্বে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। রোপণের প্রায় ২০ দিন পরে ইউরিয়া সারের অর্ধেক প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া সার রোপণের ৪৫ দিন পর গাছের গোড়ার চারপাশে একুট দূর দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। উপরি প্রয়োগের পর সার মাটির সাথে মিশিয়ে সেচ প্রদান করতে হবে।

অন্যান্য পরিচর্যা

রোগবালাই:

বেশ কিছু রোগের আক্রমণ বা প্রাদুর্ভাবের ফলে জারবেরার চাষ বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য চারা লাগানোর পূর্বে বেডের মাটি জীবাণুমুক্ত করে নিলে রোগের প্রাদুর্ভাব কম হয়।

মূল পচা:

stem and root rot of gerbera

কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ

মাটিবাহিত এক প্রকার ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং অবশেষে সম্পূর্ণ গাছটি শুকিয়ে যায়। মাটি জীবাণুমুক্ত করে চারা লাগালে এ রোগ কম হয়।

গোড়া পচা:

এটিও একটি মাটিবাহিত রোগ। এ রোগের ফলে গাছের কেন্দ্রীয় অংশ প্রথমে কালো রং ধারণ করে ও পরে পচে যায়। পরবর্তীসময়ে পাতা ও ফুল মারা যায়। রিডোমিল অথবা ডায়থেন এম-৪৫ (০.২% বা প্রতি ১ লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম পাউডার) নামক ছত্রাকনাশক দিয়ে গাছের গোড়া ভিজিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায় অথবা টপসিন (০.০৫%) ব্যবহার করেও এ রোগ দমন করা যায়।

পাউডারী মিলভিউ:

দুই ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হতে দেখা যায়। রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি মাত্রায় হলে সমগ্র গাছটির উপরে সাদা পাউডারের আস্তরণ দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়। বেনোমিল ৫০ (ডবি¬উ পি) ০.১% বা প্রতি ১ লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে ¯েপ্র করে ভাল ফল পাওয়া যায়।

পোকামাকড়:সাদ মাছি:

সাদা মাছি গাছের বিভিন্ন অংশের রস চুষে মারাতœক ক্ষতি করে। এই মাছির মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণ হয়। চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর থেকে এসাটাফ ৭৫ (এসপি) ও কুমুলাস ডি এফ একসঙ্গে মিশিয়ে ২ গ্রাম করে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ¯েপ্র করতে হবে।

মাইট:

শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ায় জারবেরাতে মাইটের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। এদের আক্রমণে পাতা ও ফুলকুঁড়ির (ঋষড়বিৎ নঁফ) বৃদ্ধি চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। তারপরও যে ফুলগুলি হয়, অস্বাভাবিক আকার ও আকৃতির কারণে এগুলির বাজার মূল্য থাকে না। ভারটিমেক ০.১% ¯েপ্র করে এই মাকড় দমন করা যায়।

ফুল সংগ্রহ:

জারবেরা ফুলের বাহিরের দুসারি ডিস্ক ফ্লোরেট পুষ্পদন্ডের সাথে সমকৌণিক অবস্থানে আসলে ফুল তোলা হয়। কর্তনের সময় পুষ্পদন্ড যথাসম্ভব লম্বা রেখে ফুল সংগ্রহ করা হয়। ধারালো চাকু দ্বারা তেরছা ভাবে কেটে খুব সকালে বা বিকেলে ফুল সংগ্রহ উত্তম। ফুল কাটার পর পুষ্পদন্ড এক ইঞ্চি পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। পানির সঙ্গে অল্প চিনি এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিলে ফুল সতেজ থাকে।

Packaging of gerbera

জারবেরার প্যকেজিং সিষ্টেম

ফলন:

জাতভেদে জারবেরার ফলন কম বেশি হয়। তবে প্রতি ঝাড় থেকে বছরে গড়ে ২০-২৫টি ফুল পাওয়া যায়।

সংকলনে:

কৃষিবিদ মোঃ নূরুল আলম সিদ্দিক

উৎসঃ

কৃষি প্রযুক্তির হাতবই-২০১১, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, গাজীপুর।