Author Archives: Admin

ই কৃষক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ই-কৃষক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে । এই অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক ও ব্যবসায়ীগণ সহজেই আর্থিক লেনদেনের হিসাব ও নতুন ব্যবসা পরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারবেন । এছাড়াএই অ্যাপসটিতে সুসংগঠিত ভাবে ব্যবসা ও কৃষিকাজ সংক্রান্ত বিভিন্ন টিপসও তথ্য বিবরণী পাওয়া যাবে।

ডাউনলোড করুনঃ …(e-Krishok Mobile App Download)

txd-hybrid-coconut-plant-seeding-500x500

খাটো জাতের হাইব্রিড নারিকেল চাষ

এই লিংকে ক্লিক করুন>>খাটো জাতের হাইব্রিড নারিকেল চাষ

Source of content: AIS Website(http://www.ais.gov.bd/site/page/287a5e52-c038-4e38-bf3f-db23467507dc/খাটো-জাতের-নারিকেল-চাষ”)
Source of featured image: https://www.indiamart.com/proddetail/txd-hybrid-coconut-plant-seeding-6261552691.html

ই-কৃষক মোবাইল এ্যাপস্

BIID introduced the e-Krishok Business Planning application by which farmers and small businesses can calculate their profitability and develop business plan for crops. This is an online version. We will be happy to hear from you on the application, please share us your feedback at info@ekrishok.com
The application is available in following link for downloading:

Download e-Krishok Mobile Apps

Mungbean

মুগ ডাল

মুগ(Mungbean)

মুগ ডালে প্রচুর পরিমানে খাদ্য শক্তি ও প্রোটিন আছে। ডাল হিসেবে প্রধানত খাওয়া হয়। বেলে দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি, মাঝারি উঁচু এবং সুনিষ্কাশিত জমি মুগ আবাদের জন্য উপযোগী।

জাত পরিচিতি:
বারি মুগ-২ (কানি-): বারি মুগের কানি- জাত দিবস নিরপেক্ষ হওয়ায় খরিফ-১, খরিফ-২ এবং রবি মৌসুমের শেষ দিকেও চাষ করা যায়। রান্নার সময়কাল ১৫-১৮ মিনিট। আমিষের পরিমাণ ২০-২৪%। জীবনকাল ৬০-৬৫ দিন। ফলন হেক্টরপ্রতি ০.৯-১.১ টন। জাতটি সারকোস্পোরা দাগ ও হলদে মোজাইক রোগ সহনশীল।

বারি মুগ-৩ (প্রগতি): বীজ মসৃণ ও রং বাদামি সবুজ। রান্না হওয়ার সময়কাল ১৪-১৭ মিনিট। দিবস নিরপেক্ষ হওয়ায় খরিফ-১, খরিফ-২ এবং রবি মৌসুমে বিলম্বে আবাদ করা যায়। আমিষের পরিমাণ ১৯-২১%। জীবনকাল ৬০-৬৫ দিন। ফলন হেক্টরপ্রতি ১.০-১.১ টন। জাতটি সারকোস্পোরা দাগ ও হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ সহনশীল।

বারি মুগ-৪ (রুপসা): বীজ মসৃণ ও রং সবুজ। এ জাত দিবস নিরপেক্ষ হওয়ায় খরিফ-১, খরিফ-২ এবং রবি মৌসুমে বিলম্বে বপন করা যায়। জাতটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। ডাল রান্নার সময়কাল ১৫-২০ মিনিট। আমিষের পরিমাণ ২১-২৪%। জীবনকাল ৬০-৬৫ দিন। ফলন হেক্টরপ্রতি ১.২-১.৪ টন। জাতটি সারকোস্পোরা দাগ ও হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ সহনশীল।

বারি মুগ-৫ (তাইওয়ানী): গাছের পাতা, ফল ও বীজ আকারে বেশ বড়। বীজের রং গাঢ় সবুজ। হাজার বীজের ওজন ৪০-৪২ গ্রাম। জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে ফল এক সাথে পাকে। ডাল রান্নার সময়কাল ১৭-২০ মিনিট। আমিষের পরিমাণ ২০-২২%। জাতটির জীবনকাল ৬০-৬৫ দিন। ফলন হেক্টরপ্রতি ১.২-১.৫টন। জাতটি সারকোস্পোরা দাগ ও হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ সহনশীল।

বারি মুগ-৬ (রুপসা): একই সময়ে প্রায় সব শুটি পরিপক্ক হয়। পাতা ও বীজের রং গাঢ় সবুজ এবং পাতা চওড়া। ফুল আসার পরে দৈহিক বৃদ্ধি কম। দানার আকার বড়। প্রতি ১০০ বীজের ওজন ৫.১-৫.২ গ্রাম। গম কাটার পর এপ্রিলের ১ম সপ্তাহ পর্যন- বপন করা যায়। এ ছাড়া খরিফ-২ ও রবি মৌসুমের শেষেও বপন করা যায়। হলুদ মোজাইক ভাইরাস এবং পাতার দাগ রোগ সহনশীল। জীবনকাল ৫৫-৫৮ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ১৫০০ কেজি।

বীজ বপন: ছিটিয়ে এবং সারি উভয় পদ্ধতিতেই বপন করা যায়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেমি রাখতে হবে।

বারি মুগ-২, বারি মুগ-৩ ও বারি মুগ-৪ এর জন্য হেক্টরপ্রতি ২৫-৩০ কেজি। বারি মুগ-৫ এর জন্য ৪০-৪৫ কেজি বীজের প্রয়োজন। ছিটিয়ে বপনের ক্ষেত্রে বীজের পরিমাণ সামান্য বেশি দিতে হবে।

এলাকাভেদে মুগের বপন সময়ের তারতম্য দেখা যায়। খরিফ-১ মৌসুমে ফাল্গুন মাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন- (ফেব্রুয়ারির শেষ ভাগ হতে মার্চের মধ্য ভাগ)। খরিফ-২ মৌসুমে শ্রাবণ-ভাদ্র মাস (আগস্টের প্রথম হতে সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগ)। রবি মৌসুমে বরিশাল এলাকার জন্য বপনের উত্তম সময় পৌষ-মাঘ মাস (জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্য ভাগ)।

সার ব্যবস্থাপনা: অনুর্বর জমিতে হেক্টরপ্রতি নিম্নরূপ সার ব্যবহার করতে হবে।

সারের নাম সারের পরিমাণ কেজি/হেক্টর
ইউরিয়া ৪০-৫০
টিএসপি ৮০-৮৫
এমওপি ৩০-৩৫
অণুজীব সার ৪-৫

শেষ চাষের সময় সমুদয় সার প্রয়োগ করতে হবে। অপ্রচলিত এলাকায় আবাদের জন্য সুনির্দিষ্ট অণুজীব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে প্রতি কেজি বীজের জন্য ৮০ গ্রাম অণুজীব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। সাধারণতঃ সার ব্যবহার করলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয় না।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা
বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে একবার আগাছা দমন করা প্রয়োজন। অতিবৃষ্টির ফলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া খরিফ-১ মৌসুমে বৃষ্টি না হলে সঠিক সময়ে বপনের জন্য বপনের আগে বা পরে একটি সেচ প্রয়োজন। সেচ দিলে চারা গজানোর পর মালচিং করে দিতে হবে।

রোগ ব্যবস্থাপনা
রোগের নাম: মুগের পাতার দাগ রোগ

ক্ষতির নমুনা: পাতায় ছোট ছোট লালচে বাদামি বর্ণের গোলাকৃতি হতে ডিম্বাকৃতির দাগ পড়ে। আক্রান- পাতার উপর ছিদ্র হয়ে যায়। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে সম্পূর্ণ পাতা ঝলসে যায়। পরিত্যক্ত ফসলের অংশ, বায়ু ও বৃষ্টির মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
অনুকুল পরিবেশ: বেশি আর্দ্রতা (৮০%) এবং উচ্চ তাপে (২৮ ডিগ্রী সে.) এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
ব্যবস্থাপনা: বাভিস্টিন (০.২%) নামক ছত্রাকনাশক ১২-১৫ দিন পরপর ২-৩ বার সেপ্র করতে হবে। রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার (বারি মুগ-২, ৩, ৪ এবং ৫) করতে হবে।

রোগের নাম: মুগের পাউডারি মিলডিউ

ক্ষতির নমুনা: এ রোগে পাতায় পাউডারের মত আবরণ পড়ে। সাধারণত: শুষ্ক মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বীজ, পরিত্যক্ত গাছের অংশ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।

ব্যবস্থাপনা: বিকল্প পোষক ও গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে। টিল্ট-২৫০ বা থিওভিট (০.২%) ১০-১২ দিন পরপর ২-৩ বার সেপ্র করতে হবে।

রোগের নাম: মুগের হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ

ক্ষতির নমুনা: মোজাইক ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত পাতার উপর হলদে সবুজ দাগ পড়ে। সাধারণত: কচি পাতা প্রথমে আক্রান্ত হয়। আক্রান- বীজ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। সাদা মাছি নামক পোকা এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে।
অনুকুল পরিবেশ: বিকল্প পোষক ও সাদা মাছির আধিক্য এ রোগ দ্রুত বিস্তারে সহায়ক।

ব্যবস্থাপনা: রোগ মুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। সাদা মাছি দমনের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। আক্রান্ত গাছ তুলে পুড়ে ফেলতে হবে।

গুদামজাত ডালের পোকা ব্যবস্থাপনা

ভূমিকা: পূর্ণবয়স্ক পোকা ও কীড়া উভয়ই গুদামজাত ডালের ক্ষতি করে থাকে।

ক্ষতির নমুনা: এ পোকা ডালের খোসা ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে শাঁস খেতে থাকে। ফলে দানা হাল্কা হয়ে যায়। এর ফলে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।

ব্যবস্থাপনা: গুদামজাত করার আগে দানা ভালভাবে পরিষ্কার করতে হয়। ডালের দানা শুকিয়ে পানির পরিমান ১২% এর নিচে আনতে হবে। বীজের জন্য টন প্রতি ৩০০ গ্রাম ম্যালাথিয়ন বা সেভিন ১০% গুড়া মিশিয়ে পোকার আক্রমণ প্রতিরোদ করা যায়। ফসটক্সিন ট্যাবলেট ২টি বড়ি প্রতি ১০০ কেজি গুদামজাত ডালে ব্যবহার করতে হয়। এ বড়ি আবদ্ধ পরিবেশে ব্রবহার করতে হয়।

ফসল তোলা
মধ্য-কার্তিক থেকে শেষ ভাগ (অক্টোবর শেষ থেকে নভেম্বর প্রথম)। বরিশাল পটুয়াখালী অঞ্চলে মার্চ এর শেষ পর্যন্ত।

Source: AIS.GOV.BD

The ‘ZERO COST’ Extension Model

The ‘Zero Cost’ extension model has been developed by BIID which is a business model for extension and advisory services (EAS) to serve small holder farmers through private sector partners powered by ICT. It is a model which will facilitate free extension related information and advisory services for the clients (farmers) which will be bundled with input packages. Every farmer who buys an input package will be entitled to receive an information service package whose value will depend on the value of products. As part of its continuous innovation process, BIID has explored the various EAS models in Bangladesh as well as in other countries and has developed the ‘zero cost’ model through a consultation process with the input suppliers and other stakeholders like business associations. As such this model provides a sustainable business case to the private sector who play a major role in the agricultural extension eco system. Bangladesh Seed Association (BSA) expressed their interest to collaborate with BIID on new EAS model. BIID is also under collaboration process with development partners to pilot and implement the model in field.

zero cost

sfsfclosing news

আগামীর কৃষক, ই-কৃষক ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠানঃ সেরা দশ আইডিয়াদাতাদের সাথে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) অত্যন্ত  আনন্দরে সাথে ‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ নামক সারা দেশব্যাপী আয়োজিত ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠান ঘোষণা করছে। এ অনুষ্ঠানে বিআইআইডিকে সহযোগিতা করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং গ্রামীনফোন। এই সমাপনী অনুষ্ঠানে বিআইআইডি সারাদিন ব্যাপী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আয়োজন করে যেখানে সেরা দশ আইডিয়াদাতাকে মানিকগঞ্জের বায়রাতে স্মার্ট ভিলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করেন। এরপর বিজয়ীরা ই-কৃষক, স্থানীয় উদ্যোক্তা এবং সার্ভিস প্রোভাইডারদের  সাথে পরিচিত হন। এই এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শেষ হয় চ্যানেল আই এর ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে এবং তাদের জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং সাংবাদিক জনাব শাইখ সিরাজের সাথে দেখা করার সুযোগ করে দেয়া হয়।

বিআইআইডি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গ্রামীনফোন এর সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে দেশের ১০০টি স্থান থেকে তরুণ কৃষক ও কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে আইডিয়া জমা হয়। এসব আইডিয়াগুলো থেকে সেরা ১০০টি আইডয়িা পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়াও অগ্রসর ৩ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ৩ জন উদ্যোক্তা কে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য মন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু, এমপি। মো. শহীদ উদ্দিন আকবর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইআইডি এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এর সভাপতি আনিস-উদ-দৌলা, বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং) জিএম আবুজার, উপ-পরিচালক (আইসিটি ম্যানেজমেন্ট) ডঃ অনিল কুমার দাস এবং গ্রামীন ফোনের পরিচালক (যোগাযোগ) মি. মারকোস প্রমুখ।

smart farmer smart future campaign prize giving ceremony

“আগামীর কৃষক, ই-কৃষক” কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণ

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গ্রামীনফোন এর উদ্যোগে আয়োজিত আগামীর কৃষক, ই-কৃষক কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ৭ এপ্রিল, ২০১৫ মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, খামারবাড়ি, ঢাকা-এর সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য মন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু, এমপি।

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় উল্লেখ করেন আমারা আমাদের কৃষককে ই-কৃষক তখনই বলতে পারবো যখন আমাদের কৃষকরা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে কৃষির যাবতীয় বিষয়গুলোকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসে উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থসামাজিক ও ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে নিয়ে আসবে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার শুধু ঘোষনা দিয়েই থেমে থাকেনি এর বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপসহ একটি কার্যকরী নীতিমাল গ্রহন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ আমাদের কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তিনি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত সকল সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে গ্রাম পর্যায়ে যে সমস্ত প্রতিকূলতা আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে কৃষির একটি সমৃদ্ধ তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন লগসই প্রযুক্তি গুলো কৃষকের দোড়গোড়ায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

বিআইআইডি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গ্রামীনফোন এর সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে দেশের ১’শটি স্থান থেকে ১লাখ তরুন কৃষক ও কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ৭’শটি আইডিয়া জমা হয়। এসব আইডিয়াগুলো থেকে সেরা ১০০টি আইডিয়া বাস্তবায়নের জন্য গ্রহন করা হয় এবং এদের মধ্য থেকে আইডিয়া প্রদানকারী, অগ্রসর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বিশেষ উদ্যোক্তা-এ ৩ ক্যাটাগরিতে ৯ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। মাননীয় তথ্য মন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মো. শহীদ উদ্দিন আকবর, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইআইডি-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এর সভাপতি আনিস-উদ-দৌলা, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং) জি.এম আবুজার, উপ-পরিচালক (আইসিটি ম্যানেজমেন্ট) ডঃ অনিল কুমার দাস এবং গ্রামীন ফোনের পরিচালক (যোগাযোগ) মি. মারকোস প্রমুখ।

134317_884043194993151_3742236737872953728_o (2)

“আগামীর কৃষক, ই –কৃষক” এর পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) এ ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত যে, বিআইআইডি ও গ্রামীনফোন যৌথভাবে আগামী ৭ই এপ্রিল মঙ্গলবার, 2015 সকাল 10:00 ঘটিকায় কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ, ফার্মগেট, ঢাকায় “আগামীর কৃষক, ই –কৃষক” শীর্ষক জাতীয় প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব হাসানুল হক ইনু, এমপি উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার জন্য সদয় সম্মতি দিয়েছেন।
ক্যাম্পেইনটি যুব সমাজকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয় যাতে তথ্য প্রযুক্তি সমন্বিত ই-কৃষক সার্ভিসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। দেশব্যাপী গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অনেকগুলো ইভেন্টের মাধ্যমে ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হয় এবং বেশ কিছু আকর্ষনীয় আইডিয়া গ্রহন করা হয়।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১০০ টি ভিন্ন স্থানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১৫ হাজারের অধিক লোক সরাসরি ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহন করে ও ৭০০ আইডিয়া জমা দেয়। এই সকল আইডিয়া হতে ১০০ টি কার্যকর আইডিয়া নির্বাচন করা হয় যারা সকলেই পুরুষ্কৃত হবে এবং তাদের নাম ই-কৃষক ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হবে। সবচেয়ে ভালো ৩ টি আইডিয়া প্রদানকারী এবং সেরা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উদ্দ্যোক্তাকে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে পুরষ্কৃত করা হবে।
আরও জানতে ভিজিট করুন

সমস্যা: টমেটোর পাতা কোকড়ানো রোগ

সমাধান:
১.আক্রাান্ত গাছ উপড়িয়ে ফেলতে হবে ২.সুস্থ গাছ যেন আক্রান্ত না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে ৩.পরবর্তীতে রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে।

সমস্যা:শসার সাদা গুড়া রোগ

কৃষকের নাম: আরিফ হোসেন, চরজামালপুর, বায়রা, সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ। মোবাইল: 01754900775.

সমাধান:

থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি- প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম থিয়োভিট মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।