আমাদের দেশে প্রাই সব অঞ্চলেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়ে থাকে, মিষ্টি কুমড়া একটি খরিপ মৌসুমের সবজি তবে রবি মৌসুমেও ব্যাপকভাবে চাষ হয়ে থাকে। কাচা বা পাকা কুমড়া এবং এদের কচি ডগা ও পাতা রান্না করে সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। পাকা মিষ্টি কুমড়া ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ সবজি।
২. জাতঃ বর্তমানে দেশে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে বেশ কিছু উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
জাত |
বীজ বপনের সময় |
কোম্পানী |
বারমাসী হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া ইয়েলো কার্ড, বিগবস |
সারা বছর |
মল্লিকা সীড কো. (MSC) |
হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া কে. এস-১, ২ |
সারা বছর চাষ করা যায় |
কৃষিবিদ গ্রুপ কো. |
হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া সুপ্রিমা |
চৈত্র হতে মধ্য আষাঢ় বাদে সারা বছর চাষ করা যায়। শ্রাবণ ভাদ্র, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ মাসে চাষ করে অধিক ফলন পাওয়া যায় |
লালতীর সীড লি: |
হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া বিএসএস-৭৪৯, ৭৫০ |
সারা বছর |
বেজো শীতল সীডস (বাংলাদেশ) লি: (BCSBL) |
হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া সুইট গোল্ড |
প্রায় সারা বছর চাষ উপযোগী তবে আগস্ট থেকে জানুয়ারী বীজতলায় বীজ বপনের উপযুক্ত সময় |
ACI Seed (ACI) |
হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া সুইট নামা এফ-১, সুইটবল এফ-১, ডেলিকা এফ-১ |
ভাদ্র অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন-জৈষ্ঠ |
পাশাপাশি সীড কো: |
হাইব্রীড মিষ্টিকুমড়া জি.শুমো |
বপনের সময় আগষ্ট |
এনার্জি প্যাক এগ্রো লি: |
৩. উপযোগী জমি ও মাটিঃ চরাঞ্চলের পলি মাটিতে মিষ্টি কুমড়া ভালো ফলন হয়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁ-আশ বা এঁটেল দোঁ-আশ মাটি এর চাষাবাদের জন্য উত্তম।
৪. বীজঃ
ভালো বীজ নির্বাচনঃ ভালো বীজের বৈশিষ্ট্য গুলো নিম্নোরুপ-
- রোগমুক্ত,পরিষ্কার,পরিপুষ্ট হতে হবে।
- সকল বীজের আকার আকৃতি একই ধরনের হবে।
বীজের হারঃ মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য শতাংশ প্রতি ২.৫ গ্রাম পরিমাণ বীজের প্রয়োজন হয়। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।
বীজ শোধনঃ ভিটাভেক্স ২০০ / টিলথ অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করে বীজ শোধন করা ভাল।
৫. জমি তৈরীঃ
জমি চাষঃ বানিজ্যিক ভাবে চাষের জন্য জমিকে প্রথমে ভাল ভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন বড় ঢিলা এবং আগাছা না থাকে।
বীজ তলা তৈরীঃ পলিব্যাগে মিষ্টি কুমড়ার চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৪x৬ ইঞ্চি আকারের পলিব্যাগ ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্রযুক্ত পলিব্যাগে ব্যবহার করতে হবে। তার আগে বীজকে ২৪ ঘন্টা ভিজানোর পর পলিব্যাগে বীজ বপন করতে হবে।
৬. বপন ও রোপন এর সময়ঃ
বপন ও রোপন এর সময়ঃ সাধারন ভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বছরের যে কোনো সময় মিষ্টি কুমড়ার বীজ বোনা যায়। শীতকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময় এবং বীজ উৎপাদনের জন্য নভেম্বরের মধ্যভাগে বীজ বপন করা উত্তম। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।
মাদা তৈরীঃ মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য ৬×৬ ফুট দূরত্বে প্রতি মাদায় ৪-৫ টি বীজ / চারা বোনা বা রোপন করা উচিত। চারা রোপনের ক্ষেত্রে বীজ গজানোর পর ১৫-১৬ দিন বয়সের চারা মূল জমিতে লাগানোর উত্তম।
৭. সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম |
কম উর্বর |
মধ্যম উর্বর |
বেশি উর্বর |
কেজি/ শতাংশ | |||
পঁচাগোবর / কম্পোষ্ট |
৩২ |
২৪ |
১৬ |
ইউরিয়া |
০.৫২ |
০.৪৪ |
০.৩৬ |
টিএসপি |
০.৮ |
০.৭ |
০.৬ |
এমওপি |
০.৬০ |
০.৫২ |
০.৪৪ |
জিপসাম |
০.৪৪ |
০.৩২ |
০.২৪ |
দস্তা |
০.০৫ |
০.০৩ |
০.০২ |
বোরিক এসিড |
০.০৪ |
০.০৩ |
০.০২ |
ম্যাগনেশিয়াম |
০.২ |
০.১ |
০.০৮ |
খৈল |
২.০ |
১.৬ |
১.২ |
প্রয়োগ পদ্ধতিঃ মূল জমি তৈরীর সময় জৈব সার, টিএসপি, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম ও বোরিক এসিডের অর্ধেক অংশ প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক জৈব সার, টিএসপি, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম ও বোরিক এসিড মাদায় প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ও এমওপি বা পটাশ সার সমান তিনভাগে ভাগ করে বীজ বপনের সময় প্রথম ভাগ, ১৫-২০ দিন পর দ্বিতীয় ভাগ এবং ৩৫-৪০ দিন পর তৃতীয়ভাগ প্রয়োগ করতে হবে।
৮. আগাছা দমনঃ
সময়ঃ মাদাতে অথবা এর চার পাশে আগাছা হলে তা দমন করতে হবে।
দমন পদ্ধতিঃ হাত / নিড়ানী / কোদালের সাহয্যে আগাছা দমন করতে হবে।
৯. সেচ ব্যবস্থাঃ
সেচের সময়ঃ মাদার ও মাদার চার পাশের মাটি শুকায়ে গেলে সেচ দিতে হবে।
সেচের পরিমাণঃ কদাল দিয়ে মাটি আলগা করে পরিমিত মাত্রায় সেচ দিতে হবে। সেচ দেয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে।
নিষ্কাশনঃ কোন অবস্তাতেই গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকতে দেয়া যাবে না, সে জন্য জমিতে নালা কেটে সুনিষ্কাশনের ব্যাবস্থা রাখতে হবে।
রোগের নাম |
লক্ষণ |
প্রতিকার |
কীটনাশকের নাম |
উৎস |
পাউডারী মিল্ডিউ | পাতার উভয় পাশে প্রথমে সাদা সাদা পাউডারের মত দাগ দেখা যায়।ধীরে ধীরে দাগগুলো বড় ও বাদামী হয়ে শুকিয়ে যায়।আক্রান্ত লতা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়, ফল ঝরে পড়ে এমনকি সম্পূর্ন গাছ মরে যায়। | ১. জমির আশে পাশে কুমড়া জাতীয় অন্য যে কোন রকমের সবজি চাষ থেকে বিরত থাকা।২. আক্রান্ত পাতা ও গাছ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলা।৩. থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি- প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম থিয়োভিট মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে ১৫ দিন পর পর সেপ্র করুন। | থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি |
সিনজেনটা |
এমকোজিম ৫০ ডবলিউপি ৭০-৭৫ এম.এল / বিঘতে(৩৩ শতাংশ) ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। | এমকোজিম ৫০ ডবলিউপি |
এ সি আই |
||
হেকোনাজল ৫ ই সি ২০০ মি লি প্রতি একরে (১ মিলি/ ১ লিটার পানিতে) স্প্রে করতে হবে। | হেকোনাজল ৫ ই সি |
পদ্মাওয়েল কো. লি. |
||
ডাউনি মিল্ডিউ | এর জন্য গাছের পাতা ধূসর হয়ে যায়। পাতায় সাদা পাউডার দেখা যায় | ১. থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি- প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম থিয়োভিট মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে ১৫ দিন পর পর সেপ্র করুন। | থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি |
সিনজেনটা |
পোকামাকড়ের নাম | লক্ষণ | প্রতিকার | কীটনাশকের নাম |
উৎস |
মাছি পোকা | ১. স্ত্রী মাছি কচি ফলে ডিম পাড়ে। ২. ডিম ফুটে কীড়াগুলো বরে হয়ে ফলের শাস খায় এবং ফল পচে যায় ও অকালে ঝরে পড়ে। | ১. প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি- আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে প্লেনাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ২. সবিক্রন ৪২৫ ইসি- প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল হারে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। | প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি,সবিক্রন ৪২৫ ইসি |
সিনজেনটা |
পামকিন বিটল | র্পূণাঙ্গ পোকা চারা গাছের পাতা ছিদ্র করে খায়। কীড়া গাছের গোড়ায় মাটিতে বাস করে এবং গাছের শিকড়ের ক্ষতি করে। | ১. আক্রান্ত গাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ পোকা হাতে ধরে মেরে ফেলা। ২০-২৫ দিন চারা মশারির জাল দিয়ে ঢেকে রাখা। ২. কীড়া দমনের জন্য প্রতি গাছের গোড়ায় ২.৫ গ্রাম বাসুডিন-১০ জি মিশিয়ে দিয়ে তারপর সেচ দিতে হবে। ৩. সবিক্রন ৪২৫ ইসি- প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল হারে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। | সবিক্রন ৪২৫ ইসি, বাসুডিন-১০ জি | সিনজেনটা |
টিডো ২০ এস.এল-৫০-৫৫ এম এল / একর জমিতে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। | টিডো ২০ এস.এল |
এ সি আই |
||
জাব পোকা | পূণবয়স্ক ও নিম্ফ উভয়েই পাতা, কচি কান্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোঁটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে গাছ প্রথমে দুর্বল ও পরে হলুদ হয়ে যায়। গাছে ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমণ হলে ফুলের কুঁড়ি ও কচি ফল ঝরে পড়ে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মরে যায়। | ১. আক্রান্ত পাতা, ডগা, ফুল পোকাসহ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা। ২. একতারা ২৫ ডব্লিউজি- আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে ২.৫ গ্রাম একতারা প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাব গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। ৩. প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি- আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে প্লেনাম মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। | একতারা ২৫ ডব্লিউজি, প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি |
সিনজেনটা |
টিডো ২০ এস.এল-১০০-১০৫ এম এল / একর জমিতে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। | টিডো ২০ এস.এল |
এ সি আই |
||
কাঁটালে পোকা বা এপিল্যাকনা বিটল | এই পোকা পাতার শিরাগুরোর মাঝের অংশ খেয়ে ফেলে। মধ্য শিরা বাদে পাতার সমস্ত অংশ খেয়ে ঝাঝরা করে ফেলতে পারে। ফলের উপরি ভাগের কিছু অংশ খেয়ে ফেলতে পারে অথবা ছোট ছিদ্র করতে পারে | ১. পোকা সহ আক্রান্ত পাতা হাত বাছাই করে মেরে ফেলতে হবে। ৩. এক কেজি আধা ভাঙ্গা নিম বীজ ১০ লিটার পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি স্প্রে করতে হবে |
১১. বিশেষ পরিচর্যাঃ
বাউনী দেয়া বা মাটিতে খড় বিছানো :
কুমড়া চাষে সাধারণত বাউনী ব্যবহার করতে হয়। বাউনীর উপর কান্ড তুলে দিলে ফলন বেশি হয় ও ফলের গুণাগুণ ভালো হয়। গাছ যখন ১২-১৫ ইঞ্চি হয় তখনই মাচার ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃত্রিম পরাগায়ন :
কৃত্রিম পরাগায়ন মিষ্টি কুমড়ার অধিক ফল ধারণে খুবই সহায়ক। কৃত্রিম পরাগায়নের জন্য ভোর বেলা একটি সদ্য ফোটা পুরুষ ফুলের পরাগধানী স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে আলতো ভাবে ২-৩ বার ঘষে দিতে হবে। এ কাজটি করার আগে পুরুষ ফুলের পাপড়ি গুলো সব অপসারণ করে নিতে হবে। একটি পুরুষ ফুল দিয়ে সাধারণত ১০টি স্ত্রী ফুলের পরাগায়ন সম্ভব। পরাগায়ন অবশ্যই সকাল ১০ টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
সময়ঃ সবজি হিসোবে ব্যবহার করতে হলে কুমড়ার ওজন ১-৩ কেজি হলেই সংগ্রহ করা উচিত। তবে সাধারণত বীজ বপন বা চারা রোপণের ৩ থেকে ৪ মাস পর গাছ থেকে মিষ্টি কুমড়া তোলার উপযোগী হয়। আর পাকা কুমড়ার ক্ষেত্রে ফল হলুদ বা হলদে বাদামী রঙ ধারণ করে। ফলের বোঁটা খয়েরী রঙ ধারণ করে এবং গাছ মরতে শুরু করে। পাকা কুমড়া সংগ্রহ করে ৫-৭ দিন ছায়াযুক্ত স্থান রেখে দিতে হবে। এভাবে ক’এক মাস পর্যন্ত পাকা কুমড়া সংরক্ষণ করা যায়।
পদ্ধতিঃ ধারাল ছুরি দারা মিষ্টি কুমড়া কিছুটা বোঁটা রেখে গাছ থেকে তুললে তারাতারি পঁচার সম্ভাবনা কম থাকে।
১৩. পরিবহণ ব্যবস্থাঃ
পরিবহণ পদ্ধতিঃ পরিবহনের সময় ফসল সংগ্রহের পর প্রথমে ডালিতে কলা পাতা বিছিয়ে তার উপর ঝিঙ্গা সাজায়ে রাখতে হবে যাতে কোনো দাগ না পরে।
পরিবহণের মাধ্যমঃ সাধারনত ঝড়ি / ডালিতে করে পরিবহন করা হয় তবে বেশি আকারে হলে ট্রাকের মাধমেও পরিবহন করে হয়।
১৪. প্যাকেজিং:
প্যাকেজিংপদ্ধতিঃ প্যাকেজিং এর জন্য ফুড রেপিং পেপার, পেরফোরেটেড পেপার, ঝুড়ি, খাঁচা, প্লাস্টিক কেস, ব্যবহার করা জেতে পারে।
১৫. সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
স্বল্প পরিসরেঃ এক মাস পর্যন্ত পাকা কুমড়া সংরক্ষণ করা যায়।
১৬. বাজারজাত ব্যবস্থাঃ
বাজার ব্যবস্থাঃ পার্শবর্তী কোনো হাট-বাজারে বিক্রয় করতে পারেন।
১৭. মিষ্টি কুমড়া বাছাইকরণ ও শ্রেণীকরণ পদ্ধতিঃ
মাঠ থেকে শস্য নিয়ে আসার পর বাছাইকরণ ও শ্রেণীকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ। বাল্ক বায়ার বা বৃহৎ ক্রেতার চাহিদা অনুসারে কৃষিজাত শস্য/পণ্য বিক্রয় করতে হলে মান নিয়ন্ত্রনের স্বার্থে বাছাইকরণ ও শ্রেণীকরণ করতে হবে। মিষ্টি কুমড়া শ্রেনীকরণের ক্ষেত্রে নিম্নে দেয়া নির্দেশক গুলোর প্রতি জত্নবান হতে হবে।
নূন্যতম নির্দেশকঃসুগঠিত, পূর্ণাঙ্গ ও শক্ত হতে হবেপরিস্কার, সতেজ ও জড় পদার্থ মুক্ত হতে হবেআঘাত, পোকা ও রোগ মুক্ত হতে হবে | ||
গ্রেড “এ” ১। আকার আকৃতিঃ ন্যূনতম ৪ কেজি ২। রং: হলুদাভ কালচে সবুজ ৩। মিষ্টতাঃ উচ্চমাত্রার ৪। পরিপক্কতাঃ শুকনা বোঁটা ( পরিপক্কতার নির্দেশক ) ৫। ত্রুটির ধরণঃ দাগ মুক্ত ৬। রোগবালাই এবং কীটপতঙ্গঃ পোকা ও রোগ মুক্ত |
গ্রেড “বি” ১। আকার আকৃতিঃ ন্যূনতম ২-৪ কেজি ২। রং: হলুদাভ কালচে সবুজ ৩। মিষ্টতাঃ মাঝারি ৪। পরিপক্কতাঃ শুকনা বোঁটা ( পরিপক্কতার নির্দেশক ) ৫। ত্রুটির ধরণঃ অল্প আঘাতজনিত দাগ , কুমড়ার উপরিভাগের দাগ সর্বোচ্চ ৫% ৬। রোগবালাই এবং কীটপতঙ্গঃ পোকা ও রোগ মুক্ত |
গ্রেড “সি” ১। আকার আকৃতিঃ ছোট বড় মিশ্রণ ২। রং: হলুদাভ কালচে সবুজ ৩। মিষ্টতাঃ কম ৪। পরিপক্কতাঃ শুকনা বোঁটা ( পরিপক্কতার নির্দেশক ) ৫। ত্রুটির ধরণঃ অল্প আঘাতজনিত দাগ , কুমড়ার উপরিভাগের দাগ সর্বোচ্চ ১০% ৬। রোগবালাই এবং কীটপতঙ্গঃ পোকা ও রোগ মুক্ত |
১৭. তথ্যের উৎসঃ AIS (www.ais.gov.bd), সবজি উৎপাদন প্রশিক্ষন ম্যানুয়াল, BARI, krishitey.com, krishibangla.com, কৃষি পণ্যের গ্রেডিং নির্দেশিকা,
১৯. সর্বশেষ সংযোজন : জুলাই,২০১৪
আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- info@ekrishok.com