অন্যান্য তথ্য | ই-কৃষক | Page 2

Category Archives: অন্যান্য তথ্য

ভাতের মাড়ের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যগুণ

ভাতের মাড় সম্পর্কে আমারা সবাই জানি। মাড় ফেলে দেয়ার সাথে সাথে ভাতের পুষ্টিগুণ অনেকটা কমে যায়। শরীরে দেবে বল-শক্তি, ত্বক হবে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, কেশ হবে উজ্জ্বল-এত গুণ এই ভাতের মাড়ে। শুধু চীন দেশের আদি রেসিপি নয় এ দেশেও অনেকে একে ব্যবহার করেন খাদ্য হিসেবে। যদিও গোখাদ্য হিসেবেই এর খ্যাতি। পশ্চিমা বিশ্বেও এর খ্যাতি বাড়ছে। দুটি সস্তা ও সহজ উপকরণ চাল ও জল ব্যবহার করে সুস্থ শরীর ও সুন্দর ত্বক পেতে কে না চায়। চাল ধোয়া জল কিন্তু ব্যবহার করতে পারেন, তবে এতে সুফল পাবেন না। ভাতের মাড় হল বেশি হিতকর।
রান্নার সময় যতটুকু জল দেন, এর চেয়ে বেশি জল দেবেন। ভাত হয়ে গেলে মাড়টা ঢেলে ফেলবেন পাত্রে। মাড়ে আছে চাল থেকে আসা হিতকারী উপকরণ। গরম মাড়ও খেতে পারেন, খেতে পারেন ঠাণ্ডা করেও। জেনে নিন ভাতের মাড়ের পুষ্টিগুণ ও সৌন্দর্যচর্চা সম্পর্কে।

সৌন্দর্যচর্চা

১। নিখুঁত চেহারা
আপনার মুখ ধুয়ে একটি সুতি কাপড়ের টুকরা মাড়ে ভিজিয়ে সারা মুখে লাগান। ভাতের মাড় চমৎকার স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। মাড়ে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যাকে ‘ইনসিটল’ বলে প্রচুর পরিমাণে থাকে যা কোষের বৃদ্ধিকে প্রমোট করে, এজিং প্রসেসকে ধীর করে এবং রক্ত প্রবাহকে উদ্দীপিত করে যার ফলে ত্বক মসৃণ ও দীপ্তিময় হয়। এছাড়াও ভাতের মাড়ে ময়েশ্চারাইজিং, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও আলট্রা ভায়োলেটরে শোষণকারী উপাদান আছে। মাড় স্কিনে উৎপন্ন কপারকে আবদ্ধ করে যার ফলে মেলানিনের গঠন এবং এইজ স্পট বাঁধা প্রাপ্ত হয়।

২। হেয়ার মাস্ক হিসেবে
লম্বা, সিল্কি ও চকচকে উজ্জ্বল চুলের জন্য ভাতের মাড় চমৎকার ভাবে কাজ করে।আপনার চুলে ও মাথার তালুতে ভালো করে মাড় লাগান, ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
এছাড়া শ্যাম্পু করার পরে মাড় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মাড়ের প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে ও মসৃণ করে।

সতর্কতা: গরম মাড় ব্যবহার করবেন না, এতে ত্বকে র্যাশ হতে পারে এবং পুরে যেতে পারে।

স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। এনার্জি বৃদ্ধি করে
ভাতের মাড় এনার্জি লেভেল বাড়ায়। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট আছে যা শক্তির চমৎকার উৎস। আমাদের শরীর কার্বোহাইড্রেট ভেঙ্গে এনার্জি উৎপন্ন করতে পারে। সকালে এক গ্লাস ভাতের মাড় খেলে আপনি এনার্জি কমের কারণে দুর্বলতা বা মাথা ঘুরানো ভাব অনুভব করবেন না। ঠিক যেমন আমাদের দেশের কৃষক সারাদিন হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হন না কারণ তাঁরা সকালে ভাতের মার খেয়ে থাকেন।

২। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ভাতের মাড় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্মের তাপদাহ প্রতিরোধ করার জন্য ভাতের মাড় পান করার পরামর্শ দেয়া হয়।

৩। ভাইরাস ইনফেকশন প্রতিকারে
জ্বরে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে এবং বমি বন্ধ করতে ভাতের মাড় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ভাতের মাড়।

৪। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
ভাতের মাড়ে প্রচুর ফাইবার থাকে। এছাড়াও স্টার্চ পাকস্থলির উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে পেটের বর্জ্য নিষ্কাশনকে সহজতর করে।

এছাড়াও ডায়রিয়া ও পানি শূন্যতা দূর করে, এক্সিমা ভালো করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, আলঝেইমার্স প্রতিরোধ করে।

ভাতের মাড়ে ‘অরিজানল’ থাকে যা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

ভাতের মাড় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে ৮টি গুরুত্ব পূর্ণ অ্যামাইনো এসিড আছে যা পেশীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে।

সুত্র: Modern Agriculture Facebook Page

তিনটি আপেলের পুষ্টি একটি আমড়াতে

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

আমড়া একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় দেশীয় ফল। আমড়াতে রয়েছে অনেক পুষ্টি যা প্রায় তিনটি আপেলের পুষ্টির সমান। আপেলের চেয়ে আমড়ায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বেশি রয়েছে।পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী আমড়াতে যেসব পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হল-শর্করা ১৫ গ্রাম, আমিষ ১.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১০.২৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৯২ মিলিগ্রাম, অন্য খনিজ পদার্থ ০.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি। আমড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। ভিটামিন সি দেহের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়। এ রোগে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, দাঁতের গোড়া থেকে পুঁজ ও রক্ত পড়ে, মাড়িতে প্রচ- ব্যথা হয়, খাবার খেতে অসুবিধা হয়, অকালে দাঁত ঝরে যায়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস ইনফেকশন, সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় ভিটামন সি অত্যন্ত উপকারী। ক্যালসিয়ামের অভাবে মাংসপেশিতে খিঁচুনি হয়, শিশুদের দৈহিক গঠন দুর্বল হয়। আমড়ায় প্রচুর আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতার অভাব পূরণ হয়। আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং খাদ্যে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং ই-এর সঙ্গে একত্র হয়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ক্যানসারসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।

Source: Modern Agriculture Facebook Page

বেগুনের পাঁচ গুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.
                                                       (ছবি: বাউ বেগুন 1)

একটুকরো বেগুন ভাজা কিংবা পোড়া বেগুনের ভর্তা অনেকেরই পছন্দের খাবার। এবার জেনে নিন বেগুনের পাঁচ অজানা গুন। ডায়াবেটিস কিংবা হূদরোগের জন্য বেগুন যেমন উপকারী তেমনি এটি বাড়াতে পারে ত্বকের উজ্জ্বলতাও! জি নিউজ ব্যুরোর এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে
উচ্চমাত্রার আঁঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় রক্তে সুগার ও গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বেগুন। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেগুনের জুড়ি নেই।

দুই: হূদরোগের ঝুঁকি কমায়
বেগুন কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। যেসব কারণে বেগুন হূদরোগের ঝুঁকিও কমায়। বেগুনে থাকা প্রচুর পরিমাণের পটাশিয়াম শরীরে পানি শূন্যতা দূর করে যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

তিন: মস্তিষ্কের জন্য উপকারী বেগুন
বেগুনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। এই উপদানটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। মস্তিষ্কের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বার্তা প্রেরণেও পাইটোনিউট্রিয়েন্ট সাহায্য করে। যেটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

চার: হজমে সাহায্য করে
আঁঁশযুক্ত খাবার হওয়ায় এটি পাকস্থলীর হজমি শক্তি বাড়ায়। পুরো হজম প্রক্রিয়াকেই এটি স্বাভাবিক রাখে। কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে সহায়তা করে বেগুন।

পাঁচ: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
প্রচুর জলীয় পদার্থ থাকাতে বেগুন স্বাস্থ্যের জন্য তো ভালোই শরীরের ত্বকের জন্যও এটি বেশ উপকারী। বেগুনে এমন সব ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে যা ত্বকের মসৃণতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

Source: Modern Agriculture Facebook Page

কলার মোচার উপকারিতা

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

সুস্বাস্থ্যের জন্য কাঁচাকলা যেমন উপকারী সবজী তেমনি উপকারী কলার মোচা। গ্রামে গঞ্জে অনেকের কাছে কলার মোচা ফেলনা হিসেবে পরিচিত। প্রচুর আয়রনসমৃদ্ধ কলার মোচা মাঝে-মধ্যে সুলভ মূল্যে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

* রক্তের মূল উপাদান হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করতে কলার মোচার তুলনা হয় না। দেহে রক্তের পরিমান ঠিক রাখতে বা রক্তশূণ্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কলার মোচা খুব উপকারী।

* কলার মোচায় আয়রনের সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়োডিন ইত্যাদি। গলগণ্ড বা গয়টার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আয়োডিন।

* কলার মোচায় থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। অকালে দৃষ্টিশক্তি হারানো থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারেন।

* গর্ভস্থ শিশুর প্রায় ৭০ ভাগ মস্তিষ্কের গঠন মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় হয়ে থাকে। গর্ভবতী নারীদের এবং শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা খাওয়া উচিৎ।

* ত্বক, চুল ভালো রাখতে এই সবজির আয়রন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেশিয়াম দাঁতের গঠনেও রাখে অগ্রণী ভূমিকা।

* বয়স্ক নারী-পুরুষ ও বাড়ন্ত শিশু, খোলায়াড় বা যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তাদের জন্য এই সবজি আশীর্বাদস্বরূপ।

সাবধানতা
অতিরিক্ত আয়রণ থাকায় কলার মোচা বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কলার মোচা খেয়ে গ্রহণ করুন প্রয়োজনীয় উপকার।

সূত্র: Modern Agriculture  ফেইজবুক পেইজ

ধনিয়া পাতার স্বাস্থ্যগুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

ধনিয়া পাতাকে আমরা সালাদ এবং রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করে থাকি। ধনিয়া পাতা রান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু শুধু স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানোর কাজেই ধনিয়া পাতার গুণাগুণ শেষ হয়ে যায় না। ধনিয়া পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি তৃণ জাতীয় খাবার। সালাদে এবং রান্নায় ব্যবহার করুন ধনিয়া পাতা। এছাড়াও ধনিয়া পাতার জুস তৈরি করে খেতে পারেন।
ধনিয়া পাতায় রয়েছে ফাইবার, ম্যাংগানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং প্রোটিন।

১. ধনিয়া পাতা দেহের খারাপ কোলেস্টোরল (এলডিএল) এর মাত্রা কমায় এবং দেহের জন্য উপকারী ভালো কলেস্টোরল (এইচডিএল) এর মাত্রা বাড়ায়।

২. ধনিয়া পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে এবং আমাদের পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে।

৩. ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য ধনিয়া পাতা অনেক বেশি কার্যকরী। এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।

৪. ধনিয়া পাতার ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

৫. ধনিয়া পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে।

৬. স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিস্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে ধনিয়া পাতা।

৭. ধনিয়া পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তস্বল্পতা রোগ দূর করতে সহায়তা করে।

৮. ধনিয়া পাতার ভিটামিন কে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

সূত্র: Modern Agriculture ফেইজবুক পেইজ

এলাচের ঔষধি গুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

এলাচ সুগন্ধিময় ঔষধি। মূল্যের দিক দিয়ে বিশ্বে এর অবস্থান তিন।

তরকারির স্বাদ বাড়াতে কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চমৎকার মসলার বীজ।

এতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’। প্রচুর প্রোটিন, স্বল্প মাত্রায় ফ্যাট, ভোলাটাইল অয়েল প্রভৃতি। আরো আছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস।

বুক জ্বালা কমিয়ে দিতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

লিভার, গলব্লাডারের সমস্যায় সমাধান আনে এ ভেষজ।

ক্ষুধা না লাগলে এলাচ মুখে পুরে নিন। অথবা খাওয়ার আগে এলাচ গুঁড়ো পানি দিয়ে খেয়ে নিন। খাবারের আগ্রহ বেড়ে যাবে।

পেটফাঁপা ভাব, পেট ব্যথা ও এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে এ ঔষধি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও এলাচের কদর রয়েছে। হজমের সমস্যায় ভুগলে এলাচ খেয়ে যান।

শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগের জন্য উপকারী ঔষধি এলাচ।

এলাচ দিয়ে চা খেলে অনেক ভালো লাগবে।
কাশি থেকে মুক্তি পেতে এ চায়ের জুড়ি মেলা ভার।

মাথাব্যথা থাকলে তাও পালাবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে এলাচের মতো কার্যকর ভেষজ আর নেই।

একই সাথে এটি মুখ ও গলার ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।

কিডনি থেকে বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে দেয় এলাচ।

প্রসাবে সমস্যা হয়ে থাকলে এলাচ গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

মূত্রবর্ধক ওষুধ এবং ভরপুর আঁশের কারণে এটা উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে দেয়।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস কিংবা ফাঙ্গাসজনিত কোনো রোগ প্রতিরোধে বেছে নিতে পারেন এ অ্যান্টিসেপ্টিক।

ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও অ্যাসেনশিয়াল অয়েল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ফ্রি রেডিক্যালস থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং বুড়িয়ে যাওয়া কমিয়ে দেয়।

রক্তের জমাটবদ্ধতা কাটিয়ে দেয় এলাচ।

হেঁচকি, খিঁচুনি রোধে এর ভূমিকা সুবিদিত।
অনেক পুষ্টিবিদের মতে, গর্ভবতী, ব্রেস্ট ফিডিং করছেন এমন মায়েরাসহ যাদের পিত্তথলি পাথরের সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের এলাচ এড়িয়ে চলাই ভালো।

সূত্র: Modern Agriculture ফেইজবুক পেইজ

হলুদের ভেষজ গুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

হলুদের অপর নাম বর্ণবতী। বলবর্ধক, রক্তপরিষ্কারক, পিত্তনাশক, দাহ-নিবারক এ মসলা গুণের কারণে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন কাঞ্চনী, পীত, বরবর্ণিলী, যোষিৎপ্রিয়া ও বর্ণবিধায়িনী। এতে আছে কফ, বাত, পিত্ত, ব্রণ, চর্মরোগ, শোথ, পাণ্ডু, কৃমি, প্রমেহ, অরুচি, উদরী ও বিষদোষ প্রশমন করার ক্ষমতা। প্রাচীনকাল থেকে এটি ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটি ভারতবর্ষে আয়ুর্বেদ ও হেকমিতে ব্যবহৃত। এটি ভেষজ ছাড়াও বর্ণ, রুচি ও দিপ্তির জন্য উপকারী হিসেবে চিহ্নিত।

পেটের বায়ু ও পুরাতন ডায়রিয়া:
পেটে বাতাস হলে ও পুরনো ডায়রিয়ায় হলুদের গুঁড়ো বা রস পানিসহ খেলে খুবই উপকার হয়।

পেটের পীড়া:
পেটের সংক্রমণ দমনে হলুদ খুবই কার্যকর। মাখন বা দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে।

কৃমি :
কাঁচা হলুদের রস ১৫-২০ ফোঁটা (বয়সানুপাতে) সামান্য লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হয়। কৃমি দমনে কার্যকর ওষুধ, তাই একে কৃমিঘ বা কৃমিনাশকারীও বলে।

লিভারের দোষ :
পাণ্ডু রোগে (জন্ডিস) গায়ের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে আসছে বুঝতে পারলে হলুদের রস ৫ থেকে ১০ ফোঁটা থেকে শুরু করে বয়সানুপাতে ১ চা চামচ পর্যন্ত একটু চিনি বা মধু মিশিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা বহু আগে থেকে চলে আসছে। আবার একটু হলুদ গুঁড়া তার দ্বিগুণ পরিমাণ দইয়ে মিশিয়ে খেলে পিলে ও যকৃতের দোষ এবং জন্ডিস সারে। মধুসহ হলুদ খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

তোতলামি :
ছোটবেলায় যাদের কথা আটকে যায় বা স্বাভাবিকভাবে তাড়াতাড়ি কথা বলার অভ্যাস, সে ক্ষেত্রে হলুদকে গুঁড়ো করে (কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করতে হবে) তা দুই-তিন গ্রাম পরিমাণে এক চা চামচ ঘিয়ে একটু ভেজে সেটাকে দুই-তিনবার চেটে চেটে খাওয়াতে হয়। এতে তোতলামি কমে যায়।

হামজ্বর :
ক) এ জ্বরে কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সাথে করলা পাতার রস ও অল্প মধু মিশিয়ে খাওয়ালে তা সারে।

খ. হলুদের শিকড় রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে এক চা চামচ মধু ও করলা পাতার রস মিশিয়ে খেলে হাম সারে।

পুরনো ঘুসঘুসে জ্বর, কোষ্ঠবদ্ধতা, হজমে দুর্বলতা, পুরনো কাশি :
মধু মিশিয়ে হলুদের গুঁড়ো খেলে এসব রোগে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

এলার্জি :
খাদ্য বিশেষে অনেকের দেহ চাকা চাকা হয়ে ফুলে ওঠে, চুলকায়, লাল হয়ে যায় তাকে চট্টগ্রামে পিঁড়ি বাত বলে। এ ক্ষেত্রে নিমপাতার গুঁড়ো এক ভাগ, কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটা দুই ভাগ ও শুকনো আমলকীর গুঁড়ো তিন ভাগ এক সাথে মিশিয়ে এক গ্রাম হারে সেটা সকালে খালি পেটে বেশ কিছু দিন খেতে হয়।

পিপাসা বা তৃষ্ণা :
পাঁচ-সাত গ্রাম কাঁচা হলুদ থেঁতলে নিয়ে দেড় কাপ আন্দাজ পানিতে ৫-১০ মিনিট সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ওই পানি চিনিসহ অল্প অল্প করে পান করলে শ্লেষ্মাজনিত পিপাসা চলে যায়।

হাঁপানি :
হলুদ গুঁড়ো, আখের গুড় ও খাঁটি সরিষার তেল এক সাথে মিশিয়ে চাটলে হাঁপানি একটু উপশম হয়। এ ছাড়া এক চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার খেলে ভালো উপকার মেলে। এটি খালি পেটে খাওয়া ভালো।

কফ, সর্দি ও ঠাণ্ডা লাগা :
দুধে হলুদকে সিদ্ধ করে বেটে চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দি সারে। পুরনো কফ রোগ, গলা ফোলা ও গলা জ্বালায় আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো ৩০ মি.লি. গরম দুধে মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার হয়। এতে বড় চামচে দুধ ঢেলে তাতে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে অল্প আঁচে উৎরিয়ে নিতে হয়।

কাশি :
খুব বেশি কাশির ঝোঁক হলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে কাশির উপশম হয়।

সর্দিজ্বর :
গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে সর্দিজ্বর কমে।

চোখওঠা :
চোখ উঠলে হলুদ থেঁতলে নেয়া পানিতে চোখ ধুলে ও ওই রসে ডুবানো ন্যাকড়ায় চোখ মুছে ফেললে চোখের লাল ভাব কমে যায় ও তাড়াতাড়ি চোখ সেরে যায়। এটি দিনে তিন-চারবার দিতে হয়।

বিষাক্ত ক্ষত :
বিষাক্ত ফোঁড়া বা ইংরেজিতে কারবাঙ্কাল ও আর্য়ুবেদিক ভাষায় বল্লিক স্ফোটক বলা হয়, তাতে কাঁচা হলুদ বাটায় গরুর পেশাব মিশিয়ে অল্প গরম করে কয়েক দিন দিনে-রাতে কয়েকবার লাগালে দূষিত পুঁজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

ফোঁড়া :
পোড়া হলুদের ছাই পানিতে গুলে সেটা লাগালে ফোঁড়া পাকে ও ফেটে যায়; আবার গুঁড়ো লাগালে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

চর্মরোগ :
দাদ ও খোস পাঁচড়ায় হলুদের রস চামড়ায় লাগালে তা মধু মিশিয়ে খেলে রোগ সারে। এ ছাড়া হলুদ পিষে তিলের তেল মিশিয়ে গায়ে মাখলে চর্মরোগ সারে।

বাত :
হলুদ পোড়া ছাই পানিতে মিশিয়ে (পাঁচ গ্রাম আন্দাজ) রাতে খেলে বাত সারে।

মচকানো ব্যথা :
কোনো জায়গায় মচকে গেলে বা আঘাত লাগলে চুন, হলুদ ও নুন মিশিয়ে গরম করে লাগালে ব্যথা ও ফুলা দুই-ই কমে।

প্রমেহ :
ক. প্রমেহে প্রস্রাবের জ্বালার সাথে পুঁজের মতো লালা ঝরলে কাঁচা হলুদের রস এক চা-চামচ নিয়ে একটু মধু বা চিনিসহ খেলে রোগের উপশম হয়।

খ. হলুদ পিষে আমলকীর সাথে খেলেও প্রমেহ উপশম হয়।

নাকের ক্ষত :
নাকের ভেতর ক্ষত হলে হলুদ গুঁড়ো মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।

ডায়াবেটিস :
হলুদের গাঠ পিষে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে কিছু দিন খেলে (নিয়মিত) ডায়াবেটিস সারে। প্রমেহও সারে।

পাথুরি :
হলুদ ও পুরানো গুড় মিশিয়ে খেলে পাথুরিতে উপকার হয়।

মূর্ছা :
হলুদ ও পুরনো গুড় মিশিয়ে খাওয়ালে মূর্ছা রোগ সারে।

রক্তশূন্যতা :
হলুদ লোহাসমৃদ্ধ বলে এটির কাঁচা রস এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্রতি দিন খেলে রক্তশূন্যতা চলে যায়।

স্বরভঙ্গ :
কোনো সাধারণ কারণে স্বরভঙ্গ হলে দুই গ্রাম আন্দাজ হলুদের গুঁড়ো চিনির শরবতে মিশিয়ে একটু গরম করে খেলে চমৎকার উপকার হয়। গরম দুধে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে রাতে খেলে স্বরভঙ্গ ও গলাবসা ঠিক হয়ে যায়।

জোঁকে ধরা :
জোঁকের মুখে হলুদ বাটা বা গুঁড়ো দিলে জোঁকও ছাড়ে, সেই সাথে রক্ত পড়াও বন্ধ হয়।
ভেষজ বস্তুর ব্যবহারে উন্নাসিকতা ছেড়ে যথানিয়মে একাগ্রতার সাথে তা করলে ধনী-গরিব নির্বিশেষে উপকার মেলে, আর প্রচলিত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হাত থেকে বাঁচা যায়।

সূত্র: Modern Agriculture ফেইজবুক পেইজ

মেথির গুণাগুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

১. ওজন কমাতে :
প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে জন্ম নেয় মেথি। এগুলো চিবিয়ে গিলে খাওয়া যায় এবং পাকস্থলীর ফাঁকা স্থান এরা পূর্ণ করে। এতে ওজন কমানোর বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। খুব বেশি নয়, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সামান্য মেথি চিবিয়ে খান। এতেই স্পষ্ট বুঝবেন উপকার পাচ্ছেন। স্থূলতা কমাতে প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো পানি পান করতে পারেন। দুটি আলাদা গ্লাসে পানি নিয়ে প্রতিটিতে এক টেবিল চামচ মেথি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। এই পানি পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করে।

২. জ্বর ও খুসখুসে গলার জন্য :
লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে এক টেবিল চামচ মেথি চিবিয়ে খেলে জ্বর থেকে মুক্তি মেলে। আবার এতে রয়েছে মুসিলেজ নামের এক ধরনের যৌগ, যা গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। নারীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়েও এর উপকারিতা রয়েছে। মেথিতে রয়েছে সাইটো-ইস্ট্রোজেন, যা নারীদেহে প্রোলাকটিন নামের হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি ঘটায়। এই হরমোন নারীদেহকে সুগঠিত করে। এ ছাড়া ঋতুকালীন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় মেথি।

৩. চুল পড়া রোধে :
স্বাস্থ্যহীন চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেয় মেথি। চুল পড়া রোধে বহুকাল ধরে মেথির কদর চলে আসছে। এটি খেতেও পারেন, বা বেটে মাথায় দিতে পারেন। বিস্ময়কর উপকারিতা মিলবে। মেথি বাটা সারা রাত নারিকেল তেলের মধ্যে চুবিয়ে রেখে সকালে চুলে মাখুন। ঘণ্টাখানেক পর গোসল করে ফেলুন।

৪. হজমে সহায়ক :
বুকে বা পেটের ওপরের দিকে এসিডের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় মেথি। সেই সঙ্গে বদহজমের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ সবই দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে বের করে দেয়। উপকার পেতে স্রেফ পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে খেলেই হবে। পানিটাও খেতে ভুলবেন না।

৫. রক্তে গ্লুকোজ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : দেহে গ্লুকোজের মাত্রা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মেথি। এর অ্যামাইনো এসিড অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন ক্ষরণে সহায়তা করে। এতে দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৬. উজ্জ্বল ত্বকের জন্য :
রূপচর্চায়ও মেথিকে শীর্ষে রাখা যায়। সারা দেহে বয়ে বেড়ানো নানা ক্ষতিকর উপাদান চেহারায় বলিরেখা ফেলে দেয়। এ ছাড়া চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সৃষ্টিতেও ওস্তাদ এগুলো। মেথি দেহের সব অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঝেঁটিয়ে বিদায় করে।

৭. খুশকি দূর করতে :
বিশেষ ধরনের চুলে প্রচুর খুশকির উত্পাত ঘটে। মাথার শুষ্ক ও মৃত ত্বক থেকে খুশকি হয়। গোটা রাত পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে তা বেটে পেস্ট তৈরি করুন। এতে ইচ্ছে হলে দই মেশাতে পারেন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগান। মিনিট তিরিশেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।

সূত্র: Modern Agriculture Facebook Page

মটরশুটির পুষ্টিগুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

সৌখিন রান্নাতে মটরশুটির ব্যবহার হবে না তা কি হয়। পোলাও, মাছ ভুনা, রোস্ট, নুডুলস, রোলসহ অনেক খাবারে মটরশুটির ব্যবহার চলে। ছোট দানার এই ডাল জাতীয় খাবারটিতে আছে অনেক পুষ্টিগুণ।
প্রতি ১০০ গ্রাম মটরশুটিতে পাওয়া যায় প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৪.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৫ গ্রাম ও প্রোটিন পাওয়া যায় ৫.৪ গ্রাম। এছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড, বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। সামান্য পরিমাণে ভিটামিন কেও থাকে মটরশুটিতে। ছোট মটরশুটিতে থাকা এসব উপাদান আপনার শরীরকে দারুণভাবে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

– মটরশুটিতে বেশ ভালো পরিমাণে খাদ্যআঁশ থাকায় পেট পরিস্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

– নিমমিত মটরশুটি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

– অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে এই সবজি দারুণ কাজ করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হৃদরোগ প্রতিরোধেও দারুণ ভূমিকা রাখে।

– মটরশুটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রুখতে সরাসরি কাজ করে।

– মটরশুটিতে থাকা পর্যাপ্ত ভিটামিন কে শরীরে হাড় শক্ত করতে খুব কার্যকরী।

– ফলিক অ্যাসিড থাকায় প্রসূতি মায়েরা মটরশুটি খেতে পারেন।

– ত্বকের জন্যও মটরশুটি খুব উপকারী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

– মটরশুটি চোখের দৃষ্টিশক্তিও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

– মটরশুটিতে থাকা নিয়াসিন রক্তে প্রবাহিত ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমান বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র: Modern Agriculture Facebook Page

আদার স্বাস্থ্যগুণ

অধিকারী চ. মিঠু's photo.

১. জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্যথায় আদা উপকারী। কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ঠাণ্ডার সময়ে তাই সকালে খেতে পারেন আদা।

২. ঋতু বদলের সময় অ্যাজমা, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এই সময়ে খাওয়ার সাথে আদা রাখুন। সর্দি-কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে, আরাম পাবেন।

৩. বমিভাব থেকে রেহাই পেতে কয়েক কুচি আদা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। সমস্যা অনেকটা কমবে।

৪. হার্ট ভালো রাখতে: আর্টারি ওয়ালে ব্যাড কোলেস্টেরল ও ফ্যাটি অ্যাসিড জমে করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়। ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধে দেখা যায়। আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অ্যাবজর্বশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে।

৫. অতিরিক্ত ওজন কমাতেও আদা সাহায্য করে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করার, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।

৬.অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা উপকারী।

7. ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে এনার্জি: ৮০ ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট: ১৭ গ্রাম, ফ্যাট: ০.৭৫ গ্রাম, পটাশিয়াম: ৪১৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস: ৩৪ মিলিগ্রাম

8. আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারা দিনের খাবারে অল্প পরিমাণে আদা রাখার চেষ্টা করুন। আদা দিয়ে চা খেতে পারেন, সালাদে আদার সরু, লম্বা কুচি মেশাতে পারেন। ব্যথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কমিয়ে আদা খেয়ে দেখতে পারেন। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে জিঞ্জার অয়েল উপকারী।

9. গর্ভবতী মহিলাদের সকালে খারাপ লাগার সমস্যা কমাতে আদা সাহায্য করে।

10. আদা হজমে সাহায্য করে।

সতর্কতা
১. গলস্টোনের সমস্যা থাকলে কত পরিমাণ আদা খাবেন, ডাক্তারের থেকে জেনে নিন।

২.গর্ভাবস্থায় সারা দিনে ২৫০ গ্রামের বেশি আদা খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়।

যেভাবে আদা খাবেন
১. আদায় সামান্য পানি দিয়ে থেতলে নিন। আদার রস ও আদা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। চা বানানোর জন্যে এই পানি ব্যবহার করুন।

২. আদা ছিলে , সামান্য লেবুর রস মেশান। হজমে এই মিশ্রণ খুব ভালো কাজ করে।

৩. সারা দিনে ৫০ গ্রাম আদা খেতে পারেন। পাউডারড জিঞ্জার আদা চামচ করে দিনে ৩ বার খেতে পারেন। আদা সরু লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন। সামান্য লবণ, গোলমরিচ মেশান।

৪. পানি ফুটিয়ে নিন। এবারে দুধ, মসলা, আদার রস, চা পাতা দিয়ে আরো একবার ফুটিয়ে নিন। কাপে চিনি দিয়ে পরিবেশন করুন। ওপরে সামান্য এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন।

৫. হজমে সাহায্য করার জন্যে আদা দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। জিরে গুঁড়ো, বিট নুন, আদার রস, লেবুর রস, ঠাণ্ডা জল একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি আদার সিরাপ। দুপুরে বা রাতের খাবারের পরে এই সিরাট খেতে পারেন।

৬. ভিনিগারে আদার টুকরো, লবণ, মরিচ দিয়ে কিছু দিন রাখুন। খাওয়ার সময় আচার হিসেবে খেতে পারেন।

Source: Modern Agriculture Facebook Page