বন্যা কবলিত এলাকার জন্য আপদকালীন রোপা আমন ধানের চারা উৎপাদন পদ্ধতি | ই-কৃষক

বন্যা কবলিত এলাকার জন্য আপদকালীন রোপা আমন ধানের চারা উৎপাদন পদ্ধতি

 

ভাসমান বীজতলাঃ বন্যাকবলিত এলাকায় যদি বীজতলা করার মত জায়গা না থাকে এবং বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চারা তৈরীর প্রয়োজনীয় সময় না থাকে তবে বন্যার পানি, পুকুর, ডোবা বা খালের পানির উপর বাঁশ এবং বাঁশের চাটাই-এর মাচা অথবা কলাগাছের ভেলা তৈরী করে তার উপর ২-৩ সে.মি. পরিমাণ পুকুরের তলার মাটির পাতলা কাদার প্রলেপ দিয়ে ভেজা বীজতলার মত বীজতলা তৈরী করা যায়। বন্যার পানিতে যেন ভেসে না যায় তার জন্যে এ বীজতলাকে দড়ির সাহায্যে খুটির সাথে বেঁধে রাখা দরকার।

এরপর মাটির আস্তরণের উপর অংকুরিত বীজ ছিটিয়ে দিতে হবে। ভাসমান বীজতলার ক্ষেত্রে অন্য স¦াভাবিক বীজতলার মতই বীজহার (প্রতি বর্গমিটারে ৮০-১০০ গ্রাম) হবে। এক্ষেত্রে একবিঘা জমি রোপনের জন্য ৩৫ বর্গমিটার ভাসমান বীজতলা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রায় ২৫-৩০ দিনের চারা উঠিয়ে মাঠে রোপন করা যেতে পারে। এভাবে তৈরী চারা অন্যসব স¦াভাবিক চারার মতই রোপন করতে হবে এবং সমস্ত কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা অন্য স¦াভাবিক বীজতলার চারার মতই হবে। গবেষণায় দেখা গেছে এভাবে উৎপাদিত চারা অন্যসব চারার মতই ফলন দেয়। পানিতে ভাসমান থাকার জন্য এ বীজতলায় সাধারণত সেচের দরকার হয় না, তবে প্রয়োজনে ছিটিয়ে পানি দেওয়া যেতে পারে।

সূত্রঃ এগ্রিনিউজবিডি

Leave a Reply