সজিনার বহুমুখী ব্যবহার ও ঔষধি গুনাগুন | ই-কৃষক

সজিনার বহুমুখী ব্যবহার ও ঔষধি গুনাগুন

সজিনার বহুমুখী ব্যবহার

ফুলঃ সজনার ফুল বসন্তকালে খাওয়া ভাল কারন এটি বসন্ত প্রতিষেধক। এটি সর্দি কাশিতে, যকৃতের কার্যকারীতায়, কৃমি প্রতিরোধে, শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকারীতা রয়েছে।
ডাটাঃ এর ডাটা বা ফলে প্রচুর এমাইনো এসিড আছে। এটি বাতের রুগীদের জন্য ভাল।

বীজঃ এর বীজ থেকে তেল ও পাওয়া যায় যা বাতের ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে এবং ঘড়ি ঠিক করার জন্য যে বেল ওয়েল (Ben oil) ব্যবহার হয় তা এর বীজ হতে পাওয়া যায়।

ছাল: সজিনার ছাল থেকে তৈরি হয় দড়ি।

ঔষধি গুনাগুনঃ

হাই ব্লাড প্রেসারেঃ সজনার পাকা পাতার টাটকা রস পানির মধ্যে নিয়ে নিংরে নিতে হবে এবং দুইবেলা আহারের পূর্বে ২ বা ৩ চামচ খেলে সপ্তাহের মধ্যে প্রেসার কমে যাবে । তবে যাদের প্রস্রাবে বা রক্তে গ্লুকোজ আছে তাদের খাওয়া যাবে না।

টিউমার ও ফোড়ার ক্ষেত্রেঃ পাতা বেটে ফোঁড়া বা টিউমারে লাগালে বহু ক্ষেত্রে মিলিয়ে যায় এবং ফোলা ও ব্যাথার উপশম হয়।

জ্বর জ্বর ভাবেঃ এক্ষেত্রে পাতার ঝোল বা শাক রান্না করে খেলে উপশম পাওয়া যায়।
হিক্কায়ঃ পাতার রস ২-৫ ফোটার সাথে দুধ মিশ্রিত করে ২-৩ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়।

অর্শে ( Piles): অর্শে যন্ত্রনা আছে অথচ রক্ত পড়ে না , এক্ষেত্রে নিন্মাঙ্গে তিল তৈল লাগিয়ে পাতা সিদ্ধ ক্বাথ দ্বারা সিক্ত করলে ব্যাথা কমে যায়।
চোখে ব্যথা বা পিটুনি পড়াঃ এক্ষত্রে পাতা সিদ্ধ করে পানি সেচন দেয়া।
দাঁদেঃ এর মূলের ছালের প্রলেপ দিলে এর উপকার পাওয়া যায়। তবে এটি প্রত্যহ ব্যবহার করা ঠিক নয়। এছাড়াও এর বহু বিধ ব্যবহার রয়েছে।
তাছাড়া সজনাতে প্রতি ১০০ গ্রামে খাদ্যপোযোগী পুষ্টি উপাদান হচ্ছে -
জ্বলীয় অংশ = ৮৩.৩ গ্রাম
খনিজ = ১.৯ গ্রাম
আঁশ = ৪.৮ গ্রাম
খাদ্যশক্তি = ৬০ কিলোক্যালোরি
প্রোটিন = ৩.২ গ্রাম
চর্বি = ০.১ গ্রাম
শর্করা = ১১.৪ গ্রাম
ক্যলশিয়াম = ২১.০ মিলিগ্রাম
লোহা = ৫.৩ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন = ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন=বি=১ = ০.০৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন=বি=১ = ০.০২ মিলিগ্রাম
ভিটামিন=সি = ৪৫.০ মিলিগ্রাম

Source: প্রকৃতি Facebook page

Leave a Reply