২. জাতঃ
- উচ্চ ফলনশীল জাতঃ উচ্চ ফলনশীল জাত গুলো হলো-
জাত |
কোম্পানীর নাম |
বীজ বপনের সময় |
উত্তরা (বারি বেগুন ১) |
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট(BARI) |
শীতকাল |
শুকতারা |
BARI |
শীতকাল |
তারাপুরী (বারি বেগুন ২) |
BARI |
শ্রাবণ-ভাদ্র |
কাজলা (বারি বেগুন ৪) |
BARI |
– |
নয়নতারা (বারি বেগুন ৫) |
BARI |
– |
হাইব্রীড বেগুন জায়েন্ট গ্রিন, সুরভী |
ব্র্যাক সীড |
– |
হাইব্রীড বেগুন লবনী, বনানী, পার্থিব, শ্রাবনী, (উফশী-সিংনাথ, কাজলা, ইভা) |
লালতীর সীড লি: |
জুলাই থেকে নভেম্বর মাস |
হাইব্রীড বেগুন বিজয়, উৎসব, আনন্দ, হাসি, খুসি |
মল্লিকা সীড কো. (MSC) |
আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ |
হাইব্রীড বেগুন কে.এস-১,২,৩ |
কৃষিবিদ গ্রুপ |
সারা বছর চাষ করা যায় |
হাইব্রীড বেগুন বিএসএস-৬৩৩,৫১৩/৭৩৯,৬২৬/৬১৯/৭৯০,৩৩২, হারসা/পান্না, জনক |
বেজো শীতল সীডস (বাংলাদেশ) লি: (BCSBL) |
সারা বছর |
হাইব্রীড বেগুন চিত্রা, রওশনী, (উফসী- শিংনাথ, নয়নতারা) |
গেটকো এগ্রো ভিশন লি: |
– |
হাইব্রীড বেগুন রঙ্গিলা, শ্রাবন্তী, লম্বা বেগুন |
নামধারী মালিক সীডস (NMS) |
– |
হাইব্রীড বেগুন অলসিজন এফ-১, হারিয়া এফ-১, (ব্লাক বিউটি/লংপার্পল/ত্র্যান্তি) |
পাশাপাশি সীড কো: |
আষাঢ়-অগ্রহায়ণ |
হাইব্রীড বেগুন মোহিনী, আনন্দ |
ইউনাইটেড সীড ষ্টোর (USS) |
১৫ ই আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিনের শেষ পর্যন্ত বীজ বপন করা যায় |
হাইব্রীড বেগুন কাজল |
বেজো শীতল সীডস (বাংলাদেশ) লি: (BCSBL) |
সারা বছর |
বেগুন উফশী বাশরী |
ম্যাপল |
বপন সময় ভাদ্র ও অগ্রহায়ন |
৩. উপযোগী জমি ও মাটিঃ বাংলাদেশের সব ধরনের মাটিতে ও সব এলাকায় বেগুন চাষ কারা যায়। তবে বর্ষাকালে পানি জমেনা এ ধরনের উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে। তাছাড়া হালকা বেলে থেকে ভারী এটেল মাটি অর্থাৎ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই বেগুনের চাষ করা হয়। হালকা বেলে মাটি আগাম জাতের বেগুন চাষের জন্য উপযোগী। এই ধরণের মাটিতে বেগুন চাষ করতে হলে প্রচুর পরিমাণ জৈবসারসহ অন্যান্য সার ঘন ঘন প্রয়োগ করতে হবে। এটেঁল দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটি বেগুন চাষের জন্য উপযোগী এবং এই মাটিতে বেগুনের ফলন বেশী হয়।
৪. বীজঃ
ভালো বীজ নির্বাচনঃ ভালো বীজের বৈশিষ্ট্য গুলো নিম্নোরুপ-
- রোগমুক্ত, পরিষ্কার, পরিপুষ্ট ও চিটামুক্ত হতে হবে।
- সকল বীজের আকার আকৃতি একই ধরনের হবে।
বীজের হারঃ সাধারন ভাবে প্রতি একরে ১১০-১১৫ গ্রাম বীজের চারা প্রয়োজন হয়। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।
বীজ শোধনঃ প্রতি কেজি বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম ভিটাভেক্স-২০০ নামক ছত্রাকনাশক ও বীজ পাত্রে ঢেলে এমনভাবে ঝাকাতে হবে যেন বীজের গায়ে ছত্রাক নাশক ভালভাবে লেগে যায়। শোধনকৃত বীজ পাত্র থেকে বের করার পর ছায়াতে শুকিয়ে নিতে হবে। বীজ বপনের ছয় ঘন্টা আগে বীজশোধন করা ভাল।
৫. জমি তৈরীঃ
- জমি চাষঃ সাধারণতঃ মাঠের জমি তৈরির জন্য ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
- বীজ তলা তৈরীঃ বীজতলায় মাটি হতে হবে উর্বর। উর্বরতা কম থাকলে জৈব সার ও সামান্য পরিমাণ ফসফেট জাতীয় সার ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি বর্গ মিটার বীজতলার জন্য ১-২ ডালি পঁচা গোবর সার ও ৩০ গ্রাম টিএসপি সার ব্যবহার করা যেতে পারে। চাষের পর সম্পূর্ণ জমিকে কয়েকটি ছোট ছোট বীজতলাতে ভাগ করে নিতে হবে। প্রতিটি বীজতলা দৈর্ঘ্যে ৩-৫ মিটার, প্রস্থে এক মিটার ও পাশ থেকে ৬-৮ ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা রাখা উচিত। পাশাপাশি দুটো বীজতলার মধ্যে ১-১.৫ হাত ফাঁকা জায়গা রাখা উচিত। এ ফাঁকা জায়গা থেকে মাটি নিয়ে বীজতলা উঁচু করে নিতে হবে।
- বীজ তলার পরিচর্যাঃ চারা গজানোর পর ২-৩ দিন অন্তর হালকা সেচ দেওয়া উচিত।
৬. বপন ও রোপন এর পদ্ধতিঃ
- বপন ও রোপন এর সময়ঃ আষাঢ়-অগ্রহায়ণ, তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে নির্দেশ মত বপন ও রোপন করতে হবে।
- ছিটিয়ে বা লাইনে বপনঃ চারা রোপণ দূরত্ব জাত, মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন মৌসুমের উপর নির্ভর করে। সাধারণতঃ বড় আকারের বেগুনের জাতের ক্ষেত্রে ২-২.৫ ফুট দূরে সারি করে সারিতে ২ ফুট ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে এবং ক্ষুদ্রাকার জাতের ক্ষেত্রে ২ ফুট সারি করে সারিতে ১.৫-১.৭৫ ফুট ব্যবধানে চারা লাগানো যেতে পারে। জমিতে লাগানোর পর পরই যাতে চারা শুকিয়ে না যায় সে জন্য সম্ভব হলে বিকালের দিকে চারা লাগানোউচিত।
- রোপনঃ ৩৫-৪৫ দিন বয়সের চারা রোপণের উপযোগী হয়। এ সময় চারাতে ৫-৬টি পাতা গজায় এবং চারা প্রায় ৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। বেগুনের চারার বয়স একটু বেশী হলেও লাগানো যেতে পারে। চারা তোলার সময় যাতে শিকড় নষ্ট না হয সেজন্য চারা তোলার ১-২ ঘন্টা আগে বীজতলায় পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে নিতে হবে।
৭. সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম | সার দেওয়ার সময় |
একর প্রতি সারের পরিমাণ |
||
গোবর বা কম্পোষ্ট |
শেষ চাষের সময় | কম উর্বর জমি ০৬ টন |
মধ্যম উর্বর জমি ০৪ টন |
বেশী উর্বর জমি ২-২.৫ টন |
ইউরিয়া |
শেষ চাষের সময় | x | x | x |
প্রথম কিস্তি | ৬০ কেজি | ৫০ কেজি | ৪০ কেজি | |
দ্বিতীয় কিস্তি | ৬০ কেজি | ৫০ কেজি | ৪০ কেজি | |
তৃতীয় কিস্তি | ৬০ কেজি | ৫০ কেজি | ৪০কেজি | |
টিএসপি |
শেষ চাষের সময় | ১২০ কেজি | ২৫০ কেজি | ৮০ কেজি |
এমপি |
শেষ চাষের সময় | ৬০ কেজি | ৬০ কেজি | ৮০ কেজি |
টিএসপি |
প্রথম কিস্তি | ৬০ কেজি | ৩০ কেজি | ২০ কেজি |
এম ও পি |
দ্বিতীয় কিস্তি |
৬০ কেজি |
৩০ কেজি |
২০ কেজি |
জিপসাম |
শেষ চাষের সময় | ৬০ কেজি | ৫০ কেজি | ৪০ কেজি |
৮. আগাছা দমনঃ
- সময়ঃ জমিতে আগাছা দেখা দিলে পরিস্কার করে মাটি আলগা করে দিতে হবে। হালকাভাবে মাটি আলগা করে নির্দিষ্ট দিন পর পর নিড়ানি দেওয়া যেতে পারে এতে করে গাছের শিকড় বৃদ্ধি ভাল হবে।
- দমন পদ্ধতিঃ নিড়ানি / কোদাল এর সাহায্যে আগাছা দোমন করা যেতে পারে।
৯. সেচ ব্যবস্থাঃ
- সেচের সময়ঃ বেগুন চাষের জন্য সেচ অত্যন্ত প্রয়োজন বেগুনের শিকড় মাটির খুব গভীরে যায় না বলে ভাল উৎপাদন পাওয়ার জন্য ঘন ঘন সেচ দিতে হবে।
- সেচের পরিমাণঃ ঘন ঘন পরিমিত মাত্রায়।
- নিষ্কাশনঃ জমে থাকা পানি বেগুন সহ্য করতে পারে না, তাই নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।
রোগের নাম |
লক্ষন |
প্রতিকার |
কীটনাসকের নাম |
ঢলে পড়া বা নেতিয়ে পড়া রোগ |
আক্রান্ত গাছের কচি পাতা প্রথমে ঢলে পড়ে কিংবা নীচের বয়স্ক পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়।শিকড়ের মাধ্যমে আক্রমন শুরু হলেও পরে তা কান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। রোগের জীবানু মাটি থেকে পানি গ্রহন ও সঞ্চালনে বাধা দেয়, ফলে গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়। | ১. ঢলে পড়া চারা দেখা মাত্রই তুলে তা ধ্বংস করতে হবে। ২. জমি সব সময় আর্দ্র বা ভিজা না রাখা এবং পানি নিকাশের ব্যবস্থা রাখা।৩. রিডোমিল গোল্ড ৬৮ ডব্লিউজি – প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে রিডোমিল গোল্ড মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে ভালভাবে স্প্রে করুন। | রিডোমিল গোল্ড ৬৮ ডব্লিউজি |
চারা ধবসা রোগ |
বীজতলায় চারা গজানোর পর থেকে মূল ক্ষেতে চারা রোপন পর্যন্ত এ রোগের আক্রমন হয়ে থাকে। অংকুরিত বীজের বীজপত্র, কান্ড এবং শিকড় নষ্ট করে দেয়।আক্রান্ত চারা প্রথমে হালকা সবুজ হয়ে ঢলে যায় এবং সম্পূর্ন চারাটিই মরে যায়। আক্রান্ত চারা ২-৪ দিনের মধ্যেই পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। | ১. শোধনকৃত বীজ বপন করা এবং রিডোমিল গোল্ড ৬৮ ডব্লিউজি (প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে ৫ শতাংশ জমির জন্য)। ব্যবহার করে বীজতলার মাটি শোধন করা যায়। ২. আক্রান্ত গাছ জমি থেকে তুলে ধ্বংস করতে হবে। | রিডোমিল গোল্ড ৬৮ ডব্লিউজি |
ডাউনি মিল্ডিউ |
এর জন্য গাছের পাতা ধূসর হয়ে যায়। পাতায় সাদা পাউডার দেখা যায় | ১. থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি- প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম থিয়োভিট মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে ১৫ দিন পর পর সেপ্র করুন। | থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি |
মোজাইক | কচি চারার বীজপত্র হলুদ হয় এবং চারা নেতিয়ে পড়ে। কচি ডগা জটলার মত দেখায়। আক্রান্ত পাতা ছোট, বিবর্ণ, বিকৃত ও নীচের দিকে কুঁকড়ানো হয় এবং শিরা-উপশিরাও হলুদ হয়ে যায়। | ১. আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করতে হবে।২. ক্ষেত আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।৩. বাহক পোকা সাদা মাছি দমন করতে হবে (একতরা ২৫ ডব্লিউজি- ২.৫ গ্রাম একতারা প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে সেপ্র করতে হবে)। | (একতারা ২৫ ডব্লিউজি) |
পোকামাকড়ের নাম |
লক্ষন |
প্রতিকার |
কীটনাসকের নাম |
বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা |
বেগুনের বোঁটার নীচে ছোট ছিদ্র দেখা যায়। কচি ডগা ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত ফলের ভিতরটা ফাঁপা ও পোকার বিষ্ঠায় পরিপূর্ণ থাকে। |
নিমবিসিডিন, ৮০ এম এল/একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। |
নিমবিসিডিন |
ফাইটার ২.৫ ইসি-৪১০ এম এল/লি. পানি |
ফাইটার ২.৫ ইসি |
||
রিপকরট ১০ ই সি ২০০ এম এল/একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে (১ এম এল /লি. পানি) | রিপকরট ১০ ই সি | ||
সবিক্রন ৪২৫ ই সি, ৪০০ এম এল / একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। | সবিক্রন ৪২৫ ই সি, | ||
আলফাটাফ ৫০ এস পি, ২৪৫-৩২৫ গ্রাম/একর(১২-১৬ গ্রাম/১০ লি. পানি) |
আলফাটাফ ৫০ এস পি |
||
মাছি পোকা |
১. স্ত্রী মাছি কচি ফলে ডিম পাড়ে।২. ডিম ফুটে কীড়াগুলো বরে হয়ে ফলের শাস খায় এবং ফল পচে যায় ও অকালে ঝরে পড়ে। | ১. প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি- আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে প্লেনাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ২. সবিক্রন ৪২৫ ইসি- প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল হারে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। । | প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি,সবিক্রন ৪২৫ ইসি |
টিডো ২০ এস.এল-১০০-১০৫ এম এল / একর জমিতে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। | টিডো ২০ এস.এল | ||
কাটুই পোকা |
কীড়া অবস্থায় এই পোকা দিনের বেলা মাটির ফাটলে বা গর্তে লুকিয়ে থাকে। রাতের বেলা বের হয়ে চারা গাছের গোড়ার মাটি বরাবর কেটে দেয়। | ১. ক্যারাটে ২.৫ ইসি-বেগুনের চারা রোপনের পর প্রতি শতাংশ জমিতে ৩ এমএল ক্যারাটে প্রয়োজনীয় পানির সাথে মিশিয়ে সারি ভিজিয়ে স্প্রে করুন। | ক্যারাটে ২.৫ ইসি |
গোলা ৪৮ ইসি-১.৪০ লি./একর(৬৯ মিলি/১০ লি.- ৫ শতাংশ জমির জন্য) | গোলা ৪৮ ইসি | ||
ছাতরা পোকা/মিলিবাগ |
ছাতরা পোকা বেগুন গাছের পাতার বোঁটা এবং কচি ডগার রস চুষে খায়। এর দেহ থেকে মধু জাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং আক্রান্ত অংশে কালো ছাতা বা শুটি মোন্ড ছত্রাকের আক্রমন হয়। গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয় এবং কোন ফুল/ফল ধরে না। অনেক সময় পাতা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে গাছ মারা যায়। | ১. রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছিঁড়ে ফেলা ।২. সম্ভব হলে হাত দিয় ডিমের গাদা বা পোকা ধ্বংস করা।৩. নিমবিসিডিন, ৮০ এম এল/একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। |
নিমবিসিডিন |
বেগুনের কাঠালে পোকা |
বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা পাতার উপরের সবুজ অংশ খেয়ে জালের মত ঝাঁঝরা করে ফেলে।আক্রান্ত পাতা শুকিয়ে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। আক্রমন বেশি হলে গাছ মারা যায়। | ১. আক্রমণের প্রথম অবস্থায় ডিমের গাদা এবং পাতাসহ কীড়া হাত দিয়ে সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।২. গাছের গোড়সহ বেগুনের সম্পূর্ন মাঠ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।৩. আক্রমনের মাত্রা তীব্র হলে সবিক্রন ৪২৫ ইসি (প্রতি লিটার পানিতে ২ এমএল হারে) প্রয়োগ করুন। |
সবিক্রন ৪২৫ ইসি |
পাতা মোড়ানো পোকা |
কীড়া পাতা মুড়িয়ে ফেলে এবং ভিতরে বসে পাতার সবুজ অংশ কুড়ে কুড়ে খায়।ফলে মোড়ানো পাতা জালের মত ঝাঝড়া হয়ে যায় ও পরে সাদা হয়ে শুকিয়ে যায়।সবুজ ডগা ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে এবং ডগার ভিতরের অংশ খায় ফলে ডগা সাদা হয়ে যায়। | ১. আক্রমণের প্রথম অবস্থায় ডিমের গাদা এবং পাতাসহ কীড়া হাত দিয়ে সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।২. গাছের গোড়সহ বেগুনের সম্পূর্ন মাঠ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।৩. আক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করা। | |
জাব পোকা |
পূণবয়স্ক ও নিম্ফ উভয়েই পাতা, কচি কান্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোঁটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে গাছ প্রথমে দুর্বল ও পরে হলুদ হয়ে যায়। গাছে ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমণ হলে ফুলের কুঁড়ি ও কচি ফল ঝরে পড়ে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মরে যায়। | ১. আক্রান্ত পাতা, ডগা, ফুল পোকাসহ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।২. একতারা ২৫ ডব্লিউজি- আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে ২.৫ গ্রাম একতারা প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাব গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।৩. প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি- আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে প্লেনাম মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। | একতারা ২৫ ডব্লিউজি, প্লেনাম ৫০ ডব্লিউজি |
টিডো ২০ এস.এল-১০০-১০৫ এম এল / একর জমিতে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। | টিডো ২০ এস.এল | ||
ফাস্টাক ২ ই সি, ২০২ মি লি ১ একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে(১ এম এল/১ লি. পানি) | ফাস্টাক ২ ই সি |
ফেরমোন ট্রাপ দিয়ে ক্ষতিকর পোকা দমন করা যেতেপারে।
- সময়ঃ ফল সম্পূর্ণ পরিপক্ক হওয়ার পূর্বেই সংগ্রহ করতে হবে। ফল যখন পূর্ণ আকার প্রাপ্ত হয় অথচ বীজ শক্ত হয় না তখন ফল সংগ্রহ করার উপযুক্ত হয়। সংগ্রহের সময় ফলের ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে থাকবে।
- পদ্ধতিঃ হাত / কাচ কাটা বাশের কঞ্চি দারা ফসল সংগ্রহ করা হয়।
১৩. পরিবহণ ব্যবস্থাঃ
- পরিবহণ পদ্ধতিঃ ফসল সংগ্রহের পর প্রথমে ডালিতে কলা পাতা বিছিয়ে তার উপর বেগুন সাজায়ে রাখতে হবে যাতে কোনো দাগ না পরে।
- পরিবহণের মাধ্যমঃ সাধারনত ঝুড়ি / ডালিতে করে পরিবহন করা হয় তবে বেশি আকারে হলে পিক-আপ / ট্রাকের মাধমেও পরিবহন করে হয়।
১৪. প্যাকেজিং:
- প্যাকেজিংপদ্ধতিঃ প্যাকেজিং এর জন্য ফুড রেপিং পেপার, পেরফোরেটেড পেপার, ঝুড়ি, খাঁচা, প্লাস্টিক কেস প্রভৃতি ব্যবহার করা জেতে পারে।
১৫. সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
- স্বল্প পরিসরেঃ ৩-৫ দিন সংরক্ষণ করা যায়।
১৬. বাজারজাত ব্যবস্থাঃ
১৭. তথ্যের উৎসঃ AIS, BARI, কৃষি প্রযুক্তি হাত বই, ekrishok.com, krishitey.com, ruralinfobd.com
১৮. সর্বশেষ সংযোজন : জুলাই,২০১৪
আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- info@ekrishok.com