ফসলের পোকা ও রোগ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার | ই-কৃষক

ফসলের পোকা ও রোগ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার

ফসলের পোকা ও রোগ দমনে প্রযুক্তির ব্যবহার

পোকা ও রোগ ফসলের প্রধান শত্রূ। সারাদেশে পোকা ১৩ ভাগ এবং রোগ ১২ ভাগ ফসলের ক্ষতি করে। তাই পোকা ও রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারলে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব। পোকা ও রোগ দমনে নিম্নরূপ ধারাবাহিক ভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করলে খুব সহজেই পোকা ও রোগ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।
ফসলের পোকা ও রোগ দমনের ধারাবাহিক পদ্ধতি সমূহ নিম্নরূপঃ
১)ফসলের জাত নির্বাচনঃ ফসলের জাত অবশ্যই উচ্চ ফলনশীল হতে হবে। তার সাথে রোগ-পোকা সহনশীল। অনেক সময় দেখা যায়, রোগ-পোকা সহনশীল জাতগুলো ফলন কম দেয়। তাই এসব জাত কৃষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে না। তাই, যতদুর সম্ভব উচ্চ ফলন শীল জাত নির্বাচন করে কিভাবে রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা উত্তম।

২) বীজ শোধনঃ
ফসলের অধিকাংশ রোগ বংশগত জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায়। এর থেকে পরিত্রানের কার্যকর উপায় হলো বীজ শোধন করা । তাছাড়া, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ দমনে তেমন কোন কার্যকর ঔষধ না থাকায় বীজ শোধনই একমাত্র উপায়। এটি দুই উপায়ে করা যায়ঃ টাকা দিয়ে এবং টাকা ছাড়া।
টাকা দিয়েঃ ভিটাভেক্স/প্রোভেক্স/নোয়িন/ব্যভিষ্টিন ইত্যাদির যেকোন একটির ৩ গ্রাম প্রতি কেজি ধান/গম বীজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে সরাসরি বীজ বপন বা বীজ অঙ্কুরিত করে বপন করতে হবে।
টাকা ছাড়াঃ ২০০টি বড় জামপাতা ভালোভাবে মসলার মত পাটা-পুতায় পিষতে হবে। একটি বালতিতে ১০ লিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে জামপাতার রস ছেঁকে মিশাতে হবে। এই রস+পানিতে ৮ কেজি পরিমাণ পুষ্ট ধান/গম বীজ ঢেলে ৩০ মিনিট সময় পর্যšত রাখতে হবে। এরপর ফ্রেশ পানিতে বীজগুলো ১/২ বার ধুয়ে নিতে হবে।

১ লিটার পানিতে ৩০ গ্রাম বোরিক এসিড মিশিয়ে তাতে আলু বীজ ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে শোধন হয় । অথবা, টেক্টো ২ গ্রাম হারে প্রতি কেজি আলুর সাথে মিশাতে হবে।
দমনযোগ্য রোগ: পাতা কুকঁড়ানো রোগ, হলদে মোজাইক রোগ, পাউডারী মিলডিউ, ধানের-ব্লাষ্ট, বাদামী দাগ রোগ, খোল পোড়া, বাকানী, পাতা লালচে রেখা রোগ ইত্যাদি।

৩) মাটি শোধনঃ
যদিও মাটি শোধন করা একটি দুরূহ কাজ ,তবে এটি করতে পারলে ভাল ফলদায়ক। ষ্টেবল ব্লিচিং পাউডার @ ২০-২৫ কেজি/হেক্টরে বীজ রোপনের ১৫ দিন আগে জমিতে প্রয়োগ করলে মাটি শোধন হয়।
সোলারাইজেশন পদ্ধতিতে মাটি শোধন করা যায় । বীজতলার মাটি কাদাময় করে তার ওপর স্বচ্ছ ১০ মিমি পলিথিন দিয়ে ৪ সপ্তাহ ঢেকে রাখতে হবে । এতে মাটির তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ৫০ ডিগ্রী সে. পর্যন্ত পৌছায় । ফলে মাটিসহ রোগজীবাণু, কৃমি, ছত্রাক সহজেই মারা যায় । তবে পলিথিনে যেন কোন ফুটো না থাকে ,নতুবা মাটি পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত হবেনা। বছরে দুবার এটি করা যায়। একবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এবং আরেকবার এপ্রিল-মে মাসে। তবে, এপ্রিল-মে মাসে অধিক কার্যকরী ।
তাছাড়া, মাটির ওপর খড় কাঠের গুড়া ৩-৪ ইঞ্চি পুরু করে ছিটিয়ে তারপর পুড়িয়ে মাটি শোধন করা যায়।
দমনযোগ্য রোগ: ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত ঢলে পড়া রোগ, গোড়া পঁচা, উফরা ইত্যাদি ।

৪)বীজতলায় স্প্রেঃ অনেক রোগ এবং পোকার প্রাথমিক আক্রমন বীজতলায় হয়। তাই বীজতলায় স্বল্প পরিমানে রোগ/পোকা দমন করতে পারলে তা আর মূল জমিতে বড় আকারে ছড়ায় না। বীজতলায় ডাইথেন এম-৪৫@ ২.৫ গ্রাম/১ লিটার পানিতে এবং সুমিথিয়ন ১মিঃলি/ ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া বীজতলাটি আদর্শ ভাবে করতে হবে যাতে পানি জমে রোগ সৃষ্টি না হয়।
দমনযোগ্য রোগ: ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জনিত ঢলে পড়া রোগ, গোড়া পঁচা, ব্লাষ্ট, বাদামী দাগ রোগ ইত্যাদি ।
দমনযোগ্য পোকা: থ্রিপস, মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা, ঘাস ফড়িং, উড়চুঙ্গা, সবুজ পাতা ফড়িং ইত্যাদি ।

৫)সারিতে চারা রোপনঃ
সারিতে চারা রোপন করলে জমিতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে। তাই, বাতাসের প্রবাহের জন্য জমিতে পোকার উপদ্রব কম হয়। রোগের উপদ্রবও কম হয় কারণ রোগ সৃষ্টিকারী অনেক ভেকটর পোকা কমে যায়। তাছাড়া, কারেন্ট পোকা/বাদামীগাছ ফড়িং এর মত বিধ্বংসী পোকা নিয়ন্ত্রন করতে সারিতে চারা রোপন অন্যতম প্রধান উপায়। পূর্ববর্তী বছরে এই পোকা আক্রমনের রেকর্ড থাকলে ৮/১০ টি সারির পরে ১টি সারি ফাঁকা রাখতে হবে যাতে আলো বাতাস আরো ভালভাবে চলাচল করতে পারে।

৬) পার্চিং/ডালপোতা: ধানের ফুল অবস্থা পর্যন্ত পার্চিং প্রকৃতপক্ষেই কার্যকর । এক্ষেত্রেও প্রতি ৩৩ শতক জমিতে ৮/১০ টি ডাল জমির পুরো অংশ জুড়ে দিতে হবে । তবে ধান হওয়ার পর পার্চিং এর ডাল অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে । নতুবা, সেই ডালে পাখি বসে ধান খাবে ।
দমনযোগ্য পোকা: মাজরা, পামরী, ঘাসফড়িং, উড়চুঙ্গা, চুঙ্গীপোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, লেদা পোকা, সেমি লুপার ইত্যাদি ।

৭) হাতজাল ব্যবহার: ধানের কুশি পর্যায় পর্যন্ত হাতজাল খুবই কার্যকর । কেননা , ১টি মাজরা পোকা কমপক্ষে ২৫০ হতে ৪০০ টি পর্যন্ত ডিম দেয় এবং ডিম পারার সাথে সাথে স্ত্রী পোকা মারা যায় । তাই, ২টি স্ত্রী মাজরা পোকা ধরা মানে কমপক্ষে ৫০০টি মাজরা পোকা নষ্ট করা । ফসল দেখার জন্য কৃষকরা এমনিতেই জমিতে যান । কাজেই, সেই সময় যদি হাতজাল সাথে নিয়ে পোকা ধরা যায়, তাহলে খুব অনায়াসেই পোকা দমন হয় ।
দমনযোগ্য পোকা: মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা, সবুজ পাতা ফড়িং, থ্রিপস, পামরী, ঘাসফড়িং, পাতা মাছি, নলি মাছি, চুঙ্গী পোকা, লম্বাশুড় উড়চুঙ্গা, গান্ধী পোকা, লেদা পোকা, স্কীপার ইত্যাদি ।

৮)আলোক ফাঁদ:
আলোক ফাঁদ পোকার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পোকা দমন উভয়েই কার্যকর । ধানের কুশি অবস্থা হতে দুধ অব¯হা পর্যন্ত আলোক ফাঁদ দেয়া যেতে পারে । এক্ষেত্রে সন্ধ্যার সময় একটি ব্লকে জমির সকল কৃষককে একত্রে আলোক ফাঁদ দিতে হবে। জমি থেকে ৫০ মিটার দূরে কমপক্ষে পরপর ৩ দিন আলোক ফাঁদ দিতে হবে। পরপর তিন দিন না দিলে পোকার উপস্থিতি বেড়ে যাবে।
দমন যোগ্য পোকাঃ মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা, সবুজ পাতা ফড়িং, চুঙ্গী পোকা, স্কীপার, গান্ধী পোকা, পাতা ফড়িং, যেকোন মথ পোকা ইত্যাদি ।

৯)সার ব্যবস্থাপনা:
ইউরিয়া সার বেশি দিলে গাছ সবুজ ও লিকলিকে হয় । ফলে একসময় হেলে পড়ে এবং রোগ পোকার আক্রমণ দেখা যায়। তাই, ইউরিযা সার কমও নয়, বেশিও নয় পরিমিত মাত্রায় দিতে হবে । এক্ষেত্রে, গুটি ইউরিয়া সবচেয়ে উত্তম । তাছাড়া গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করলে ফলনও বৃদ্ধি পায়।
গাছ একটু শক্ত হলে রোগ-পোকা কম ক্ষতি করতে পারে। তাই পটাশ সার ৩৩ শতকে ৫ কেজি পরিমাণে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

১০) পানি ব্যবস্থাপনা: এর মাধ্যমে সহজেই রোগ ও পোকা দমন করা যায়। শুধু পোকা বা রোগটি ভালভাবে সনাক্ত করে সেচ/নিষ্কাশন করতে হবে।
পানি নিষ্কাষণের মাধ্যমে পোকা দমন: পাতা মাছি, চুংগী পোকা, বাদামী গাছ ফড়িং, সাদা পিঠ গাছ ফড়িং
পানি সেচের মাধ্যমে পোকা দমন: লেদাপোকা, শীষকাটা লেদা পোকা, থ্রিপস, ছাতরা পোকা, কাটুই পোকা, উড়চুঙ্গা, ইঁদুর
পানি নিষ্কাষণের মাধ্যমে রোগ দমন: খোলপোড়া, খোলপঁচা, বাঁকানি, উফড়া, ব্যাকটেরিয়া জনিত পাতা ঝলসানো রোগ
পানি সেচের মাধ্যমে রোগ দমন: ব্লাষ্ট, বাদামী দাগ রোগ

১১)বন্ধু পোকা সংরক্ষণ ও পালনঃ
যেসব পোকা সরাসরি অন্য পোকা ধরে খায় বা অন্য পোকার উপর আশ্রয় নেয় ও খাদ্য গ্রহণ করে এবং শেষে মেরে ফেলে তাদের বন্ধু পোকা বলে। বন্ধু পোকা সংরক্ষণের জন্য নির্বিচারে জমিতে বিষ স্প্রে করা যাবেনা । সংরক্ষণ পদ্ধতিগুলো হচ্ছে –নিম্নরূপ:
ক) আইলে ফসল চাষাবাদ
খ) আইলে খড় বিছানো, পুরো লাঠিতে বা শুধু লাঠির মাথায় খড় পেচানো।
গ) ফসল কর্তনের ২৪ ঘন্টা পর জমিতে চাষ দেওয়া
ঘ) জমিতে পানি ধরে রাখা
ঙ) জমিতে চিটা গুড় স্প্রে : ২৫০ গ্রাম চিটা গুড় ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে।
বন্ধু পোকা মূলত: দুই প্রকার।
১) পরভোজী পোকা: যেসব পোকা সরাসরি অন্য পোকা ধরে খায়। যেমন: লেডি বার্ড বিটল।
২) পরজীবি পোকা: যেসব পোকা অন্য পোকার উপর আশ্রয় নেয় ও খাদ্য গ্রহণ করে এবং শেষে মেরে ফেলে । যেমন: ব্র্াকন হেবিটর ।

নিম্নে কিছু পরভোজী এবং পরজীবি পেকা এবং তাদের দ্বারা দমন/ শিকার যোগ্য পোকার বর্ণনা দেয়া হলো ।

Smiley face

১২) কতিপয় বিশেষ ব্যবস্থা:
ক) পাতা মাছি দমনে: পানি ঘোলা করে দেয়া
খ) পামরি দমনে: মান্দার বা বাবলা গাছের কাটা যুক্ত ডাল দিয়ে ধান গাছ পিটানো, পাতা গোড়া থেকে কেটে দেয়া
গ) কারেন্ট বা বাদামী গাছ ফড়িং দমনে: দুহাত দিয়ে বিলিকেটে জমি ফাকা করে দেয়া
ঘ) জাবপোকা ও অন্যান্য শোষক পোকা দমনে: ছাই ছিটানো, সজোরে পানি স্প্রে, শুকনা মরিচ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে, হলুদ ফাঁদ।
ঙ) উই পোকা দমনেঃ আঁখ ক্ষেতে বীজতলায় উই পোকা দমন করতে খড় বিছাতে হবে
চ) থ্রিপস্: সাদা ফাঁদ।
ছ) ইঁদুর: গর্তে শুকনা মরিচের ধোঁয়া দেয়া, ধুতুরা গাছের ফল খায়িয়ে পাগল করে দেয়া।
জ) ফলের মাছি পোকা দমনে বিষ প্রয়োগঃ পাকা কুমড়া/কাঁঠাল ১০০ গ্রাম+১০০ মিলি পানি+ ০.৫ গ্রাম সেভিন পাউডার একসাথে মিশিয়ে ৪-৫ দিন পরপর নতুন করে জমিতে দিতে হবে।
ঝ) মথ দমনেঃ চিটা গুড় অর্ধেক কাটা পানির বোতলে মিশিয়ে ফাঁদ আকারে জমিতে ১০ দিন পরপর নতুন করে দিতে হবে
ঞ) বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং কুমড়া জাতীয় ফসলে মাছি পোকা দমনেঃ সেক্স ফেরোমন ফাঁদ- ২.৫০ শতকে একটি ফাঁদ চার মাস পর্যšত ব্যবহার করা যায়।
ট) সাদা মাছি (হোয়াইট ফ্লাই)ঃ নীল ফাঁদ
ঠ) উড়চুঙ্গা দমনেঃ জমির মধ্যে কনডেন্সড্ মিল্ক এর কৌটা দিয়ে ফাঁদ তৈরী করে তাতে সাবান পানি দেয়া।
ড) গান্ধী পোকা দমনে: সাইকেলের টায়ার পোড়ানো

১৩) শস্য বিন্যাস পরিবর্তনঃ একই জমিতে একটি বছরে বার বার একই ফসল উৎপাদন করায় নির্দিষ্ট ক্ষতিকর পোকা ও রোগের পরিমান অনেক বেড়ে যায় তাই শস্য বিন্যাস পরিবর্তন করলে রোগ ও পোকার আক্রমণ কম হয়। যেমন- বোরো ধান- আমন ধান- আলু এরূপ শস্য বিন্যাস কয়েক বছর পরে পরিবর্তন করে গম- শাক-সব্জী- সরিষা এরূপ করা যেতে পারে।
উপর্যুক্ত ১ম হতে ১৩ তম প্রযুক্তি ধারাবাহিকভাবে প্রতিপালন করলে রোগ-পোকা প্রায়ই দমন করা সম্ভব । তারপরও, প্রয়োজন পড়লে জৈব কীটনাশক এবং সবশেষে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে ।

১৪) জৈব কীটনাশক প্রয়োগ:
উদ্ভিজ্জ্য অর্থাৎ রসুন, মেহগণি বীজ, নিম, নিশিন্দা, বিষকাটালী ইত্যাদি হতে তৈরী কীটনাশককে জৈব কীটনাশক বলে।
তাছাড়া বাজারে প্রাপ্য নিমবিসিডিন , বাইকাও নামক জৈব কীটনাশক ।
Smiley face

১৫) রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে: সর্বশেষ উপায় হিসেবে রাসায়নিক কীটনাশক স্প্রে করতে হবে ।তবে, এর আগে অবশ্যই উপর্যুক্ত ১৪ টি কৈৗশল অবলম্বন করতে হবে ।মনে রাখতে হবে, রাসায়নিক স্প্রে পরিবেশ, মানুষ এবং ফসলের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। রাসায়নিক কীটনাশক ঔসমানি পদ্ধতিতে প্রয়োগ করতে হবে ।অর্থাৎ সঠিক ঔষধ, সঠিক সময়, সঠিক মাত্রা, সঠিক নিয়মে ।

সূত্র: ।। কৃষিবিদ রাজেন্দ্র নাথ রায় ।। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ।। সৈয়দপুর, নীলফামারী ।।

AgriNewsBD - Agricultural News, Bangladesh

Leave a Reply