বহুগুণে গুণান্বিত ফসল মেথি | ই-কৃষক

বহুগুণে গুণান্বিত ফসল মেথি

মেথি ৫ ফোড়নের এক অন্যতম উপাদান। এটি ইউনানি, কবিরাজি ও লোকজ চিকিৎসায় বহুবিদ ব্যবহার হয়। অনাদিকাল থেকে আমাদের দেশে মেথির প্রচলন আছে কিন্তু ব্যাপকতা বা বিস্তৃতি জনপ্রিয়তা তেমন ঘটেনি এ সাধারণ ফসলটির অসাধারণ গুণ। মেথি লেগুমিনোসি পরিবারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূণ ফসল।

একাধারে মসলা, পাতাজাতীয় সবজি এবং ভেষজ উদ্ভিদ। ইংরেজিতে একে Fenugreek বলা হয়। এ ফসলটির সাধারণ পরিচিতি কম হলেও এর অসাধারণ ভেষজ গুন, চাহিদা, ফলন এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এটি অত্যন্ত গুররুত্বপূর্ণ।

মেথির রোগবালাই কম এবং অল্প যত্নে কম বিনিয়োগে ভালো লাভ পাওয়া যায়। শিম জাতীয় ফসল হওয়ায় মেথি মাটিতে জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেন যোগ করে জমির উর্বরতা বাড়ায়। বাংলাদেশে প্রধানত মেথির বীজ মসলা এবং ওষুধি ভেষজ হিসেবে চাষ করা হয়। মেথির বীজ মসলা হিসেবে রান্নার কাজে, আচার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এর অবশ্য উচ্চ ওষুধি গুণাগুণ ও শিল্পে ব্যবহার রয়েছে। মেথি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমে সহায়তা করে ক্ষুধা বাড়ায়, বহুমুত্র রোগে বেশ ফলদায়ক, মায়েরা নিয়মিত আর পরিমিত খেলে বাচ্চারা বেশি দুধ পায়। গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে পরিমিত এবং নিয়মমতো মেথি খেলে মায়েদের দুধ ৯০% পর্যন্ত বেড়ে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মেথির ক্যাপসুল পাওয়া যায়। শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং যকৃত ও প্লীহার কার্যকারিতা বাড়ায়। ক্ষুধা বাড়ায় ও ডাই-ইউরেটিক হিসেবেও কাজ করে।

এখানো আমাদের গ্রামাঞ্চলে মেথি বেটে দু’ফালি মোটা কাপড়ের মধ্যে রেখে ভালোভাবে আটকিয়ে কয়েকদিন শুকানো হয়। মচমচে হলে ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। বাতের ব্যাথা বা যেকোন ব্যাথায় সামান্য গরম করে সেক দিলে আশ্চার্যজনকভাবে উপশম হয়। মেথির গ্রামীণ ব্যবহার গুরুত্ব এখনো অনেক।

শিল্পক্ষেত্রে মেথি রঙ তৈরিতে ব্যহৃত হয় এবং মেথি থেকে এ্যালকালয়েড ও মুল্যবান স্টেরয়েড নিষ্কাশন করা হয়। এর কাচাপাতা শাক হিসেবে অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু। গ্রামবাংলায় মেথিশাক তাদের প্রিয়খাদ্য। আর শুকনোপাতা যাকে কাশুরি মেথি বলে এদের পাতা তিতা কিন্তু ঘ্রাণ আর বৈশিষ্ট্যের জন্য বিভিন্ন তরিতরকারি ও ব্যাঞ্জরিত রান্নায় ব্যবহৃত হয়। এর গাছ গোখাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হয়। এশিয়ার মধ্যে ভারতে মেথির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। আরব তথা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলেও মেথির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। এশিয়ায় চুলের যত্নে, ত্বকের যত্নে, রূপলাবণ্য বাড়াতে এবং দই তৈরিতেও মেথি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ রুটি তৈরিতেও মেথির প্রচলন আছে কোথাও কোথাও। মিশরে মেথির চা বেশ জনপ্রিয়।

উন্নত দেশের কফিহাইজে মেথি বেশ আহলাদি উপকরণ। ইহুদি সম্প্রদায় নতুন বছরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিন মেথিকে বিশেষ উপকরণ হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে খায় ও ব্যবহার করে। পুষ্টিগুণেও মেথি বেশ উল্লেখযোগ্য। প্রতি ১০০ গ্রাম মেথি বীজে ৬.৩ গ্রাম পানি, ৯.৫ গ্রাম আমিষ, ১০ গ্রাম ফ্যাট, ১৮.৫ গ্রাম আঁশ, ৪২.৩ গ্রাম শ্বেতসার, ১৩.৪ গ্রাম খনিজ, ১.৩ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৪৮ গ্রাম ফসফরাস, ০.০৯ গ্রাম লৌহ, ০.০৯ গ্রাম সোডিয়াম, ১.৭ গ্রাম পটাশিয়াম, ভিটামিন বি১ ৯.৪১ মিলিগ্রাম, বি২ ০.৩৬ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ৬.০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১২.০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ১০৪০ আইইউ এবং খাদ্যমান ৩৭০ কিলোক্যালরি থাকে। তাহলে পুষ্টি বিচারেও মেথি অনন্য ভুমিকার অধিকারি।

মেথির উৎপত্তি ও বিস্তার সম্পর্কে যদি বলা হয় তাহলে বলতে হয় দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়া মেথির উৎপত্তিস্থল বলে ধরা হয়। মেথি পাতাজাতীয় সবজি, মসলা অথবা ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। এ উপমহাদেশের সবকটি দেশ ছাড়াও আর্জেন্টিনা, মিশর, ফ্রান্স, স্পেন, তুরস্ক, মরক্কো, লেবানন, চীন প্রভৃতি দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মেথির চাষ হয়ে থাকে। ভারতের রাজস্থান, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পাঞ্জাব মেথি উৎপাদনের বিশ্বসেরা। ভারতের রাজস্থান ভারতের মোট মেথির ৮০% উৎপাদিত হয়। আর বাংলাদেশী ও ভারতীয়দের বিশ্ব বিস্তৃতির কারণে ইদানিং খাদ্যের রসনা বৃদ্ধিতে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশেও মেথি ছড়িয়ে পড়ছে। মেথি মৌসুমি গাছ। জীবনকালে একবার মাত্র ফুলফোটে ও ফল ধরে। মেথিগাছ দ্রুত বর্ধনশীল, খাড়া, শাখান্বিত কান্ড বিশিষ্ট, ৪০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।

গোলাপী বা সবুজ কিনারাসহ এর গাঢ় সবুজ যৌগিক পাতা খুবই আকর্ষনীয়। ৩টি করে পাতা একসাথে জন্মায়। ফুলেও ৩টা করে পাপড়ি থাকে। কক্ষমুকুলের প্রতি থোকায় ২/৩ টি করে উজ্জলসাদা ও হলুদরঙের ফুল ফোটে। স্ত্রী ও পুরুষফুল আলাদাভাবে ফোটে। কাচির মতো বাঁকানো সরুফল বা পড ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। প্রথম দিকে ফলের রঙ হালকা সবুজ থাকলেও পাকলে তা খড়ের বর্ণ ধারণ করে। প্রতিফলে ৮ থেকে ১০টি উজ্জল কমলা বা হলুদ রঙের মসৃন ৪ কোণাআকৃতির বীজ থাকে। জাতভেদে প্রতিটি বীজ ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার লম্বা ও ২ থেকে ৩ মিলিমিটার চওড়া এবং ১.৫ থেকে ২ মিলিমিটার পুরু হয়ে থাকে। ভালোভাবে শুকিয়ে মেথি বীজ দীর্ঘদিন রাখা যায়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানীয় জাতের মেথির আবাদ হয়ে থাকে। এমনিতে মেথির কোন সুনিদিষ্ট জাত নেই। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্র বারিমেথি-১ ও বারিমেথি-২ নামে দুটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। সাধারনভাবে দু’ধরণের মেথির চাষাবাদ হয়। দ্রুতবর্ধনশীল সাধারণ মেথি হলুদবীজ সাদাফুল এবং ধীর বর্ধনশীল কেশুরি জাতের মেথি যা উজ্জ্বল কমলা বা হলুদ বর্ণের ফুল উৎপাদন করে। তবে ধীর বর্ধনশীল কেশুরী মেথির জীবনকাল কিছুটা বেশি হলেও এটি ফলন বেশি দেয়। কেশুরি মেথি জনপ্রিয়তার দিক থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য।

আমাদের দেশে প্রথমোক্ত জাতের মেথির বেশি চাষ হয়ে থাকে। মেথি আমাদের দেশের শীত মৌসুমের ফসল। কম বৃষ্টিপাত ও কম তাপমাত্রা মানে ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি ভালো জন্মে। সাধারণ মেথির চেয়ে কেশুরি মেথি বেশি ঠান্ডায় ভালো হয়। যদিও সব ধরণের মাটিতেই মেথি জন্মানো যায়, দোআঁশ মাটিতে মেথি বেষি ভালো হয়। তদুপরি জৈবপদার্থ সমৃদ্ধ এঁটেল দোআঁশ জমি মেথি চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। জমির অম্লমান ৬ থেকে ৭ এর মধ্য হলে মেথি ভালো হয়।

আমাদের দেশে মেথি রবি ফসল। বাংলাদেশের শীতের শুরুতে মেথি বীজ বোনা হয়ে থাকে। সাধারণ মেথি প্রতিহেক্টর জমির জন্য ২৫ কেজি এবং কেশুরী জাতের ২০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অর্থ্যাৎ মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ পর্যন্ত মেথি বোনার সবচেয়ে ভালো সময়। সাধারণত মেথি বীজ বপণ থেকে ৫/৬ দিনে গজায়। তবে বেশি শীত পড়লে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। মেথির বীজ আকারে ছোট হওয়ার জমি খুব ভালো ভাবে প্রস্তত করা দরকার।

সাধারণত মেথি বীজ ছিটিয়ে বপণ করা হয় । তবে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে লাইন করে বপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। সাধারণত মেথি চাষের জন্য পূর্ববর্তী ফসলের অবশিষ্ট সারের ওপর নির্ভর করা হয়ে থাকে। তবে পাতা বা শাক উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে নাইট্রোজেন এবং পটাশ সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। বীজ উৎপাদনের জন্য প্রতিশতকে যে পরিমাণ সার দেওয়া যেতে পারে তাহলো কম্পোস্ট বা জৈবসার ৬০ কেজি, ইউরিয়া ৭০০ গ্রাম, টিএসপি ৭০০ গ্রাম, এমওপি ৫৫০ গ্রাম, জিপসপম ৪৫০ গ্রাম। সব জৈবসার, টিএসপি, এমওপি ও ৩ ভাগের ১ ভাগ ইউরিয়া শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হয়। বাকী ইউরিয়া বপনের ৩০ ও ৪৫ দিন পর আগাছা দমনের পর উপরি প্রয়োগ করতে হয়। জীবাণু সার বীজ এর সাথে মিশিয়ে বপন করলে ইউরিয়া কম লাগে, গাছ বড় ও ফলন বেশি হয় তবে জীবনকাল কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়। যদিও আমাদের দেশে প্রচলিতভাবে তেমন কেউ মেথি আবাদ করে না কিন্তু যথাযথভাবে আবাদ কৌশল অনুসরণ কররে উৎপাদন ফলন বেশ ভালো হয়।

সেচ দিলে অধিক ফলন মিলে একথা মেথির ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। সেচ দিলে মেথির ফলন বাড়ে। বপনের পর একবার এবং মাটি শুকনা হলে ৭ থেকে ১০ দিন পরপর মেথিতে সেচ দেওয়া ভালো। তবে অন্য ফসলের সাথে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করলে আলাদা করে মেথিতে সেচ দেওয়া দরকার হয় না। কমপানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মাটিতে মেথিতে ঘন ঘন হালকা সেচ দেয়া ফলদায়ক। মেথিগাছ প্রাথমিক পর্যায়ে আস্তে আস্তে বাড়ে ফলে আগাছার প্রকোপ বেশি হতে পারে। এ জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়মিত আগাছা দমন জরুরি। দ্রুতবর্ধনশীল আগাছা যেমন বথূয়া, মুথা, দুর্বা এসব না কেটে শিকড়সহ তুলে ফেলা ভালো। পাতা বা শাক উৎপাদনের ক্ষেত্রে পাতলাকরণ দরকার হয়না। তবে বীজ উৎপাদনের জন্য ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার দূরত্বে গাছ রেখে বাকী চারা তুলে ফেলা ভাল। বাড়ন্ত গাছে ১০ থেকে ১০০ পিপি এম জিএ৩ স্প্রে করলে দ্রুতফুল আসে এবং ফলন ও বাড়ে। যদি এ ব্যবস্থা না থাকে তাহলে এমনিতেও ভালো ফলন হয়। মেথিতে রোগবালাই তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম হয়। পাউডারি মিলডিউ রোগের জন্য থিয়োভিট ০.২% স্প্রে এবং ডাউনি মিলডিউ এবং পাতারদাগ রোগের ক্ষেত্রে বোর্দো মিশ্রণ যার অনুপাত হবে ১:১:১০০= তুঁতে:চুন:পানি প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়।

মেথি বীজ বপনের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পরে শাক সংগ্রহ করা যায়। ১/২ বার শাক সংগ্রহের পর বীজ উৎপাদনের জন্য রেখে দেওয়া যায়। বীজ এর জন্য মেথির ফলগুলি হালকা হলুদ বা গোড়ার গুলি খড়ের মত রঙ ধারণ করলে গাছের গোড়া কেটে সংগ্রহ করা ভালো। সকালে বা বিকেরে মেথি তুলতে হয়। ভর দুপুরে মেথি না তোলা ভালো। সম্পূর্ন গাছ উপড়িয়ে সংগ্রহ করলে শিকড়ে লেগে থাকা মাটি বীজ এর গুণগত মান কমিয়ে দেয় এবং জমিতে জৈবপদার্থ কমযোগ হয়। সংগৃহীত গাছগুলি ২/৩ দিন গাদা করে রেখে রোদে ভালো ভাবে শুকিয়ে সাবধানতার সাথে মাড়াই করে বীজ সংগ্রহ করা যাবে। বারি মেথি-১ ও বারি মেথি-২ ভালোভাবে আবাদ করে যথাক্রমে হেক্টর প্রতি ১.২ থেকে ১.৫ ও ১ থেকে ১.৫ মেট্রিকটন বীজ পাওয়া যেতে পারে। শাক হিসেবে চাষ করলে সাধারণ জাতে ৫ থেকে ৭ মেট্রিকটন এবং কেশুরি জাতের থেকে থেকে ১০ মেট্রিকটন শাক পাওয়া যেতে পারে।

যদিও আমাদের দেশে মেথির উৎপাদন, ব্যবহার ও আমদানির সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই তবুও ধারণা করা যায় যে এক্ষেত্রে আমরা স্ব^নির্ভর নই। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন নেহায়েত কম না। আমাদের নিজস্ব প্রয়োজন মেটানো ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য মেথির চাষ বাড়ানো দরকার বিশেষভাবে। এককভাবে বা সাথীফসল হিসেবে আখ, ভূট্টা, রসুন বা পিঁয়াজের সাথে বা পিঁয়াজের চারা উৎপাদনের সময় রিলে ফসল হিসেবে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। অন্য ফসলের সাথে বা পারিবারিক বাগানে মেথির আবাদ করে নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে অর্থোপার্জনও করা যায়। এ ব্যাপারে উন্নত জাতের মানসম্মত বীজ এর প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ আর উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতির ওপর কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। কম ঝুকিপূর্ণ, বহুগুণেগুণান্বিত ফসল মেথি নিয়ে আমরা আরো একটু বিশেষ চিন্তা করতে পারি। কমজনপ্রিয় এফসলটি কোন এক সময় আমাদের কৃষি ভান্ডার আর কৃষি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। দরকার শুধু পরিকল্পিত কার্যক্রমের।

Leave a Reply