বাংলাদেশের কৃষি সাহিত্যে কচুকে একটি নিম্ন মানের অবহেলিত সবজি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কেউ কেউ এটিকে গরীবের খাদ্য বলে উল্লেখ করেছেন। কচুর কতিপয় জাত বসত বাড়ীর আশেপাশে, রাস্তার ধারে, বনে-জঙ্গলে আপনা আপনি জন্মে থাকে। অন্যান্য সবজি না পাওয়া গেলে মানুষ এগুলো সংগ্রহ করে খায়।
অতি দরিদ্র লোক সব সময়ই জংলী কচু খেয়ে থাকে। কচু যে একটি উৎকৃষ্ট মানের সবজি সেকথা অনেকেরই জানা নেই।
কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, যা সংক্রামক রোগ থেকে মানব শরীরকে রক্ষা করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ মতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। ভিটামিন ‘সি’ চর্মরোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। ওজন কমানোর জন্য কচুর লতি খাওয়া ভালো।
খাবার হজমের পর বর্জ্য দেহ থেকে সঠিকভাবে বের হতে সাহায্য করে কচুর লতি।
এই সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ খুব বেশি। এই আঁশ খাবার হজমে সাহায্য করে, দীর্ঘ বছরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, যেকোনো বড় অপারেশনের পর খাবার হজমে উপকারী পথ্য হিসেবে কাজ করে এটি।
ডায়াবেটিসের রোগীরা তাই নিঃসংকোচে খেতে পারেন এ সবজিটি। কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর আয়রন।
এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, যা হাড় শক্ত করে ও চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে।
মোটকথা, কচুর লতি ও কচুর পাতা সুস্থ-অসুস্থ সব মানুষের শরীরের জন্যই খুব উপকারী।
Source: প্রকৃতি Facebook page