কৈ | ই-কৃষক

কৈ

 

কৈ মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা

কৈ মাছ সাধারণত খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, পুকুর-ডোবা নালা, প্লাবন ভূমি ইত্যাদিতে চাষ করা যায়। এরা কর্দমাক্তমাটি, গর্ত, গাছের গুঁড়ির তলা ইত্যাদি জায়গায় বাস করতে পছন্দ করে। শিং ও মাগুর মাছের মতোই কৈ মাছ আগাছা, কচুরিপানা, পচা পাতা, ডালপালা বেষ্টিতে জলাশয়ে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। নিচে পুকুরে কৈ মাছ চাষ করার পদ্ধতি দেয়া হলো-

১. পুকুর নির্বাচন ও পুকুর প্রস্তুতিঃ

  • ছোট বড় সব পুকুরেই চাষ করা যায় তবে পুকুরের আয়তন ২০-২৫ শতাংশ এবং গভীরতা ১.০-১.৫ মিটার হলে ভালো হয়।
  • পুকুরের পাড় মেরামত, কিছু জলজ আগাছা সংরৰণ ও বার বার জাল টেনে রাক্ষুসে মাছ অপসারণ করতে হবে।
  • প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন প্রয়োগের ৪-৫ দিন পর শতাংশ প্রতি ৮-১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • কৈ মাছ যাতে পুকুর থেকে উঠে যেতে না পারে সে জন্য বাঁশের তৈরী বেড়া বা নাইলনের নেট দিয়ে পুকুরের চার দিকে বেড়া দিতে হবে। একই সাথে এই বেড়া সাপ, গুঁইসাপ, ব্যাঙ, বেজী প্রতিরোধ করে।

২. পোনা মজুদ,খাদ্য প্রয়োগ ও উৎপাদনঃ

  • প্রাকৃতিক উৎস বা হ্যাচারী থেকে সুস্থ্য ও সবল পোনা সংগ্রহ করে প্রতি শতাংশে ২৫০-৩০০ টি পোনা মজুদ করা যায়।
  • পোনা মজুদের পর মাছের দেহ ওজনের শতকরা ৬-৮ শতাংশে হারে ৩৫-৪০ শতাংশ আমিষযুক্ত সম্পূরক খাবার দিনে ৩ বার সকাল, দুপুর ও বিকেলে দিতে হবে।

৩. কৈ মাছের রোগ বালাই দমনঃ

রোগের নাম রোগের লক্ষণ চিকিৎসা প্রতিরোধ ব্যবস্থা
শরীরে ক্ষত আক্রান্ত স্থানে তুলার মত সাদা পদার্থ জমা হয়, লেজ ও পাখায় সাদা দাগ সৃষ্টি হয়, লেজ ও পাখায় পচন ধরে ও ক্ষয় ধরে, মাছ দেহের ভারসাম্য হরিয়ে ফেলে। ১. আক্রান্ত মাছ কে ধরে ০.৫ %, ১.০ %, ২.০ % লবণ মিশ্রিত পানিতে ২০-২৫ মিনিট অথবা যতক্ষণ সহ্য করতে পারে ততক্ষণ পর্যন্ত গোসল করালে ভালো ফল পাওয়া যায়। ২. মাছের খাদ্যের সাথে প্রতি কেজি খাদ্যের জন্য ৫০-৭০ মিলিগ্রাম অক্সিটেট্রাসাইক্লিন অথবা ১০০-১২৫ মিলিগ্রাম সালফার জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে ৭ দিন যাবত মাছকে খাওনো যেতে পারে। ৩. আক্রান্ত ব্রুড মাছের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি দেহের ওজনের জন্য ১০০ মিলিগ্রাম হারে অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশন প্রদান করা যেতে পারে। ১. মাছ ছাড়ার পূর্বে পুকুর ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে ও পুকুরের তলার অতিরিক্ত কাদা তুলে ফেলতে হবে। ২. সঠিক ঘনত্নে মাছ মজুদ করতে হবে। ৩. পুকুরে পরিমিত মাত্রায় সার ও খাদ্য প্রদান করতে হবে। ৪. সুস্থ্য সবল পোনা মজুদ করতে হবে। ৫. মজুদের পূর্বে মাছের পোনাকে শতকরা ১ ভাগ লবণ মিশিত পানিতে ২০-২৫ মিনিট গোসল করালে রোগ সংক্রামনের পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়।
মাছের পরজীবী মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে পরজীবী মাছকে আক্রমণ করে। ২৫-৩০ পি পি এম ফরমালিন পানিতে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা রোগাক্রান্ত মাছকে রেখে পরবর্তীতে পরিষ্কার পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। প্রতি শতকে ২৫০ গ্রাম হারে প্রতি মাসে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
পুকুরে গ্যাস দমন পানিতে বুদ বুদ হয়, ও মাছ ভেসে উঠে, গ্যাসের পরিমাণ খুব বেশি হলে মাছ মারা যায়। জিওলাইট গোল্ড (দানাদার/পাউডার) অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।

 

কৈ এর ব্রুড ব্যবস্থাপনাঃ

প্রথমে পুকুরের তলা ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। পুকুরের তলা যদি শুকানো সম্ভব না হয় তাহলে জাল টেনে বা রটেনন প্রয়োগ করে সমস্ত অবাঞ্ছিত মাছ মেরে এক সপ্তাহ পর প্রতি শতাংশে ১ কেজিহারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। তারপর পুকুর পাড়ের চারপাশ দিয়ে মাটির ১ ফুট গভীর দিয়ে পলিথিন জাতীয় (যা মাটির নীচেও নষ্ট হয় না) জাল দিয়ে ভালভাবে বেড়া দিতে হবে। তারপর পুকুরে পানি দিতে হবে। পুকুরের পানির গভীরতা ৩ থেকে ৪ ফুট এবং অপেক্ষাকৃত কম কাঁদাযুক্ত পুকুর হলে ভাল হয়। পুকুরের দ্রুত বর্ধনশীল সুস্থ ও সবল মাছ প্রজননের জন্য মজুদ করতে হবে। যতদূর সম্ভব বেশি সংখ্যক মাছ থেকে কম সংখ্যক ব্রুড নির্বাচন করাই উত্তম এবং নির্বাচিত মাছকে অবশ্যই ভালভাবে যত্ন করতে হবে। ব্রুড প্রতিপালনের সাধারণত ১৫ থেকে ২০ শতাংশের পুকুর হলে ভাল। প্রতি শতাংশে ১০০ থেকে ১৫০ টি ব্রুড মাছ মজুত করা ভাল। খাবার হিসাবে বাজারের কৈ মাছের যে কোন ব্রান্ডের গ্রোয়ার খাবার খাওয়ালেই চলবে। দেহের ওজনের ৩% খাবারই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি খাবার দিলে কৈ মাছের দেহে বেশি চর্বি হয়ে যেতে পারে। শীতকালে ব্রুড মাছের বিশেষ পরিচর্যা করতে হবে।

প্রজননঃ চাষাবাদের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কৈ মাছের প্রজননের জন্য উপযুক্ত সময়। এ ছাড়াও কৈ মাছ যে কেউ ইচ্ছা করলে প্রায় সারা বছরই প্রজনন করাতে পারে। সঠিক পরিচর্যা করলে প্রায় সারা বছরই পেটভর্তি ডিম থাকে যা দেখে স্ত্রী কৈ মাছ সনাক্ত করা যায়। এ ছাড়াও স্ত্রী কৈ মাছ পুরুষ কৈ মাছের তুলনায় অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে। পুরুষ কৈ মাছকে সনাক্তের জন্য প্রজনন মৌসুমে পেটে হালকা চাপ দিলেই সাদা রঙের শুক্রাণু বের হয়ে আসে। প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে ১টি ইনঞ্জেকশন দিলেই চলে। ইনঞ্জেকশন দিতে হবে পি.জি. দিয়ে। স্ত্রী মাছের জন্য মাত্রা হবে ৬ থেকে ৮ মিঃ গ্রাঃ/কেজি, আর প্রতি কেজি পুরুষ মাছের জন্য পি.জি. দিতে হবে ২ থেকে ৩ মিঃ গ্রাঃ। ইনঞ্জেকশন দিতে হবে মুখের কাছে পাখনার নীচে ফুলার অংশে। পি. জি. দেয়ার পর স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে সমান অনুপাতে অর্থাৎ ১:১ অনুপাতে প্রজনন ট্যাংকে রেখে তারপর পানির স্রোতসহ ঝর্ণার ব্যবস্থা করতে হবে। ইনঞ্জেকশন দেয়ার ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর মাছ ডিম দিতে শুরু করবে। ডিম ছাড়ার পর ডিমগুলোকে হ্যাচিং ট্যাংকে নিয়ে যেতে হবে। কৈ মাছের ডিমগুলো ভেসে থাকে। সে জন্য ডিমগুলোকে বিশেষ কায়দায় হ্যাচিং ট্যাংকে নিয়ে যেতে হবে। কৈ মাছের ডিম ভাসমান বিধায় এক বিশেষ পদ্ধতিতে ডিম সংগ্রহের কথা উল্লেখ হচ্ছে যা আমাদের দেশে প্রথম। ডিম সংগ্রহের সময় সর্তকতার অভাবে অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রজনন ট্যাংক থেকে হ্যাচিং ট্যাংক পর্যন্ত ৩ থেকে ৪টি সিরিজ ট্যাংক পাশাপাশি রাখতে হবে। প্রজনন ট্যাংক থেকে প্রতিটি ট্যাংকের বর্হিগমন নালা ২ ইঞ্চি নীচু হতে হবে। তাতে ডিমগুলো আপনা আপনি প্রজনন ট্যাংক থেকে হ্যাচিং ট্যাংকে এসে জমা হবে। নিষিক্ত ডিম এরেটরের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ ও পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। তাপমাত্রা ভেদে ১৮/২০ ঘণ্টার মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবে। এরপর ২ থেকে ৩ দিন হ্যাচিং ট্যাংকে রাখার পর রেনু পোনাকে সিদ্ধ ডিমের কুসুম ভাল করে ব্লেন্ডার করে তারপর ছেঁকে খাবার হিসাবে দিতে হবে। এভাবে ক’দিন খাওয়ানোর পর নার্সারি পুকুরে স্থানান্তর করতে হবে।

নার্সারি ব্যবস্থাপনাঃ নার্সারি পুকুরের ব্যবস্থাপনা ২টি ধাপে করা যায়। প্রথমটি হল ১টি পুকুর ব্যবহার করে আর দ্বিতীয়টি হল ২টি পুকুর ব্যবহার করে। ১টি পুকুর ব্যবহার করে পোনা উৎপাদন করলে পোনা ছোট বড় হয়ে যায় এবং চাষের ক্ষেত্রে নানাবিধ অসুবিধা হয়। ২টি পুকুর ব্যবহার করলে পোনা তেমন ছোট বড় হয় না। সে জন্য ২টি পুকুর ব্যবহার করাই ভাল। নার্সারি পুকুর আয়তাকার হলে ভাল হয়। এক্ষেত্রে ২য় পদ্ধতির কথা উল্লেখ থাকছে অর্থাৎ ২টি পুকুর ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। প্রথম পুকুরের আয়তন হবে ১০/১৫ শতাংশ এবং ২য় পুকুরের আয়তন হবে ৪০/৫০ শতাংশ। প্রথম পুকুরের পানি সেচ দিয়ে শুকিয়ে শতাংশ প্রতি ১ কেজি চুন পানির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিয়ে শুকাতে হবে। পুকুরের তলা শুকানোর পর পুকুরের পাড়ের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে শ্যালো মেশিন বা গভীর নলকূপের সাহায্যে ৩ ফুট পরিষ্কার পানি দিতে হবে। পানি দেয়ার পর পরই শতাংশ প্রতি ১০০ গ্রাম আটা পানির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এর ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাণী প্ল্যাংটন জন্মাবে যা কৈ মাছে রেনুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আটা দেয়ার ২ দিন পর পুকুরে সন্ধ্যায় ০.২ পি.পি.এম হারে সুমিথিয়ন পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এর ২দিন পর রেনু মজুত করতে হবে। ১৫/২০ শতাংশের নার্সারি পুকুরের জন্য ১০০/১৫০ জোড়া কৈ মাছের ব্রুড থেকে উৎপাদিত রেনু পুকুরে ছাড়া উচিৎ। এ পুকুরে ৭/৮ দিন খাওয়ানোর পর রেনুগুলো ধানীপোনাতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। তখন এই ধানীপোনাকে গ্লাস নাইলন কাপড়ের তৈরি হাপা দিয়ে কাটাই করে ২য় পুকুরে স্থানান্তরিত করতে হবে। এভাবে আরো ১০ দিন খাওয়ানোর পর ধানীপোনাগুলো চারা পোনাতে পরিণত হবে যা পরবর্তীতে চাষের পুকুরে ছাড়তে হবে।

খাবার প্রয়োগঃ রেনু ছাড়ার পর থেকেই পুকুরে সম্পূরক খাবার প্রয়োগ করতে হবে। খাবার হিসেবে ২০ শতাংশের একটি পুকুরে প্রতিবারে ১০টি হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে ডিমের সাদা অংশসহ ভালভাবে ব্লেন্ডারে মিহি করে গ্লাস নাইলনের কাপড় দিয়ে ছেঁকে পানির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে দৈনিক ২/৩ বার খাবার প্রয়োগ করতে হবে। ২ দিন খাবার দেয়ার পর ৩য় দিন থেকে ওই পরিমাণ ডিমের সাথে আরো আধাকেজি আটা সিদ্ধ করে ওই ডিমের সাথে মিশিয়ে পুকুরে দিনে ২/৩ বার প্রয়োগ করতে হবে। আটা প্রয়োগে রেনুমাছ খাওয়ার পাশাপাশি অধিক পরিমাণে প্রাণী প্ল্যাংকটনের জন্ম হবে যা রেনুপোনার জন্য খুবই দরকারী। এভাবে ৫/৬ দিন খাওয়ানোর পর রেনুপোনাগুলো ধানীপোনাতে পরিণত হবে যা পরবর্তীতে কাটাই পুকুরে অর্থাৎ ২য় পুকুরে স্থানান্তরিত করতে হবে। এই পুকুরে ধানীপোনার খাবার হিসাবে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি নার্সারি খাবার খাওয়াতে হবে। খাবারে প্রয়োগ পদ্ধতিতে নার্সারি খাবারকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে তারপর পোনাকে খাওয়ানো উচিৎ। খাবারের পরিমাণ হবে প্রতি ৪ লক্ষ মাছের জন্য ১০ কেজি খাবার। এভাবে ৮/১০দিন খাওয়ানোর পর পোনাগুলো এক থেকে দেড় ইঞ্চি সাইজের হলে পরবর্তীতে চাষের পুকুরে ছাড়তে হবে।

 

৪. চষী ভাইদের জন্য কিছু গুরুত্তপূর্ণ পরামর্শঃ

  • লাভজনক মাছ চাষে সঠিকভাবে পুকুর নির্বাচন ও পুকুর প্রস্তুত করতে হবে।
  • প্রতি মাসে একবার প্রতি শতকে ২০০ গ্রাম জিওলাইট ব্যবহার করতে হবে।
  • যে কোন রাক্ষুসে মাছ নিধন করতে হবে।
  • মানসম্মত পোনা সংগ্রহ করতে হবে।
  • নিয়মিত ফাইটো পালাংটনের ব্লুম হলে খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে দিতে হবে।
  • প্রতি ১০/১২ দিন পর পর মাছের গড় ওজন ও স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষন করতে হবে।
  • মাছকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবের দেয়া যাবেনা।
  • নিয়মিত পানির পি এইচ ও গ্যাস পরীক্ষা করতে হবে।
  • মাছের কোন সমস্যা বা রোগ দেখা দিলে মৎস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

৫. বাজারজাত ব্যবস্থাঃ

বাজার ব্যবস্থাঃ যথাযথ নিয়মে পরিচর্যা করলে ৬ মাসের মধ্যে কৈ মাছ গড়ে ৪০-৫০ গ্রাম হয় এবং প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি উৎপাদন পাওয়া যায়। এবং পার্শবর্তী কোনো হাট-বাজারে বিক্রয় করতে পারেন।

৬. তথ্যের উৎসঃ  AIS, কৈ মাছ চাষ নির্দেশিকা, এস জি এস গ্রুপ

৭. কন্টেন্ট তৈরিঃ ১০/১০/২০১১

৮. সর্বশেষ সংযোজন : জুলাই,২০১৪

আরো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন- info@ekrishok.com

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply