Author Archives: asma parvin

রংপুরেের গম চাষী ভাইদের জন্য জরুরী বার্তা :

রংপুরেের গম চাষী ভাইদের জন্য জরুরী বার্তা :

গমের ব্লাস্ট একটি ভয়ানক রোগ। একবার গমে আক্রমন করলে শতভাগ ফসল হানী হতে পারে। তাই এই রোগ প্রতিরোধে ফুল আসার আগ দিয়ে “নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি” বা “নভিটা ৭৫ ডব্লিউ জি” প্রতি ১০ লিটার পরিষ্কার পানিতে ৬ গ্রাম ভালভাবে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। তার ১২ থেকে ১৫ দিন পর আবার স্প্রে করুন। দানা বাঁধা অবস্থায় যদি বৃষ্টি বা ঘন কুয়াশা হয় সে ক্ষেত্রে আরো একবার স্প্রে করতে হবে।
স্প্রে করার সময় ক্ষেতের আইলের উপরও স্প্রে করতে হবে।
রংপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাগনকে এব্যাপারে জরুরীভাবে কাজ করার জন্য ও কৃষকদের অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

সূত্র: স. ম. আশরাফ আলী
উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন, রংপুর।

পেপেঁ চাষ পদ্ধতি

পেপেঁ

papaya2d
চারা তৈরি: বীজ থেকে চারা তৈরি করা যায়। পলিথিন ব্যাগে চার তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
চারা রোপণ: দেড় থেকে দুই মাস বয়সের চারা রোপণ করা হয়। ২ মিটার দূরে দূরে চারিদিকে ২ ফুট পরিমান গর্ত তৈরি করে রোপণের ১৫ দিন আগে গর্তের মাটিতে সার মিশাতে হবে। পানি নিকাশের জন্য দুই সারির মাঝখানে  ৫০ সে.মি নালা রাখা দরকার। বানিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষের জন্য বর্গাকার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রতি গর্তে  ৩ টি করে চার রোপণ করতে হয়। ফুল আসলে ১ টি স্ত্রী গাছ রেখে বাকি গাছ তুলে ফেলা দরকার। পরাগায়ণের সুবিধার জন্য বাগানে ১০% পুরুষ গাছ রাখা দরকার।
সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি গাছে ১৫ কেজি জৈব সার, ৫৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ৫৫০ গ্রাম টিএসপি সার, ৫৫০ গ্রাম এমওপি সার, ২৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২৫ গ্রাম বোরাক্স সার এবং ২০ গ্রাম জিংক সালফেট সার একত্রে ভালভাবে প্রয়োগ করতে হয়।  ইউরিয়া ও এমওপি সার ছাড়া সব সার গর্ত তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর পর গাছে নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমওপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি ১ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়। গাছে ফুল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ করা হয়।
অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যা:  ফুল হতে ফল ধরা নিশ্চিত মনে হলে একটি বোঁটায় একটি ফল রেখে বাকিগুলো ছিড়ে ফেলতে হবে। গাছ যাতে ঝড়ে না ভেঙ্গে যায় তার জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছ বেঁধে দিতে হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: চারা রোপণ এবং সার প্রয়োগের পর প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। খরা মৌসুমে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর হালকা সেচ দিতে হবে।
রোগ ব্যবস্থাপনা:
রোগের নাম: পেঁপের ড্যাম্পিং অফ রোগ দমন।
  • ভূমিকা: মাটিতে যে ছত্রাক থাকে তার দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত: চারা অবস্থায় অথবা বীজ গজানোর সময় হয়ে থাকে। বীজের অংকুর গজানোর সময় এ রোগের জীবাণু অতি সহজেই বীজ অথবা অংকুরকে আক্রমণ করে।
  • ক্ষতির নমুনা: এ অবস্থায় বীজ পচে যায় এবং চারা মাটির উপর বের হয়ে আসতে পারেনা। এভাবে অংকুর গজানোর আগেই পচন হতে পারে। চারা গজানোর পরেও জীবাণুর আক্রমণ ঘটে। এ পর্যায়ে চারার গোড়া বা শিকড় পচে গিয়ে আক্রান্ত চারা মাটিতে পড়ে যায় এবং মারা যায়। চারার বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ রোগের প্রকোপ কমে যায়।
  • অনুকূল পরিবেশ: বর্সা মৌসুমে ঢলে পড়া রোগের প্রকোপ খুব বেশি।
  • বিস্তার: বৃষ্টির পানিতে অথবা সেচের পানিতে এ রোগের জীবাণু ছড়ায়।

ব্যবস্থাপনা: গাছের গোড়ার পানি নিকাশের ভাল ব্যবস্থা রাখা দরকার। রোগাক্রান্ত চারা গাছ মাটি থেকে উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। আক্রমন বেশি হলে রিডোমিল এমজেড-৭২ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর গাছের গোড়ার চারিদিকের মাটিতে প্রয়োগ করা দরকার। জিংকের ঘাটতির জন্য মোজাইক লক্ষণ দেখা দিলে গাছের গোড়ায় গাছপ্রতি ৫-১০ গ্রাম জিংক প্রয়োগ করলে এবং ০.২% জিংক গাছের পাতায় স্প্রে করলে এ সমস্যা কমে যায়।

ফসল তোলা: সবজি হিসেবে কচি ফল সংগ্রহ করা হয়। পাকানোর জন্য ফলের ত্বক হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে সংগ্রহ করতে হয়।

সুত্রঃ কৃষি তথ্য সার্ভিস (এ আই এস)

কুমড়া গাছের ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম পরাগায়ন

Image may contain: one or more people, outdoor and nature

লাউ আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। ভাল ভাবে লাউ ধরাতে হলে কৃত্রিমভাবে পরাগায়ন করতেই হবে। লাউ গাছের ফুল একলিঙ্গ এবং গাছটি ভিন্নবাসী উদ্ভিদ । অর্থাৎ এসব গাছে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল পৃথক পৃথক হয়। একই বয়সের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল কাছাকাছি থাকলে এবং বাতাসের বেগ প্রবল হলে কিছু পরাগায়নের সম্ভাবনা থাকে তবে তা একেবারেই নগন্য। তাই পোকা-মাকড় বা মৌমাছি বেশি না থাকলে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল পরাগায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরাগায়ন সমভব হয় না।লাউয়ের ফুল সাদা বলে মৌমাছি বা পোকামাকড় থাকলেও লাউ ফুলে পরিভ্রমণ কম করে। এ জন্য লাউ ধরে না। লাউয়ের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল পৃথক হওয়ায় কৃত্রিমভাবে পুরুষ ফুল এনে স্ত্রী ফুলের পরাগায়ন ঘটাতে হয়। এ জন্য পুরুষ ও স্ত্রী ফুল চেনা প্রয়োজন। পুরুষ ফুল ফুলের বোঁটার অগ্রভাগে ফুটে। পাপড়ির গোড়ায় গর্ভাশয় থাকে না। পাপড়ির মাঝখান দিয়ে বেড়ে যাওয়া পুংদণ্ডে পাউডারের গুঁড়ার মত পুংরেণু থাকে। পুংদণ্ডের শীর্ষভাগে গর্ভমুণ্ড থাকে না। শুধু বোঁটার অগ্রভাগে ফুটে থাকা ফুলগুলো পুরুষ ফুল। আর ক্ষুদ্রাকৃতি লাউয়ের মত গর্ভাশয়ধারী ফুলগুলো স্ত্রী ফুল। গর্ভাশয়ের ওপর থেকে পাপড়ি থাকবে। পুংদণ্ড থাকবে না। গর্ভদণ্ড ছোট ও মোটা। গর্ভদণ্ডে আঠালো পদার্থ থাকবে। পুংরেণু এখানে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঠায় আটকে যায়। অনেকেরই ধারণা, শুধু স্ত্রী ফুলের এই গর্ভাশয় থাকলেই লাউ ধরবে। এ ধারনাটা ভুল। গর্ভমুণ্ডে পুরুষ ফুলের পুংরেণু না লাগা পর্যন্ত লাউ ধরবে না। পুরুষ ফুল থেকে ফল হয় না ফল হয় স্ত্রী ফুল থেকে , তাই মনে রাখবেন পুরুষ ফুল ছিড়ে এনে স্ত্রী ফুলে পরাগায়ন করতে হবে। স্ত্রী ফুল ছেড়া যাবেনা। তাহলেত ফলই হবে না।

কুমড়া জাতীয় ফুলের মধ্যে একমাত্র লাউয়ের ফুলই হলো সাদা , অন্য সব ফুল হলুদ রঙের। মোটামুটি সব সাদা ফুল সন্ধার আগে ফুটে। আগের দিনের সন্ধা হওয়ার ১ ঘন্টা পূর্ব থেকে পরের দিনের সকাল ৮টা পর্যন্ত লাউ ফুলের পরাগ রেনু জীবিত থাকে। এই সময়ের ভিতরে আপনাকে পরাগায়ন করতে হবে। আবহাওয়া ও তাপের বিভিন্নতার কারণে ফুলের পরাগ রেনুর জীবন কালের সময়ে কম বেশি হতে পারে। মনে রাখা দরকার যে পরাগায়নের জন্য একই দিনে ফোটা পুরুষ ও স্ত্রী ফুল নির্বাচন করতে হবে।প্রতিদিন উল্লেখিত সময়ের মধ্যে সদ্যফোটা পুরুষ ফুল রেণুসমৃদ্ধ পুংকেশর রেখে পাপড়িগুলো ছিঁড়ে ফেলতে হয়। এরপর সদ্যফোটা স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ডে পুরুষ ফুলের পুংরেণু হালকাভাবে সামান্য একটু ঘষে দিতে হয়। এতে স্ত্রী ফুল নিষিক্ত হয়ে ফল ধরবে । একটি পুরুষ ফুলের পুংকেশর দিয়ে ৬ থেকে ৭টি স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ডে পরাগায়ন করা যায়। আপনি একটি পুরুষ ফুল দিয়ে একটি স্ত্রী ফুল নিষিক্ত করুন। এতে শতকরা ৯৯টি স্ত্রী ফুলে ফল ধরবে।

source: Modern Agriculture Facebook Page

কার্যকরী ছত্রাকনাশক ও প্রয়োগমাত্রা/লিটার পানিতে

1. বোর্দ্দো মিক্সচার:
চুন+তুতে+পানি= ১০গ্রাম+১০গ্রাম+১লিটার
2 বোর্দ্দো পেষ্ট:
চুন+তুতে+পানি= ১০০গ্রাম+১০০গ্রাম+১লিটার
3. মেনকোজেব (ইনডোফিল/জাজ/ ডাইথেন এম/হেমেনকোজেব/নেমিসফোর/এগ্রিজেব/ মিডিয়া/ম্যাকজিডান/এডকোজেব/কাফা/ সিনমাজেব)–৩ গ্রাম
4. মেনকোজেব+কার্বেন্ডাজিম (কম্প্যানিয়ন/ কারজেব)–২ গ্রাম
5. মেনকোজেব+মেটালক্সিল (ম্যাটকো/ রিডোমিল গোল্ড/পদ্মামিল/নিউবেন/ ম্যানকোসিল/পপুলার/সানক্সসিল/ জিমেটালক্সিল/নাজা/মেটারিল)–২ গ্রাম
6. কার্বেন্ডাজিম ৫০ডব্লিউপি (ব্যাভিস্টিন/এমিস্টার টপ/জিমগার্ড/এমকোজম/গোল্ডাজিম/সিনডাজিম/ নোইন/সিডাজিম/আরবা/ গিলজিম/জেনুইন)–২গ্রাম/২মিলি
7. মেটালক্সিল ২৫ডব্লিউপি (মেটাটাফ/রিভাস/ এক্সট্রামিল)–২ গ্রাম/২মিলি
8. হেক্সকোনাজল ৫ ইসি (কনটাফ/ফলিকুর/ হেকোনাজল/কনজা/এনভিল/ক্রিজল/ সাবাব)–১ মিলি
9. ট্রাইসাইক্লাজোল ৭৫ডব্লিউপি (ট্রুপার/ ফিলিয়া/নাটিভো/টপসিন এম)–অনুমোদিত মাত্রায়
10. কপার অক্সিক্লোরাইড ৫০ডব্লিউপি (ব্লাইটক্স/ কুপ্রাভিট/সালটক্স/সলুকক্স/সানভিট/ব্লুকাপ/ অক্সিভিট–২-৪ গ্রাম
11. কপার হাইড্রোঅক্সসাইড (চ্যাম্পিয়ন/ডলফিন)–২ গ্রাম
12. মেনকোজেব+ফেনামিডন (সিকিউর)–১গ্রাম
13. প্রোপিনিবি+ইপ্রোভ্যালিকার্ব (মেলেডিডু)–২ গ্রাম
14. প্রোপিনিব ৭০ডব্লিউপি (এন্ট্রাকল)–৪ গ্রাম
15. প্রোপিকোনাজল ২৫০ইসি (প্রটাফ/টিল্ট/প্রাউড/পোটেন্ট/ইউনার/একোনাজল/প্রপীজল/সাদিদ/এভেন্স)–০.৫-১মিঃলিঃ
16. আইপ্রোডিন ৫০জি (রোভরাল/রোভানন/রোটান্ট)–২ গ্রাম
17. এডিফেনফস ৫০ ইসি (হিনোসান/এডিফেন)–১.৫মিঃলিঃ
18. মেনকোজেব+ডাইমেথোমর্ফ (ফোরাম/এক্রোবেট এমজেট)–২ গ্রাম
19. থায়োপিনেট মিথাইল (হোমাই/সিলিকা/টপসিন এম)–২ গ্রাম
20. ডাইকোনাজল ২৫০ইসি (ক্যাবরিওটপ/ স্কোর)–০.৫মিঃলিঃ
21. জাইনেব( ইন্ডোফিল)–২ গ্রাম
22. কার্বক্সিন+থিরাম২০০জি (ভিটাভেক্স)–২ গ্রাম

সূত্র: modern agriculture facebook page